Daily Frontier News
Daily Frontier News

শূণ্য থেকে কোটিপতি কে এই আবুল হোসেন

 

 

বিশেষ প্রতিনিধি :

 

গ্ৰামের হতদরিদ্র কৃষক পরিবারের সন্তান আবুল হোসেন,পিতা:আবুসাঈদ গ্ৰাম: শশয় ইসলামপুর
(বার উল্লাহ বাড়ি) ইউনিয়ন: বুধন্তি থানা: বিজয়নগর জেলা ব্রাক্ষণবাড়িয়া স্ত্রী মিসেস চাঁদনি হোসেন আবুল হোসেন জামাত ইসলামের গোপনে বড় ধরনের অর্থ সহযোগি সদস্য প্রকাশ্যে আওয়ামীগ ছদ্মবেশী সদস্য গ্ৰামে গরুর দুধ বিক্রি করে চলতো যার সংসার৷ কিছুটা শিক্ষিত হয়ে এলাকার ছেলে মেয়েদের বাড়ি টিউশনি করিয়ে করতেন খানিক টা উপার্জন৷ পরিবারের কষ্ট দূর করতে চলে যান প্রবাসে জড়িয়ে পড়েন যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত জামায়াতে ইসলাম নামের সংগঠনের রাজনীতিতে। কিন্ত দল ক্ষমতা থেকে ছিটকে পড়ায় তড়িঘড়ি করে চলে যান সৌদি আরবে। আর সৌদি গিয়েই কপাল খোঁলে আবুল হোসেনের৷ হুন্ডি ব্যবসা করে এখন সে কোটি কোটি টাকার মালিক। করেছেন কোটি কোটি টাকার বাড়ি, জায়গা, জমি। অনুসন্ধানে বেড়িয়ে আসা তথ্য অনুযায়ী সৌদি আরবে থাকা জামায়াত নেতাদের দেশবিরোধী কর্মকান্ডে খরচ করার জন্য বাংলাদেশে টাকা পাঠান আবুল হোসেনের মাধ্যমে। আবুল হোসেন হুন্ডি কারবারীর সহায়তায় সরকারী রেমিট্যান্স ও কর ফাঁকি দিয়ে বিপুল অংকের সেই টাকা পাঠান দেশের বিভিন্ন জেলায় আর সেই অর্থ একে একে চলে আসেন ওর পরিবারের একাউন্টে। দীর্ঘদিন যাবত আবুল হোসেনের এমন কর্মকান্ড নজরদারি করছে অপরাধ অনুসন্ধান বিভাগ ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ইউনিটের হাতে ।আবুল হোসেনের হুন্ডি সংশ্লিষ্ট বেশ কয়েকটি লেনদেনের প্রমাণও এসেছে। সেই সব প্রমাণ পর্যালোচনা করে দেখা যায়৷ আবুল হোসেনের স্ত্রী চাঁদনী আক্তার বসবাস করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর থানাধীন শশয় গ্ৰামে। কিন্ত তিনি হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলায় একাধিক ব্যাংক একাউন্ট খুলেছেন। আবুল হোসেন সৌদি আরব থাকেন। স্বাভাবিকভাবেই সৌদি থেকে ঐ একাউন্টে টাকা আসার কথা থাকলে ও ঐ একাউন্টে লাখ লাখ টাকা আসে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন ব্যাংক একাউন্ট হতে। আবুল হোসেনের স্ত্রী হুন্ডির মাধ্যমে প্রেরিত সেই সব অর্থ সংগ্রহ করেন। আবুল হোসেন হুন্ডির মাধ্যমে সরকারি কর ও রেমিটেন্স ফাকি দিয়ে থাইল্যান্ড ও ভারত হয়ে সেই টাকা পাঠান বাংলাদেশে৷ অনুসন্ধানে জানা গেছে আবুল হোসেন জামায়াতের একজন সক্রিয় গোপন শূরা সদস্য। কিন্ত নিজ রাজনৈতিক পরিচয় গোপন করে তিনি দেশে আসলে কোথাও কোথাও নিজেকে আওয়ামী লীগ কর্মী পরিচয় দিয়ে থাকেন। সম্প্রতি অনেকটা নিভৃতে দেশে এসেছিলেন এই হুন্ডি কারবারি। এসময় সাংবাদিকরা তার কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি সকল কিছু অস্বীকার করেন। তার স্ত্রীর একাউন্ট বিজয়নগরে না খুলে হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলায় কেনো খোলা হলো জানতে চাইলে? আর সে একাউন্টে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে কেনো টাকা আসে? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের কোন সদুত্তর দিতে না পেরে ফোন কেটে দেন তিনি।
এর ঠিক -২ দিনের মাথায় তড়িঘড়ি করে দেশ ছাড়েন আবুল হোসেন।
এ ব্যাপারে সাংবাদিকরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সিআইডি ও জেলা পুলিশ কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেছে। তারা উভয়েই দেয়া তথ্যানুযায়ী এ ব্যাপারে তদন্ত শুরু করেছেন বলে জানিয়েছেন  ।

Daily Frontier News