Daily Frontier News
Daily Frontier News

সাতক্ষীরা পাটকেল ঘাটা হাইস্কুল সড়কটি চলাচলের জন্য অনুপযুক্ত হয়ে পড়েছে—যেন দেখার কেউ নেই

 

 

  • আল আমিন সরদার তালা প্রতিনিধি :-

সাতক্ষীরা-খুলনা মহা সড়ক এর সাথে সংযুক্ত পাটকেলঘাটা হাইস্কুল রোড সড়কের প্রবেশদ্বারে দীর্ঘ এক বছরেরও বেশি সময় ধরে ভাঙ্গা কালভাট সহ রাস্তাটি জনসাধারণের চলাচলের জন্য অনুপযুক্ত হয়ে পড়েছে এমনকি একটি পা ভ্যান বাজারে প্রবেশ করতে হলে কালভাট থেকে নেমে টানতে হয়। ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে থেমে থেমে মাঝারি ও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে রাস্তাটি হাঁটু পানিতে নিমজ্জিত হয়ে দূর্ভোগে পড়েছে পাটকেলঘাটা সহ তালা উপজেলা হাজারো মানুষ। ব্যবসা বাণিজ্যের জন্য এ বাজারটি গুরুত্বপূর্ণ হলেও এটি যেন দেখেও দেখতে পায়না জনপ্রতিনিধি ও উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা। তালা উপজেলার রাজনৈতিক ও বাণিজ্যিক মেরুকরণ পাটকেলঘাটার কি অপরাধ, জনপ্রতিনিধিরা কেন এগিয়ে আসে না প্রশ্ন সচেতন মহলের? একটু বৃষ্টি হলেই ব্যস্ততম সড়কটি হাটু পানিতে নিমজ্জিত হয় এতে করে প্রায়ই সড়কে যাতায়াতকারী পন্যবাহী ভারি ও মাঝারি যানবাহনসহ ভ্যান, মোটরসাইকেল, সাইকেল আরোহী ও পাটকেলঘাটা আদর্শ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের হাজারো ছাত্র-ছাত্রী সহ পথচারীরা পড়ছেন দূর্ঘটনার কবলে। সড়কের অধিকাংশ জায়গায় ছোট বড় গর্ত সৃষ্টির ফলে প্রায় রাস্তায় আটকে থাকছে পন্যবাহী বিভিন্ন যানবাহন। দীর্ঘ সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সড়কটি মেরামতের উদ্যোগ না নেওয়ায় সড়ক দূর্ঘটনা ও জনদূর্ভোগ দুই’ই বেড়েছে তীব্রহারে। পাটকেলঘাটা হাই স্কুল রোড সড়কের দুই পাশের ব্যবসায়ীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে ডা: হাদিউজ্জামান ও আশিক হোসেন বলেন রাস্তাটি প্রায় দুই বছর হয়ে গেল সংশ্লিষ্ট কতৃৃপক্ষ রাস্তাটি সংস্কারের কোন উদ্যোগ নেই ফলে প্রায় প্রতিদিন ছোট বড় দূর্ঘটনায় পড়ছেন এ রাস্তায় যাতায়াকারীরা।
দীর্ঘদিন ধরে এমন ঘটনা ঘটলেও রাস্তাটি মেরামতেও কোন উদ্যোগ নেয়নিন এলজিইডি কিংবা সড়ক ও জনপথ বিভাগ। কর্তৃপক্ষের এমন উদাসীনতায় ক্ষোভ প্রকাশের পাশাপাশি জনদূর্ভোগ লাঘব ও দূর্ঘটনা হ্রাসে দ্রুত সড়কটি মেরামতের ব্যবস্থা করতে সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন বাজারে আসা পথচারী ও বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যবসায়ীরা। এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী রথীন্দ্রনাথ এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, নতুন প্রকল্পে হাইস্কুল সড়কটি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে ও ভাঙ্গা কালভার্টটির জায়গায় নতুন কালভার্টের টেন্ডার হয়ে গেছে। ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাব কেটে গেলে আমরা কাজ শুরু করবো।

Daily Frontier News