Daily Frontier News
Daily Frontier News

চৌদ্দগ্রামে তিন ভাইয়ের বিরোধের জেরে ফলজ ও বনজ গাছ ধ্বংশ বসতঘর ভাংচুর

 

জামাল উদ্দিন স্বপন চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি :-

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে অন্তত ৩০/৩৫টি ফলজ, বনজ গাছ কর্তনের অভিযোগ উঠেছে আপন ভাইদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় মধ্যরাতে মারধর করে জোরপূর্বক বাড়ি থেকে বের করে দেয়া, গাছ কর্তনের অভিযোগে ৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী কাজী কামাল হোসেন। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার পৌর এলাকার উত্তর শ্রীপুর গ্রামের কাজী বাড়িতে।

মামলায় উল্লেখ করা হয়, উত্তর শ্রীপুর গ্রামের কাজী বাড়ির কাজী কামাল হোসেন, কাজী হুমায়ন, কাজী কবির হোসেন ও কাজী জামাল উদ্দিন সুমন আপন ভাই। ২০১১ সালের ২২ ডিসেম্বর সকলের সম্মতিতে আমিন দ্বারা বাড়ির জায়গা সমবন্টন করা হয়। তখন কাজী হুমায়ন জায়গা বুঝে পেয়ে ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে অল্প কিছুদিনের জন্য কাজী কামাল হোসেনের জায়গায় বসবাসের অনুমতি নেয়। কয়েক বছর আগে কাজী হুমায়নকে নিজের জায়গায় যেতে বললে টালবাহানা শুরু করে। এনিয়ে এলাকায় শালিশ বসলেও কাজী হুমায়ন উপস্থিত না হয়ে উল্টো ভাই কাজী কামাল হোসেনের পরিবারকে দেখে নেয়ার হুমকি প্রদান করে। গত ২০ এপ্রিল রোববার রাত ১০টায় কাজী হুমায়ন মিথ্যা তথ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে বাড়িতে কাজী কামাল হোসেনের পরিবারকে হয়রানী করে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনার সত্যতা না পেয়ে চলে গেলে কাজী হুমায়ন গং ইট ও পাথর ছুড়ে কাজী কামাল হোসেনের পরিবারকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। গত ২৪ এপ্রিল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টায় আবারও কাজী হুমায়ন গং অনধিকার প্রবেশ করে ২০-২৫টি সুপারি গাছ, পেয়ারা গাছ, আমগাছ ও জলপাই গাছ কাটে। এ সময় কাজী কামাল হোসেন, তার স্ত্রী সাজেদা বেগম মনি ও ছেলে কাজী আবদুল্লাহ বাঁধা দিলে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে হামলা করে কাজী হুমায়ন গং। এক পর্যায়ে কাজী আবদুল্লাহকে তারা চাইনিজ কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে রক্তাক্ত জখম করে। তাকে উদ্ধার করতে তার বোন সাদিয়াতুন মুনতাহা ও মা সাজেদা বেগম মনিসহ স্থানীয়রা এগিয়ে এলে তাদেরও শ্লীলতাহানি এবং শ্বাসরোধে হত্যা চেষ্টা করা হয়। পরে স্থানীয় লোকজন আহতদের উদ্ধার শেষে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা দেয়। এ সময় কাজী হুমায়ন গং কাজী কামাল হোসেনের বাড়ির পিছনের গেইটের দরজা ভেঙে খুলে নিয়ে যায় এবং রাতের অন্ধকারে ভাড়াটিয়াদের ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক বের করে দেয়।
এ বিষয়ে মামলায় অভিযুক্ত কাজী কবির বলেন, আমি শিক্ষক, এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন, ভুয়া।
চৌদ্দগ্রাম থানার উপ-পরিদর্শক মুরাদ হোসেন বলেন, মধ্যরাতে বাড়ি থেকে বের করে দেয়ার অভিযোগে ৯৯৯ এ কল পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এ ঘটনায় আদালতে মামলা হয়েছে। ‘তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

Daily Frontier News