মাসুদ রানা বাবুল নরসিংদীঃ-
নরসিংদীর মাধবদী মহাবিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কামাল আহমেদ এবং অন্যান্য সৎ ও নিষ্ঠাবান শিক্ষকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে। অভিযোগ উঠেছে, সাবেক অধ্যক্ষ গৌতম চক্রবর্তী ও তার ঘনিষ্ঠ সহযোগীরা এই অপপ্রচারে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
পূর্ববর্তী বিশৃঙ্খলা ও অপকর্ম
২০১১ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত কলেজের বিভিন্ন আর্থিক অনিয়ম, শিক্ষার্থীদের ওপর দমন-পীড়ন এবং নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ ওঠে সাবেক অধ্যক্ষ দিলীপ গংদের বিরুদ্ধে। সাবেক অধ্যক্ষ দিলীপ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে প্রায় এক কোটি টাকা তসরুপের অভিযোগে তদন্ত চলছে। এ বিষয়ে প্রমাণাদি পাওয়া গেছে এবং তদন্ত প্রক্রিয়া এগিয়ে চলছে।
এছাড়া, কলেজের শিক্ষক বিলকিস সরকার পুতুল, যশোদা দুলাল চক্রবর্তী এবং স্টাফ তৌহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন কলেজে অনুপস্থিত থেকে বেতন গ্রহণের অভিযোগ রয়েছে। হাজিরা খাতায় তাদের অনুপস্থিতির প্রমাণ পাওয়া গেছে।
বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের সুশাসন
২০২৪ সালের আগস্টে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী ছাত্র সমন্বয়ের দিন অনুরোধে নরসিংদীর জেলা প্রশাসকের নির্দেশে কামাল আহমেদ কে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ দেন। তার যোগদানের পর কলেজে শৃঙ্খলা ফিরে আসে, শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ফিরে আসেন এবং শিক্ষা কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে।
তবে, সাবেক অধ্যক্ষ এবং তার সহযোগীরা বিভিন্ন ষড়যন্ত্রমূলক কর্মকাণ্ড শুরু করেছেন। তারা মিডিয়ার মাধ্যমে মিথ্যা তথ্য প্রচার করে বর্তমান অধ্যক্ষের সুনাম ক্ষুণ্ণ করার চেষ্টা করছেন।
গভর্নিং বডির ভূমিকা
কলেজের গভর্নিং বডি বর্তমান অধ্যক্ষের প্রতি আস্থা রেখে অনিয়মকারীদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। শিক্ষক বিলকিস সরকার পুতুল, যশোদা দুলাল চক্রবর্তী এবং তৌহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে। গভর্নিং বডির একাধিক সদস্য জানান বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমন করতে, ছাত্রদের উপর ছাত্রলীগকে লেলিয়ে দিয়েছেন সাবেক অধ্যাপক দিলীপ চক্রবর্তী, যশোদা দুলাল চক্রবর্তী, পুতুল ম্যাডাম, ও তৌহিদুর রহমান, এবং তারা স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার দোসর ছিলেন ।
শিক্ষার্থীদের মতামত
বর্তমানে শিক্ষার্থীরা কলেজের পরিবেশ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তারা বলেছেন, দীর্ঘদিনের বিশৃঙ্খলা এবং অনিয়ম দূর হয়ে এখন কলেজে সুশৃঙ্খল পরিবেশ বিরাজ করছে।
সকল ষড়যন্ত্রকারীদের প্রতি নিন্দা
বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এবং শিক্ষকগণ সকল মিথ্যা অপপ্রচারের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তারা কলেজের সুনাম রক্ষায় সকল অনিয়মকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
মাধবদী মহাবিদ্যালয়ের বর্তমান শৃঙ্খলা ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে এ পরিস্থিতি অব্যাহত রাখার প্রত্যাশা করছেন বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যাপক কামাল আহমেদ । কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যাপক কামাল আহমেদ জানান আমি ছাত্র জনতার অনুরোধে এবং মাননীয় জেলা প্রশাসকের নির্দেশে ভারপ্রাপ্ত অধ্যাপকের দায়িত্ব নিয়েছি বর্তমানে কলেজটি ভালো চলছে এবং ডিসিপিলিং এসেছে যারা কলেজের কোটি টাকা লুটপাট করেছে এবং কলেজে অনুপস্থিত থেকে বেতন নিবার চেষ্টা করছে তারা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা টকমা দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করাচ্ছে সংবাদগুলো মিথ্যা ও বানোয়াট ।
এ ব্যাপারে সাবেক অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতির তদন্ত চলছে । প্রিন্সিপালের বক্তব্য নিতে ফোন করলে তিনি মোবাইল রিসিভ করেনি।
Copyright © 2024 Daily Frontier News | Design & Developed By: ZamZam Graphics