মাসুম মির্জা নবীনগর উপজেলা প্রতিনিধিঃ-
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় নবীনগর উপজেলায় জাফরাবাদ মৌজার নতুনচর এলাকায় ৩২ একর দীর্ঘ একটি সুনির্দিষ্ট সীমানায় বালুমহাল ইজারা দেয় জেলা প্রশাসন। বড়িকান্দি ইউনিয়নের জাফরাবাদ মৌজায় সরকারি ভাবে বালু উত্তোলনের ইজারা থাকলেও ইজারাদারগন শ্যামগ্রাম ইউনিয়নের নাছিরাবাদ,চরমানিকনগর বীরগাঁও ইউনিয়নে কেদারখোলা এবং ঢোকে অপরিকল্পিত ভাবে বালু উত্তোলন করছেন।এর ফলে সাহেবনগর,নাছিরাবাদ,মানিকনগর বাজার,শ্রীঘর কান্দাপাড়া,বড়িকান্দি, কেদারখোলা গ্রাম নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার পথে,তাই এই অপরিকল্পিত বালু উত্তোলন বন্ধ ও সংশ্লিষ্ট এলাকার নদীর পাড়ের ফসলি জমি,বাজার,ও শতশত ঘরবাড়ি রক্ষার্থে স্থায়ী ভাবে বড়িকান্দি থেকে মানিকনগর বাজার পর্যন্ত দ্রুত সময়ের মধ্যে বাঁধ নির্মাণের দাবী জানান ও অবৈধভাবে বালু উত্তলন বন্ধ করার আহবান জানান।
নবীনগর পশ্চিম ইউনিয়ন চরলাপাং, সাহেব নগর, সাদেকপুর, বীরগাঁও ইউনিয়ন কেদারখোলায় ড্রেজার অবৈধভাবে বালু উত্তেলনের বন্ধের দাবি জানিয়েছে।
ইজারাদারি প্রতিষ্ঠান মুন্সী এন্টারপ্রাইজ মালিক ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন শোভন।
কান্দাপাড়া গ্রামবাসী সহ অনেকের সাথে, উনারা জানান প্রতিদিন মেঘনা নদীতে শতাদিক ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তলন করায় আমাদের গ্রাম টি ভাঙতে শুরু করেছে মাত্র এক মাসে হারিয়ে গেছে নদী গর্ভে কয়েকশ বিঘা জমি। এবং বড়িকান্দি ইউনিয়ন ঈদগাহ মাঠ এবং কবরস্থান নদী ভাঙ্গা দেখা দিয়েছে। এলাকার বাসিন্দারা আরও অভিযোগ করেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের তৈরি ৭২ কোটি টাকা বেড়িবাঁধ ভেঙেছে। সরজমিনে পরিদর্শন করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের টিম এবং পানি উন্নয়ন বোর্ড লিখিত আকার জেলা প্রশাসনকে জানিয়েছে বানমহল বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করেছে।
তারপরও কোন কাজ হচ্ছে না এলাকাবাসী এখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে আহ্বান জানিয়েছে দ্রুত বালু উত্তোলন বন্ধর জন্য।এ বিষয় এ নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর ফরহাদ শামীম জানান অবৈধভাবে বালু উত্তলন বন্ধ করতে আমাদের অভিযান চলছে তা নিয়মিত চলবে, এবং নদী ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
Copyright © 2024 Daily Frontier News | Design & Developed By: ZamZam Graphics