Daily Frontier News
Daily Frontier News

ঘাটাইলে পেশাজীবী দল যেনো ভারা ভাতেই বিসমিল্লাহ

 

মোঃ মশিউর রহমানঃ-

বিভেদ নয় ঐক্য চাই, সংঘাত নয় শান্তি চাই এই শ্লোগানকে কেন্দ্র করিয়া টাংগাইলের ঘাটাইলে কিছু বিএনপি নামধারি কুচক্র বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী পেশাজীবী দলগঠন করছে। ঘাটাইলের পেশাজীবী দলের আহ্বায়ক আব্দুল লতিফ এবং সদস্য সচিব হিটলু সাহেব। ৩১ আগস্ট(শনিবার) বিকেল তিনটার দিকে ঘাটাইল সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের শ্রেণীকক্ষে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী পেশাজীবী দলের আহ্বায়ক আব্দুল লতিফ সাহেবের সভাপতিত্বে স্বস্তির পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা শেষে ঘাটাইল সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে কয়েক সেকেন্ডের স্বস্তির পদযাত্রা রেলী বের হয়। ২৫০ জন লোকের আয়োজন থাকলেও ৩২ জনের মতো লোকজন এসময় উপস্থিত ছিলো। ঘাটাইলে বিএনপির মধ্যে দুই গ্রুপ একটি আজাদ গ্রুপ আরেকটি নাসির গ্রুপ। কিন্তু পেশাজীবী দল, দুই গ্রপকেই নিমন্ত্রণ করছিলো। দেখা গেছে কোনো গ্রুপের নেতাকর্মী এসময় উপস্থিত ছিলো না। তবে লক্ষণীয় যে, আজাদ গ্রুপ যখন মিটিং মিছিল করে তখন পেশাজীবী দলের দেখা মিলেনি আবার নাসির গ্রুপ যখন মিটিং মিছিল করে তখনও পেশাজীবী দলের দেখা মিলেনি। এইজন্য তাদের মিটিংএ কোনো গ্রুপের নেতা কর্মী উপস্থিত ছিলো না। এই পেশাজীবী দল নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন সমালোচনা হচ্ছে। এই পেশাজীবী দলের সদস্য সচিব হিটলু সাহেব বলেন, সকল ইউনিয়নে একটি করে কমিটি গঠন করবেন। স্পষ্ট যে, আজাদ গ্রুপ আর নাসির গ্রুপ কখনো একত্রে মিটিং করবেনা। তাহলে কি পেশাজীবী দল নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করবে? সদস্য সচিব বলেছেন, প্রকৃত পক্ষে আমি মনে করি প্রত্যেকটি লোকই একদম প্রখর বিএনপি পরিবারের সন্তান, কোনোনা কোনো পেশায় নিয়োজিত, আমি এধরণের লোকদেরকেই খোজঁছিলাম। খোজঁছিলাম এই কারণেই কারণ আমি গ্রুপিং পছন্দ করিনা। আমার এই পাশে একটি গ্রুপ ঐপাশে আরেকটি গ্রুপ আমি কাকে মানবো সেও তো বিএনপি। আমরা ধানের শিষকে ভালোবাসি। আমরা প্রেসিডেন্ট শহীদ জিয়ায়ুর রহমানকে ভালোবাসি। আমরা খালেদা জিয়াকে ভালোবাসি।আমরা তারেক জিয়াকে ভালোবাসি। সদস্য সচিব একথাও বলেছেন যে, তাঁরা ১৬ বছর রাজপথে বেরুতে পারেনাই। তাহলে স্পষ্ট ভাবে বলা যায় যে, শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর পরই ঘাটাইল উপজেলায় পেশাজীবী দলের আগমন। কিন্তু কেনো? এদিকে সদস্য সচিব এ দলের কর্মীদের প্রত্যেক ইউনিয়নে কমিটি করার জন্য অনুপ্রাণিত করছে। পেশাজীবী দল মূলত তাদের স্বার্থ ব্যতিত অন্য কোনোকিছুই বুঝেনা। সদস্য সচিব আরো বলেন, আমাদের পারিবারিক ভাবে, অর্থনৈতিক ভাবে, সামাজিক ভাবে, অনেক ভাবে আমাদের হেনস্থা করেছে, তখন কথা বলার কেউ ছিলোনা। আমাদের মাঝেও এমন কোনো লোক আছে বিএনপি নামধারি, তাদের সাথে আলাপ করে, তাদের সাথে সুর মিলিয়ে আমাদেরকে ক্ষতি করেছে।সদস্য সচিব পূর্বেই বলেছেন, ১৬ বছর তাঁরা নাকি রাজপথে বেরুতেই পারেনাই। তাহলে তাদের ক্ষতি করলো কে? সদস্য সচিব আরো বলেন, এটা চিরন্তন সত্য সূর্য যেমন পূর্ব দিক থেকে উদিত হয়, পশ্চিম দিকে অস্ত যায় এই ধরণের লোককে এখানে তার ঠাই নাই। এখন থেকে আমি বলবো আমাদের এই সংগঠনে যারা আসবে তারা মনে থেকে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করবে যে আমরা কারো কাছ থেকে টাকা পয়সা নিবোনা। আমরা আজকের এই অনুষ্ঠানের খরচ নিজেদের অর্থায়নে করেছি। আমাদের বলেছে, টাকা দেই? আমরা বলছি আমাদের টাকা লাগবেনা। তাহলে এখানেও প্রশ্ন থেকে গেলো, কে বা কারা টাকা দিতে চাইলো যার কারণে তাঁরা টাকা নিলোনা? এসময় পেশাজীবী দলের আহ্বায়ক বলেছেন, প্রতিটা ইউনিয়নে একটি করে যুগ্ম-আহ্বায়ক হবে, তাদের দ্বারা কমিটি গঠন করা হবে। সদস্য সচিব বলেন, কেন্দ্রীয় থেকে যাকে ধানের শীষ মনোনয়ন করবে তাদের হয়ে আমরা নিবেদিত ভাবে কাজ করবো।প্রয়োজন হলে নিজের টাকা খরচ করবো। একটা দল যদি ক্ষমতায় থাকে তাহলে তার ফেবার আলাদা। সদস্য সচিব বলেন, একটা মিথ্যা কথা যদি আপনি একশোবার বলেন তাহলে সেটা সত্যে রুপান্তরিত হয়। এটাই প্রতীয়মান হয় যে, সদস্য সচিব নিজেই মিথ্যার বাক্স। তিনি নাকি মিথ্যা কথা শুনতেই পারেননা। ইতোপূর্বেই সদস্য সচিব বলেছেন, তাঁরা কোনো গ্রুপের হয়ে কাজ কাজ করবে না, যাকে ধানের শীষের মনোনয়ন দিবে পেশাজীবী দল তাঁর হয়েই কাজ করবে। তাহলে আবারো প্রশ্ন থেকে যায়, যতদিন পর্যন্ত কেউ ধানের শীষের মনোনয়ন না পাবে ততোদিন পর্যন্ত তাঁরা কি আজাদ গ্রুপ আর নাসির গ্রুপ, উভয় গ্রুপকেই তেল মালিশ করবে? এজন্য উভয় গ্রুপকেই, পেশাজীবী দলের কবলে পড়া থেকে সাবধানের সহিত থাকতে বিশেষ ভাবে অনুরোধ করা হলো।

Daily Frontier News