Daily Frontier News
Daily Frontier News

নীলফমারীতে সাবেক দুই এমপি, সদর থানার ওসি এবং ২ সাংবাদিক সহ ৬০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

 

তপন দাস, নীলফামারী প্রতিনিধি

নীলফামারীতে দুই সাবেক সংসদ সদস্য, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, সদর থানার সাবেক ওসি, দুই পুলিশ সদস্য ও দুই সাংবাদিকসহ ৬০ জনের বিরুদ্ধে আরো একটি মামলা দায়ের হয়েছে। সোমবার নীলফামারী চিফ জুডিশিয়াল আমলী আদালত-১ এ ওই মামলা দায়ের করেন শহরের মো. সৌমিক হাসান সোহান নামের এক শিক্ষার্থী। ওই শিক্ষার্থী নীলফামারী বিএম কলেজের ছাত্র এবং শহরের পূর্ব কুখাপাড়ার শামীম হোসেনের ছেলে। আদালতের বিচারক মামলাটি সদর থানাকে এফআইআর হিসেবে গ্রহনের জন্য নির্দেশ দেন। মঙ্গলবার সেটি রেকর্ড করার প্রক্রিয়ায় রয়েছে বলে সদর থানার ওসি (তদন্ত) এম আর সাঈদ। মামলায় গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার শান্তিপূর্ণ আন্দোলন প্রতিহত করতে অবৈধভাবে দেশিয় অস্ত্রসহ আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার, বলপ্রয়োগ ও গত ১৮ জুলাই থেকে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা-মামলার নামে ভয়ভীতি প্রদান ও চাঁদা দাবির অভিযোগ আনা হয়। নামীয় ৬০জনসহ অজ্ঞাত আরো ৩০০ জনকে আসামী করা হয়। উল্লেখযোগ্য আসামীরা হলেন, নীলফামারী-২ (সদর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর, নীলফামারী-১ ( ডোমার-ডিমলা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আফতাব উদ্দিন সরকার, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নীলফামারী পৌরসভার সাবেক মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মমতাজুল হক, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবুজার রহমান, সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুদ রহমান, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শাহিদ মাহমুদ, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মুসফিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আরিফ হোসেন মুন প্রমুখ। একই মামলায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ছাড়াও আসামী করা হয়েছে সদর থানার সাবেক ওসি মো. তানভিরুল ইসলাম, একই থানার উপ-পরিদর্শক রনি কুমার পাল ও সাংবাদিক আল ফারুক পারভেজ উজ্জল ও সাংবাদিক ফেরদৌস আলম চপলকে আসামী করা হয়। সাংবাদিক আল ফারুক পারভেজ উজ্জল জেলা রিপোর্টারস ইউনিটির সাবেক সভাপতি এবং দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশ পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি। সাংবাদিক চপল নীলফামারী প্রেসক্লাবের সহযোগি সদস্য ও দৈনিক জবাবদিহি ও গ্লোবাল টিভির জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত আছেন। এবিষয়ে নীলফামারী সদর থানার পরিদর্শক তদন্ত এম আর সাঈদ বলেন, ‘মামলাটি এফআইআর হিসেবে গ্রহনের জন্য বিজ্ঞ আদালত থেকে সোমবার পেয়েছি। সেটি আদালতের দেয়া সময়সীমার মধ্যে রেকর্ড করার প্রক্রিয়া চলমান আছে।’ উল্লেখ, এর আগেও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোল চলাকালে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও সহিংসতার অভিযোগে সদর থানার ওসির বিরুদ্ধে একটি এবং আওয়ামী লীগের নেত্রীবৃন্দের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের হয়।

Daily Frontier News