তপন দাস , নীলফামারী, প্রতিনিধি
নীলফামারীতে বিএনপি সহ এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের কার্যালয়ে ভাংচুর অগ্নি সংযোগের অভিযোগে সাবেক প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সড়ক পরিবহন সেতুমন্ত্রী মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের , সাবেক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী ও নীলফামারী ২ আসনের সাংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর , বাংলাদেশ ছাত্র লীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন সহ ১২৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন নীলফামারী জেলা সেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুস সালাম বাবলা।
বৃহস্পতিবার বিকেলে নীলফামারী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিসটেট আমলী আদালত ১ এ ওই মামলা টি দায়ের করেন। এবং একই মামলায় আসামি করা হয় নীলফামারী সদর থানার সাবেক অফিসার ইনচার্জ তানভিরুল ইসলাম। এবং এই মামলায় আরো অঙ্গাত ৩০০ জনকে আসামি করা হয় ।
এবিষয়ে মামলার বাদির আইনজীবী আসাদুজ্জামান রিনো বিষয় টি নিশ্চিত করে বলেন আদালতের বিঙ্গ বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্টেট মোহাম্মদ শাহিন কবির মামলাটি গ্রহণ করেন এবং সদর থানার অফিসার ইনচার্জ কে এফ আই আর হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন ।
এই মামলার উল্লেখ যোগ্য আসামিরা হলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নীলফামারী পৌরসভার সাবেক মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ , সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মমতাজুল হক, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবুজার রহমান , জেলা তাতী লীগের সভাপতি দেওয়ান সেলিম আহমেদ, জেলা কৃষক লীগের সভাপতি ইয়াহিয়া আবিদ, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহিদ মাহমুদ প্রমুখ, অভিযোগ মতে , বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত ৪ আগষ্ট সকাল ১১ টায় সাবেক প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশত্যাগের দাবিতে জেলা শহরের চৌরঙ্গী মোড়ে সমবেত হয় ছাত্র জনতা । এবং উক্ত আন্দোলন দমনে সাবেক প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের , আসাদুজ্জামান খান কামাল, ও সাদ্দাম হোসেনের নির্দেশে আসামিরা দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে সমবেত হতে থাকে এবং সদর থানার অফিসার ইনচার্জ তানভিরুল ইসলামের নেতৃত্বে বেলা ২ টার দিকে অস্ত্রের অপব্যবহার করে সাধারণ জনতার উপর অতর্কিত হামলা চালায় এবং এতে অনেকে গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। এবং এসময় আসামিরা বিএনপি সহ এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন অফিসে হামলা ভাংচুর এবং অগ্নি সংযোগ করে ও মালামাল লুট করে নিয়ে যায় । এবং তাতে সংগঠনের আনুমানিক ২ লাখ টাকার ক্ষতি হয়। এবং আসামিরা জেলা শহরের শাহাদাত হোসেন সরকারের দোকান , জেলা বিএনপির সভাপতি আলমগীর সরকার , ও সহসভাপতি সেলিম ফারুকের বাড়ি সদর উপজেলার যুবদলের আহবায়ক শামীম শাহ্ আলম তমু, এবং জেলা বিএনপির সদস্য শহীদ জাহাঙ্গীর আলম স্বপনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাংচুর এবং অগ্নি সংযোগ এবং লুটপাট চালায় ।
মামলার বিষয়ে নীলফামারী সদর থানার পরিদর্শক তদন্ত এম আর সাইদ বলেন এখনো আদালতের কোন আদেশ আমার কাছে এসে পৌঁছেনি।
Copyright © 2024 Daily Frontier News | Design & Developed By: ZamZam Graphics