Daily Frontier News
Daily Frontier News

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে বঙ্গবীর জেনারেল আতাউল গনি ওসমানী’র ১০৬ তম জন্মবার্ষিকী পালন

 

নবীগঞ্জ প্রতিনিধি:-

মহান মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক বঙ্গবীর জেনারেল আতাউল গনি ওসমানী সাহেবের ১০৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে নবীগঞ্জে আলোচনা সভা ও ওসমানীর রুহের আত্মার মাগফিরাত কামনায় মোনাজাত করা হয়েছে। রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) বাদ আছর ঢাকা- সিলেট মহা সড়কের নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি রশিদিয়া পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ গেইটের সামনে ওসমানী স্মৃতি পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বদরুজ্জামান চানুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের শুরুতেই আউশকান্দি স্কুল ও কলেজ মসজিদের মোয়াজ্জিন রহমত আলী জালালীর কোরআন তেলওয়াতের মাধ্যমে অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, তাহিরপুর মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা আলতাফ উদ্দিন, বাজার ব্যবসায়ী মুজিবুর রহমান, আউশকান্দি স্কুল ও কলেজের শিক্ষক সৈয়দ ফয়ছল আহমদ, সৈয়দ জাহির আলী, তোফাজ্জল হোসেন, সৈয়দপুর মাদ্রাসার শিক্ষক আব্দুর রহিম তালুকদার, কন্ঠশিল্পী খালেদ আহমেদ ও বদরুজ্জামান চানু। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, শেরপুর শাহ পরান দাখিল মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা আব্দুল হালিম, দি সান সাইন এর শিক্ষক আঙ্গুর, সাংবাদিক বুলবুল আহমেদ, বাজার ব্যবসায়ী আবুল কাসেম, হেলাল মিয়া, আবিদ আলী সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার লোকজন উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা সভা শেষে মুক্তিযোদ্ধের সর্বাধিনায়ক বঙ্গবীর জেনারেল আতাউল গনি ওসমানী সাহেবের রুহের আত্মার মাগফিরাত কামনায় মোনাজাত করেন, আউশকান্দি রশিদিয়া পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষক ঈমাম মাওলানা জিয়াউর রহমান মীর।

সভায় বক্তারা তাদের বক্তব্যে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি বঙ্গবীর জেনারেল মুহাম্মদ আতাউল গণি ওসমানীর ১০৭তম জন্মদিন আজ। ১৯১৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর বাবা খান বাহাদুর মফিজুর রহমানের কর্মস্থল সুনামগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তার গ্রামের বাড়ি সিলেটের বালাগঞ্জ বর্তমান ওসমানী নগর থানার দয়ামির জালালপাড়া গ্রামে।

প্রসঙ্গত:- জেনারেল ওসমানী যৌবনে ব্রিটিশ আর্মিতে যোগ দেন। সেখানে তিনি ছিলেন, বাঙালিদের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ মেজর। পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে থাকাকালে ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্ট প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন তিনি। এ ছাড়া চট্টগ্রাম সেনানিবাসের প্রতিষ্ঠাতাও তিনি। ১৯৬৭ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনী থেকে অবসর গ্রহণ করেন কর্নেল হিসেবে। বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে সত্তরের ঐতিহাসিক নির্বাচনে এমএনএ নির্বাচিত হন ওসমানী। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে মুক্তিবাহিনীর প্রধান হিসেবে অসামান্য কৃতিত্ব প্রদর্শন করেন। স্বাধীনতার পর ১৯৭১ সালের ২৬ ডিসেম্বর তাকে বাংলাদেশ আর্মড ফোর্সের জেনারেল পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। ১৯৭২ সালে দায়িত্ব থেকে অবসর নিয়ে বঙ্গবন্ধু সরকারের মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ পদে বসেন তিনি। ১৯৭৩ সালের সংসদ নির্বাচনেও নির্বাচিত হন তিনি। তবে, পরের বছর মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন। এরপর বাকশাল গঠনের প্রতিবাদে ১৯৭৫ সালে সংসদ সদস্য পদ ও আওয়ামী লীগের সদস্যপদ ত্যাগ করেন। স্ব-পরিবারে বঙ্গবন্ধু হত্যার পর ১৯৭৫ সালের ২৯ আগস্ট খন্দকার মোশতাক আহমেদের প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা পদে নিয়োগ পান ওসমানী। তবে, ৩ নভেম্বর জেলহত্যার ঘটনার পর ওই পদ থেকে পদত্যাগ করেন। ১৯৭৬ সালে জাতীয় জনতা পার্টি নামে নিজেই একটি রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করেন। ওসমানী সাহেবের কথা বলতে গেলে মুজিবের আগেই বঙ্গবীর ওসমানী’র কথা বলতে হবে বলেই তারা তিনির নাম চিরতরে মুছে ফেলতে চেয়েছিল। গত ৫ আগষ্ট আবার আমাদের এদেশ স্বাধীন হয়েছে। এতে, পালিয়ে গেছে সৈরাচার হাসিনা। তাই বর্তমান সরকারের কাছে আমাদের আবেদন ও নিবেদন, মেজর জেনারেল আতাউল গনি ওসমানী সাহেবের জন্ম ও মৃত্যু দিবস যেন সরকারি ভাবে পালন করা হয়।

 

Daily Frontier News