হামিদা সুলতানা মনি
‘দুই লাখ টাকার গরুর চামড়া কেউ ২০০ টাকাও বলেনি। তাই মাটিতে পুঁতে ফেলেছি। দুপুরে শুধু একজন আসছিল। তাও দাম বলেছে ১৫০ টাকা। সারাদিন আর কেউ আসেনি। গরুর চামড়া এত অবহেলার বস্তু হয়ে গেছে!’
আক্ষেপের সুরে কথাগুলো বলছিলেন চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার সাহেরখালী ইউনিয়নের ডোমখালী গ্রামের বাসিন্দা নুরুল গনি।
কোরবানিদাতারা বলছেন, এবারও তারা চামড়ার ন্যায্যমূল্য পাননি। প্রতিটি গরুর চামড়া বিক্রি করতে হয়েছে ১০০-২০০ টাকায়। অনেকে বিক্রি করতে না পেরে মাটিতে পুঁতে দিয়েছেন। এতিমখানায় দান করেছেন কেউ কেউ।
মধ্যম ওয়াহেদপুর এলাকার জহির উদ্দিন বলেন, ‘আজ থেকে ২০ বছর আগে গরুর চামড়া বিক্রি করেছি এক থেকে দেড় হাজার টাকায়। তখন গরুর দাম ছিল ৩০-৫০ হাজার টাকা। অথচ এখন লাখ টাকার নিচে গরু নেই। কিন্তু চামড়ার দাম পানির চাইতে কম।’
ট্যানারিতে ঢুকছে কাঁচা চামড়া, ন্যায্যমূল্য না পাওয়ার অভিযোগ
কাঁচা চামড়ার দাম কিছুটা বাড়লেও খুশি নন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা
বারইয়ারহাট পৌরসভার জামালপুর এলাকার দিদারুল আলম সুমন বলেন, ‘সব জিনিসের দাম অনেক বেশি। গত এক যুগে চামড়াজাত জিনিসের দাম কয়েকগুণ বেড়েছে। উল্টো দফায় দফায় কমেছে পশু চামড়ার দাম। চামড়া নিয়ে নৈরাজ্যের শেষ নেই।’
মৌসুমি চামড়া ক্রেতা সজিব জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমাদেরকে বড় ব্যবসায়ীরা একটা রেট নির্ধারণ করে দিয়েছে। আমরা ওই রেটের চেয়ে বেশি টাকায় চামড়া কিনতে পারবো না।’
এ বিষয়ে মিরসরাই উপজেলা কাঁচা চামড়া সমিতির সভাপতি কামাল উদ্দিন বলেন, ‘খুচরা ব্যবসায়ীদের আমার আড়তে চামড়া দিয়ে যেতে বলা হয়েছে। দুপুরের পর থেকে তারা চামড়া দিয়ে যাচ্ছেন। আমাদের লোকজনও বিভিন্ন বাজারে গিয়ে কিনছেন। এরইমধ্যে চার হাজার চামড়া কালেকশন হয়েছে। আশা করছি, রাতের মধ্যে আরেও অনেক চামড়া আসবে।’
Copyright © 2024 Daily Frontier News | Design & Developed By: ZamZam Graphics