Daily Frontier News
Daily Frontier News

বিভিন্ন ঘাটে‌ পালিত হল শ্রীকৃষ্ণর পূজা, ও রাসলীলা উৎসব।

 

শ্রী মিশুক চন্দ্র ভুঁইয়া
পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি।

পটুয়াখালী জেলা কলাপাড়া উপজেলা শ্রী শ্রী রাধাকৃষ্ণ মন্দির ও তীর্থযাত্রী সেবাশ্রম কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত, মন্দিরে শ্রীকৃষ্ণর পূজা ও রাসলীলা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। পুন্যস্নানের সময় ২৭ নভেম্বর ভোর ৫ টা সময়। সকাল থেকেই শুরু হয়েছে পূজা, থেকে শুরু করে বাংলাদেশ বিভিন্ন ঘাটে পুজো, ,, বাঙ্গালীদের যেমন বড় উৎসব দুর্গাপুজো ,,, তেমনি হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের এই শ্রীকৃষ্ণ পুজো হলো শ্রেষ্ঠ পুজো,,, সারা বছর অপেক্ষা করে থাকেন এই পুজোটির জন্য এবং. এবং অনেকে মানত করেও থাকেন এই শ্রীকৃষ্ণ পূজা আর আজকের দিনে তারা সেই মানত শোধ করতে নদীবক্ষে আসেন,, ঘাটে বিভিন্ন রকম উপকরণ দিয়ে গঙ্গা মাকে পূজো করে ,,তারা বাঙ্গালীদের মতো জলে নেমে তর্পণ সারেন, আর শ্রীকৃষ্ণ পুজো মানেই বিশেষ উপকরণ হলো কলার আখেরগুড় ভোগ সামগ্রী জানা গেল এটি না হলে কখনোই পুজো সম্পূর্ণ হয় না। দূর-দূরান্ত থেকে মহিলারা এমনকি পুরুষেরাও বাদ্যি বাজনা বাজিয়ে প্রশেসনের মধ্য দিয়ে ঘাটে আসেন, গঙ্গামাকে পুজো দিতে,
আজ বিভিন্ন ঘাটে বিভিন্ন এই পুজোর শুভ সূচনা করেন। একদিকে যেমন ভোর ৫ টা এই পূজার শুভ সূচনা করেন, এসে এই পুজা সূচনা করেন এবং সকলকে শুভেচ্ছা জানান, এবং সংক্ষিপ্ত বক্তৃতার মধ্য দিয়ে বলেন সবার উৎসব করার চেষ্টা করেন। , এবং এই উৎসবের মধ্য দিয়ে তিনি সবাইকে শুভেচ্ছা ও বিভিন্ন বার্তা দেওয়ার চেষ্টাও করেন।,, যিনি প্রতিটি মানুষের কথা ভাবেন মানুষের জন্য কাজ করার চেষ্টা করেন এবং মানুষের সাথে পাশে থাকার চেষ্টা করেন, শুধু মন্ত্রী রায় এই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন তা নয় বিভিন্ন সংস্থা তারা ওই শ্রীকৃষ্ণ পুজোয় এগিয়ে এসেছেন সহযোগিতার হাত বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন মঞ্চ করে তারা বারবার সকলের উদ্দেশ্যে জানান এবং পরিসেবা দেওয়ার কথা বলেন, জল ডাক্তার ঔষধ সমস্ত কিছুরই ব্যবস্থা তারাও রেখেছেন এবং বারবার ঘোষণা করছেন যদি কেউ অসুস্থ হয়ে পড়েন আমাদের এই কার্যালয়ে এসে তারা দেখিয়ে যেতে পারেন আমরা আপনাদের পাশে আছি,,
এর সাথে সাথে প্রশাসনের অফিসার কর্মীরা হিমশিম খেতে থাকেন,, যত সন্ধ্যে হয়ে আছে ,,তত উপচে পড়ে ভিড় ঘাটে ঘাটে ,,এমনকি গঙ্গার ঘাটে,, কিছুটা দূরে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে রেখেছেন,,, যাতে কোনোভাবে কেউ দুর্ঘটনা ঘটাতে না পারে এবং সতর্ক দৃষ্টিতে নজর রাখছেন ।। এমনকি ডুবুরি দাও মাঝে মাঝে পরিদর্শন করছেন,,
পুজো দিতে আসা পরিবারেরা জানালেন আমাদের কাছে এই পূজাটি হলো সবচাইতে মঙ্গলময় পূজা, আমরা যা চাই আমাদেরকে পূরণ করেন মা গঙ্গা,, এবং আমরা যে সিদুরটি পড়ি সেই সিঁদুরটিও অতি মূল্যবান যা শুধু আমরাই এই সিদুটি ব্যবহার করি,, এবং আমরা মায়ের কাছে বিভিন্ন রকম মানত করে থাকিকুয়াকাটায় রাসমেলা রবিবার, বিভিন্ন স্পট সাজানো হয়েছে অপরূপ সাজে, কুয়াকাটায় হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ঐতিহ্যবাহী রাসমেলা ও পুণ্যস্নান অনুষ্ঠিত হবে ২৬ নভেম্বর (রবিবার)। সোমবার ঊষালগ্নে সমুদ্রস্নান শেষে সমাপ্তি ঘটবে রাস মেলা ও উৎসবের।
উল্লেখ্য, প্রায় দুইশ বছর ধরে প্রতিবছর পূর্ণিমার তিথিতে এ অঞ্চলে রাসমেলা আয়োজন করা হয়। এ মেলায় হিন্দু পুণ্যার্থীদের পাশাপাশি লক্ষাধিক মানুষের কুয়াকাটায় আগমন ঘটে। রাসমেলা ও সৈকতে পুণ্যস্নানকে ঘিরে কুয়াকাটা রাস উদযাপন কমিটিকে সব ধরনের সহায়তা দিয়ে থাকেন জেলা প্রশাসন, পৌরসভা, ট্যুরিস্ট পুলিশসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান। ভক্তদের জাগতিক পাপ ও রোগমুক্তির আশায় সমুদ্রস্নান ও পূজা অর্চনা আর প্রতিমা দর্শনে পুণ্যার্থীদের সমাগম ঘটে কুয়াকাটায়।
দেখা গেছে, রাসমেলা উপলক্ষে কুয়াকাটার পর্যটন স্পট ঝাউবন, রাখাইন পল্লী, লেম্বুর বন, গঙ্গামতীর চর, বৌদ্ধ বিহার, রাখাইন মার্কেটসহ বিভিন্ন স্পট সাজানো হয়েছে অপরূপ সাজে। ১৭ জোড়া যুগল প্রতিমা প্রস্তুত করা হয়েছে। রাসমেলায় আগতদের থাকা-খাওয়া নির্বিঘ করতে আবাসিক হোটেল ভাড়া ও রেস্তোরাঁয় খাবারের তালিকামূল্য টাঙানো হয়েছে। পানি ও পর্যাপ্ত স্যানিটেশন ব্যবস্থা নিশ্চিতকরা হয়েছে। সৈকতের জিরোপয়েন্ট থেকে দুই কিলোমিটার এলাকার মধ্যে টুরিষ্ট পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা টহল দেবে। কুয়াকাটা শ্রী শ্রী রাধা কৃষ্ণ মন্দির ও তীর্থযাত্রী সেবাশ্রমের সাধারণ সম্পাদক নিহার রঞ্জন মন্ডল বলেন, প্রায় ২০০ বছরের আগে থেকেই এ রাস পূজা ও রাস উৎসব উদযাপন করে আসছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। এরই ধারাবাহিকতায় আগামী রোববার রাতে অধিবাসের মধ্য দিয়ে রাস পূজা শুরু হবে।
এদিকে রাসমেলা উপলক্ষে কলাপাড়া উপজেলা প্রশাসন, পটুয়াখালী জেলা প্রশাসন থেকে সকল নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। পুরো সৈকত সিসিটিভির আওতায় আনা হয়েছে। এছাড়াও সাদা পোশাকে থাকবে পুলিশ-র‌্যাব সদস্যরা। পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক নুর কুতুবুল আলম এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

Daily Frontier News