জামাল উদ্দিন স্বপন কুমিল্লা
গত ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৩২ খ্রিঃ তারিখ শুক্রবার অপরাহ্নে নিজ বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যাওয়া সাকিব হোসেন(২০) পিতা-আনোয়ার হোসেন, সাং-সাতবাড়িয়া দক্ষিণপাড়া, থানা-নাঙ্গলকোট, জেলা-কুমিল্লা এর মৃত দেহ ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ খ্রিঃ অপরাহ্নে তার বসত ঘরের অনুমান ১০০ গজ দূরে একটি সেপ্টিক ট্যাং এর মধ্য পাওয়া যয়। মৃতের পিতার অভিযোগের ভিত্তিতে নাঙ্গলকোট থানায় মামলা নং ০৪, তারিখ -০৪/০৯/২০২৩, ধারা- ৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোড অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে রুজু হলে সাব ইন্সপেক্টর উজ্জ্বল চন্দ্র বিশ্বাসকে তদন্তভার দেয়া হয়। পুলিশ সুপার, কুমিল্লা আব্দুল মন্নান পিপিএম(বার) মহোদয়ের প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় এবং অন্যান্য উর্ধ্বতন কর্মকতাদের সরাসরি তত্বাবধান এবং অংশ গ্রহণে পুলিশ তদন্তে নামে। তদন্তকালে মৃত সাকিব হোসেন(২০) এর প্রতিবেশী ইব্রাহীম এর ঘরের ভাড়াটিয়া জনৈক মফিজুল ইসলাম(৫৩) পিতা-মৃত কালা মিয়া, সাং-কলাউড়া, থানা-দোয়ারা বাজার, জেলা-সুনামগঞ্জকে গোপনীয় ও প্রকাশ্য তদন্তের মাধ্যমে এবং তথ্য প্রযুক্তির সহযোগীতায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আজমপুর রেলস্টেশন থেকে ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ খ্রিঃ গ্রেফতার করে। তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে সে স্বীকার করে যে, জনৈকা সুফিয়া বেগম এর সাথে তার পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক মোঃ সাকিব হোসেন(২০) দেখে ফেলায় সমাজে জানাজানি হয়ে যাবে এবং সুফিয়া বেগমের সংসার ভেঙে যাবে এ আশংকায় উক্ত মফিজুল ইসলাম ও সুফিয়া বেগম সাকিবকে হত্যার পরিকল্পনা করে। আসামী মফিজুল ইসলাম লেবুর শরবতের মধ্যে ঘুমের ঔষধ মিশিয়ে গত ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ খ্রিঃ তারিখ রাতে সাকিব হোসেনকে খাওয়ায়। এর ফলে মোঃ সাকিব হোসেন গভীর ঘুমে অচেতন হয়ে যায়। তাকে মধ্যরাতে মফিজুল ইসলাম ও সুফিয়া বেগম বাড়ির বাইরে নিয়ে আসামী মফবজ নিজের গামছা সাকিব হোসেন এর গলায় পেঁচিয়ে সাকিব হোসেনকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। মৃত্যু নিশ্চিত হলে খুনি মফিজুল ইসলাম ও সুফিয়া বেগম সেপ্টিক ট্যাংকে সাকিব হোসেন এর মৃত দেহ ফেলে দেয়। গ্রেফতারকৃত মফিজুল ইসলাম আজকে আদালতে বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে স্বীকারোক্তি মুলক জবানবন্দির মাধ্যমে বর্ণিত খুনের ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দেয়। জবানবন্দী প্রদানের পরে মফিজুল ইসলামকে করাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
Copyright © 2025 Daily Frontier News | Design & Developed By: ZamZam Graphics