মো. বিল্লাল হোসেন:
ইসলামী ধর্মীয় শিক্ষায় এগিয়ে নিতে দেবীদ্বারের গুনাইঘরে রোকেয়া মহিলা মাদ্রাসা ও এতিমখানার উদ্বোধন করা হয়েছে।
১ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সকাল ১০ টার সময় রোকেয়া মহিলা মাদ্রাসা ও এতিমখানা মাঠ প্রাঙ্গণে মাদ্রাসা উদ্বোধন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটি।
গুনাইঘর মফিজুল উলুম হাফিজিয়া মাদ্রাসার নাজেরা বিভাগের শিক্ষক মো. সানাউল্লাহ’র সঞ্চালনায়, গুনাইঘর মফিজুল উলুম হাফিজিয়া মাদ্রাসার সভাপতি মো. শাহজাহান মাষ্টারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, ৯ নং গুনাইঘর উওর ইউনিয়ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোকবুল হোসেন মুকুল, বিশেষ অতিথি ছিলেন,দেবীদ্বার উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জিএস মো. আব্দুল মান্নান মোল্লা।
এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন,গুনাইঘর উওর ইউনিয়ন ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শাজু,গুনাইঘর মফিজুল উলুম হাফিজিয়া মাদ্রাসার মুহতামিম নাসির উদ্দিন,হেফজ বিভাগের শিক্ষক মো.ইয়াছিন,আল আমিন,নাজেরা বিভাগের শিক্ষক মো.ইব্রাহিম,মো. আল আমিন,মো.নোমান ও মাদ্রাসায় পড়ুয়া সকল ছাত্রদের অভিভাবকসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, “এ অঞ্চলে কোন মহিলা মাদ্রসা নাই। মহিলাদের দ্বিনি শিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তোলার জন্য মহিলা মাদ্রাসার বিশেষ প্রয়োজন ছিলো তা গুনাইঘর রোকেয়া মহিলা মাদ্রাসা ও এতিমখানা উদ্ভোদনে আজ পূরণ হলো। ব্যাক্তি, সমাজ, দেশকে উন্নয়ন করতে হলে শিক্ষার পরিবেশ তৈরী করতে হবে। শিক্ষাই পারে সমাজ ও ব্যাক্তিকে অন্ধকার থেকে আলোর মুখ দেখাতে। আর সেই শিক্ষা হতে হবে আল্লাহর উদ্দ্যেশে নবীর আদর্শগত শিক্ষা। যার মধ্যে মানবতার মুক্তির সকল নিয়ম-কানুন রয়েছে। নারী জাতির মেধা, মননশীলতা, বিবেক ও বুদ্ধিবৃত্তিক উৎকর্ষের ক্ষেত্রে রাসুলুল্লাহ (সা.) অত্যন্ত গুরুত্ব প্রদানের সঙ্গে সঙ্গে নারীশিক্ষায় ব্যাপক পৃষ্ঠপোষকতাও দিয়েছেন। কেননা, তিনি মনে করতেন, নারীকে শিক্ষাবঞ্চিত রেখে যেমন আর্থসামাজিক উন্নয়ন সম্ভব নয়, তেমনি শিক্ষিত জাতি গঠনে এবং পারিবারিক শিক্ষার ভিত্তি মজবুত করার জন্য মেয়েদের শিক্ষা কার্যক্রমে আত্মনিয়োগ করা অনস্বীকার্য। যেমনভাবে উম্মুল মুমিনিন l কাছে আগত মহিলাদের ধর্মীয়, ব্যক্তিগত, পারিবারিক প্রভৃতি বিষয়ে নৈতিক শিক্ষাদান করতেন। যেমনভাবে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘বলো, যারা জানে এবং যারা জানে না, তারা কি সমান?’ (সূরা আল-জুমার, আয়াত: ৯) তাই নবী করিম (সা.) স্বয়ং নারীদের বিদ্যাশিক্ষা গ্রহণের প্রতি বিশেষভাবে সতর্ক দৃষ্টি রাখতেন।
তিনি বিভিন্ন সময়ে নারীদের উদ্দেশে শিক্ষামূলক ভাষণ দিয়ে উদাত্তকণ্ঠে আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ‘প্রত্যেক মুসলমান নর-নারীর জন্য জ্ঞানার্জন করা ফরজ।’ (ইবনে মাজা) ইসলাম নারীকে মৌলিক মানবাধিকার তথা অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা প্রভৃতি ক্ষেত্রে পুরুষের সমান মর্যাদা প্রদান করেছে। ইসলাম নারীকে বিদ্যাশিক্ষার অধিকার দিয়েছে। ধর্মীয় ও বৈষয়িক জীবনের শিক্ষা-দীক্ষা এবং যাবতীয় দায়দায়িত্বের সঙ্গে সুসামঞ্জস্যপূর্ণ প্রয়োজনীয় জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চার সুযোগ নারীর রয়েছে।
Copyright © 2024 Daily Frontier News | Design & Developed By: ZamZam Graphics