Daily Frontier News
Daily Frontier News

স্বামীর ঘর ভেঙ্গে নিয়ে যায় শশুরবাড়ির লোকজন! থানা ও হবিগঞ্জ আদালতে মামলা করায় অসহায় দিন মজুরকে প্রাণে হত্যার হুমকি! ৩য় বারের মতো ২টি অবুঝ শিশু রেখে প্রবাসে যাওয়ার জন্য স্বামীকে স্ট্যাম্পে দস্তখত দেওয়ার জন্য আউশকান্দি থেকে দিন দুপুরে মূখে চেপে ধরে সিএনজিতে তুলে কুর্শিতে নিয়ে স্বামীকে অমানুষিক নির্যাতন!

 

 

নবীগঞ্জ প্রতিনিধি ॥

তারা আরো ক্ষিত হয়ে নানা রকম
বাকবিতন্ডে জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে তাকে প্রাণে হত্যার হুমকি দিয়ে যায় বলে যে, যদি তুই দস্তখত না দিস তাহলে তকে যেকোন সময় যেকোন স্থানে মেরে ফেলবে! এবং তারা বলে যদি এসব বিষয় কারো কাছে বিচার দিবে বা মামলা মোকদ্দমা করার চেষ্টা করবে তাহলে তকে ও তর পরিবারের লোকজনকে প্রাণে হত্যা করে কুকুর দিয়ে খাবাব বলে নানান হুমকি ধামকি দিতে থাকে। তাদের এমন কথা ও মারপিটে ঘটনাস্থলেই আমি জ্ঞাণ শূণ্য হয়ে পড়ি। পরে আমার আত্মীয়- স্বজনকে তারা বিষয়টি জানালে আমার বাড়ির লোকজন কুর্শিতে গিয়ে তাকে তাদের কবল থেকে আমাকে রক্ষা করে নবীগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করেন। আহত কাসেম কিছুটা সুস্থ্য হয়ে নবীগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিলেও এখন পর্যন্ত পুলিশ এই অভিযোগের কোন তদন্ত করে নি বলে কাসেম অভিযোগ করেন। সে আরো বলে- পুলিশ যদি জনগণের বন্ধু হয়ে থাকে তাহলে আমার অভিযোগের কেন কোন বিচার পাইলাম না? আমি প্রশাসনের উধ্বর্তন কর্মকর্তার আশু হস্তপেক্ষ কামনা করছি। উক্ত ঘটনার মূল নায়ক মানবপ্রাচারকারী মন্নানের পুত্র কালামের সঙ্গ ধরে আমার শশুর আমার সংসারটি তছনছ করে দিয়েছে। আমি এর বিচার চাই। অবশেষে জীবনের নিরাপত্তার
জন্য গত সোমবার (২৩ মে) বিজ্ঞ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট কগ আদালত হবিগঞ্জে ৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো কয়েকজনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করি। এই মামলার খবর পেয়ে আমার একটি বসতঘর উলুকান্দি ভূমিনপাড়াস্থ মসন মিয়ার বাড়িতে ছিল। মসন মিয়া আমার অভাব দেখে আমাকে বিনা খরচে তার বাড়িতে থাকার জন্য ঘর বানিয়ে কিছুৃ জায়গা দেন। এতে সেখানে প্রায় দেড় বছর ধরে আমার পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করে আসছিলাম। কিন্তু বউকে ফেরত ও জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে মামলা করার কারণে আমার ঘরটি উলুকান্দি গ্রামের মসন মিয়ার বাড়ির পশ্চিম দিকে অবস্থিত ছিল। সেই নির্মান ঘরটি পাষন্ডের মতো শশুর শামছু মিয়া ও তার অনেক লাটিয়াল বাহিনী সহ দেশীও অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে আমার ঘর ভেঙ্গে নিয়ে যায়। এমনকি স্থানীয় লোকজনও বিষয়টি দেখেছেন। এতে কেউ কোন প্রতিবাদ করার সাহস পান নি। শামছুল সর্ম্পকে বিশ্বস্ত সূত্রে আরো জানাযায় যে, সে এলাকায় র্দীঘদিন ধরেনারী প্রাচারকারীর সদস্য হিসাবে কাজ করে আসছে। সে বিভিন্ন স্থান থেকে অসহায় মধ্যবৃত্ত, যুবতি ও বিধবা নারী সহ উঠতি বয়সি যুবতি ও তাদের পরিবারের লোকজনকে বড় অংকের টাকার লোভ দেখিয়ে দেশের বাহিরে পাচার করে আসছে বলে জানাযায়। এমন কি তার ৬টি কন্যা সন্তান রয়েছে। এর গত বছর খানেক পূর্বে তার সকল ছোট ২ মেয়েকে সৌদিআরব পাঠায়। এবং ৩য় মেয়ে পাখির প্রথমে কান্দিগাও বিয়ে হয়। সেই সংসারে পাখির ১টি ছেলে ও ১টি মেয়ে রয়েছে। পরে পাখির বাবা সেখান থেকে কাবিনের টাকা নিয়ে সেই স্বামীর ঘর থেকেও পাখিকে ছাড়িয়ে আনেন। এরপর আবার পাখির বাবা পাখিকে আরেকটি বিয়ে দেন হবেগঞ্জে। সেখানেও পাখির একটি মেয়ে জান্নাত নামের রয়েছে। বিদেশ পাঠানোর নামে করে সেখান থেকেও ছাড়িয়ে আনেন ঐ পাষন্ড পিতা। তাকে বাড়িতে এনে বিদেশ পাঠানোর জন্য একটি পাসপোর্টও তৈরী করেন। শামছুর বিরোদ্ধে এলাকায় অভিযোগের শেষ নেই! সে নিরহ মানুষের জায়গা জমি আত্মৎ করে জোরপূর্বক দখল করে আসছে বলেও জানাযায়। কেউ তার বিরোদ্ধে কথা বলতে গেলেই তার স্বামী পরিত্যক্ত মেয়েদের দিয়ে মামলার হুমকি দিলে কেহই আর এ সবের বিরোদ্ধে কথা বলেন নি। অপরদিকে, আমার ভিটে মাটি নেই, ঘর বাড়িও নেই। পরের বাড়িতে ঘর বানিয়ে বসবাস করে চানাচুর বিক্রয় করে জীবিকা নিরবাহ করে আছিলাম। আমাদের ছোট একটি সাজানো সংসার বিদেশ যাওয়া নিয়ে এখন নিঃস্ব হয়ে গেল। এরপর আমার আর থাকার কোন জায়গা না থাকায় অবশেষে পয়েটস্থ মায়দুল মিয়ার একটি ঘরে বাড়া নিয়ে বসবাস করছিলাম। এতেও দিন-রাত আমার মনের মধ্যে নানান ভয় বিরাজ করতো। কখন যে কি হয়।

উল্লেখ্য যে, অসহায় দিন মজুর কাসেম মিয়া (৩০)। তারা স্বামী স্ত্রী দীর্ঘ এক যুগ ধরে স্ব-পরিবারে আউশকান্দি এলাকায় শান্তি পূর্ণ ভাবে বসবাস করে আসছেন। কাসেম একজন চানাচুর বিক্রেতা। এবং সে সিজনকালিন কাচা মালেরর ব্যবসাও করে থাকে। সে জীবিকার তাগিদে প্রতিদিনই বিভিন্ন হাট বাজারে
চানাচুর বিক্রয় করে যা আয় রোজগার করে তা দিয়ে সে তার স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে মোটামোটি শান্তিতেই তাদের জীবন চলছিল। উক্ত মারামারি ও প্রাণে
হত্যার ঘটনার মামলাটি আদালত আমলে নিয়ে নবীগঞ্জ থানার ওসিকে তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেন। এ ঘটনায় নবীগঞ্জ- কুর্শি ও আউশকান্দি
এলাকার সচেতন মহলের মধ্যে আলোচনার পাশাপাশি সমালোচনা ও তীব্র নিন্দান ঝড় বইছে। এদিকে, আহত কাসেম মিয়ার অবস্থা তেমন ভাল নয়। তার মাথা ও শরীরে প্রচন্ড আঘাতের চিহৃ রয়েছে। সে দেশের উবর্ধতন প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করছেন। সে এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছে। উপরোক্ত আসামীরা যে কোন সময় সুযোগ পেলেই আমাকে মেরে ফেলতে পারে।

প্রেরক
বুলবুল আহমদ

Daily Frontier News