নবীগঞ্জ হবিগঞ্জ প্রতিনিধি:-
বহুল আলোচিত সাবেক ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ফখরুল ইসলাম জুয়েল বাহিনী আবারো বেপরোয়া তান্ডবলিলায় এলাকায় আতংক বিরাজ করছে।
জানাযায়, হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার ৪নং দীঘলবাক ইউনিয়নের দাউদপুর গ্রামে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সাংবাদিক এম.মুজিবুর রহমানের ঘর-বাড়ীতে সাবেক যুবলীগ নেতা ও সন্ত্রাসী জুয়েল বাহিনী সস্ত্র অস্ত্র নিয়ে প্রায় ঘন্টাখানেক হামলা ও সংঘর্ষ চালিয়ে ১০জনকে গুরুতর আহত করে৷ গুরুতর আহত সাংবাদিক মুজিবুর রহমানের চাচাতো ভাই মৃত আব্দুস শহিদ মিয়ার পুত্র আলমগীর (৩০), মৃত আলহাজ্ব সুন্দর আলীর পুত্র লালন মিয়া ( ৩৫), তার স্ত্রী মিছপা বেগম (২৮), আলী হোসেন মিয়ার পুত্র রাহান মিয়া (১৪)-কে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে তাদের অবস্থা আশংকাজনক হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে সিলেট এম, এ, জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। অপর আহত পরশ মিয়া (৫৫), হান্নান মিয়া (৫০), জসিম উদ্দীন (৩১), ইব্রাহিম মিয়া (২১) আনহার মিয়া (৩০)-কে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি ও অন্যান্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে৷
এ ঘটনাটি ঘটেছে (১৫ এপ্লিল) মঙ্গলবার দুপুর বেলা।
এ ব্যাপারে, এলাকাবাসীর সাথে আলাপকালে তারা জানান, দাউদপুর গ্রামের মৃত আব্দুস সহিদ মিয়ার পুত্রের সাথে গত ২১ মার্চ দুপুর সাড়ে ১১টার দিকে আওয়ামী লীগ নেতা মানিক মিয়ার সাথে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাকবিতন্ডা হয়৷ এরই জের ধরে বাদ জুম্মা মানিক মিয়ার ভাতিজা ইউপি যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ফখরুল ইসলাম জুয়েল ও তার লোকজন অস্ত্র শস্ত্র সহকারে ঘর-বাড়িতে হামলা করে ঘরের দরজা ভেঙ্গে আলমগীরকে বাড়ি থেকে জুয়েলের বাড়িতে ধরে নিয়ে নির্মম নির্মমভাবে নির্যাতন করেন৷ ওইদিন আবারও হামলা চালায় আলমগীরের আত্মীয় স্বজনদের ঘর-বাড়ীতে৷ এতে, আহত হন আরো অনেকেই ৷ এ ঘটনায় উভয় পক্ষের লোকজনের থানা ও কোর্টে মামলা চলমান রয়েছে৷
উক্ত সৃষ্ট বিরোধ মিমাংসা করতে এলাকার বিশিষ্ট সামাজিক সালিশ বিচারকগন বারংবার চেষ্টা করে আসছিলেন। তবে, জুয়েল বাহিনীর লোকজন বারবারই তা অমান্য করে আসছিল৷ অবশেষে উক্ত বিরুদ্ধিয় বিষয়গুলো মিমাংসার লক্ষ্যে উদ্যোগ নেন নবীগঞ্জ বাহুবল উন্নয়ন ফোরামের চেয়ারম্যান, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও সেক্রেটারি- বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী সিলেট মহানগরীর মোঃ শাহজাহান আলী৷ তিনির মধ্যস্ততায় সামাজিক সালিশ বিচারের আওতায় আনতে মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত উভয় পক্ষকে সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। এরই প্রেক্ষিতে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সকাল সাড়ে ১১টার দিকে শফিক মিয়ার বাড়ীতে সমঝোতা বৈঠকে বসেন সবাই৷ এরই মধ্যে সামাজিক সালিশ বিচার অমান্য করে হঠাৎ জুয়েল বাহিনীর শতাধিক লোকজন অস্ত্র- শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সাংবাদিক মুজিবুর রহমানের ঘর-বাড়ীতে হামলা ও সংঘর্ষ চালায়৷ এতে, রুহুল মিয়া, আরিছ মিয়া ও নাহিদ মিয়ার ৩টি মোদি দোকানে ভাংচুর ও দোকানপাট লুটপাট করে তারা৷
এ ব্যাপারে সাংবাদিক এম. মুজিবুর রহমান এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, যুবলীগ নেতা জুয়েল ও তার লোকজন বারবারই সালিশ বিচার অমান্য করে আমাদের ঘর-বাড়ীতে হামলা চালিয়ে নিরপরাধ লোকজনকে একাধিকবার হামলা করে লুটপাট চালায়৷ এ ঘটনার এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করলে রাতেই আমি থানার ওসি, পুলিশ ফাঁড়ি সহ ৯৯৯ নান্বারে কল দিলেও পুলিশ এ ঘটনায় কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করে নি! সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে থানা পুলিশ৷
এ ঘটনায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বানিয়াচং ক্যাম্প বরাবরে সম্প্রতি একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন আহত আলমগীর মিয়ার স্ত্রী৷
এ ঘটনায় নবীগঞ্জ থানার ওসি কামাল হোসেন জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে থানা পুলিশ৷
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ঐ এলাকায় আবারো টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে৷ এবং মুমূর্ষ আহত আলমগীর মিয়ার অবস্থা সংকটাপন্ন বলেও জানিয়েছেন তার চিকিৎসক৷
Copyright © 2025 Daily Frontier News | Design & Developed By: ZamZam Graphics