Daily Frontier News
Daily Frontier News

সুনামগঞ্জের বানভাসিরা ঘরে ফিরতে পারেননি

 

 

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি::

উজানে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে।

রবিবার (২২ মে) সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত সুনামগঞ্জের সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

নদীতে পানি কমায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও বন্যা কবলিত এলাকায় জনদুর্ভোগ চরমে। পানি ধীর গতিতে থাকায় এখনও পানিবন্দি রয়েছেন লাখো মানুষ। এদিকে জেলার উজানে ছয় উপজেলায় পানি কমতে শুরু করলেও ভাটির দিকে পাঁচ উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হওয়ায় নতুন করে প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। তবে উজানে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী বন্যা পরিস্থিতি ক্রমসই উন্নতি হবে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

অপরদিকে বন্যার্ত এলাকায় দেখা দিয়েছে তীব্র খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট। স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছেন বন্যার্ত পরিবারের শিশু ও বয়স্করা। পানির কারণে যারা উঁচু স্থান বা আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন পানি ধীরে কমায় বাড়ি ফিরতে পারছেন না। বন্যায় ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে অনেক সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।

সুনামগঞ্জ বড়পাড়া সরাসরি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় নেওয়া আরিফ নামের এক বন্যার্ত বাসিন্দা বলেন, এখনও ঘরে পানি। যেভাবে পানি কমছে ঘর থেকে নামতে অনেক সময় লাগবে। তাছাড়া বন্যায় ঘরে বাঁশপালা, মাটি, টিনের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এই ক্ষতি পুষিয়ে ওঠা অনেক কষ্টের।

শহরের কালিপুর এরাকার পানি বন্দি রেশমা বেগম বলেন, আজ পাঁচ দিন হলো পানির ওপরে আছি। ঘরে কোনো খাদ্য নেই। আমার স্বামী অসুস্থ। কোনো কাজ করতে পারেন না। বড় সমস্যার মধ্যে আছি।

মলিকপুর এলাকার বাসিন্দা রাহুল মিয়া বলেন, এতদিন ধরে পানিবন্দি কোনো চেয়ারম্যান-মেম্বার এসে একবারও দেখেন নাই। ধারদেনা করে দোকান থেকে শুকনো খাবার কিনে এনে ছেলে-মেয়েদের বাঁচিয়ে রাখছি। ঘরে টিউবওয়েল ডুবে গেছে। নৌকা দিয়ে দূর থেকে পানি আনতে হচ্ছে। সরকার এতো ত্রাণ দিচ্ছে। আমাদের ত্রাণ কই গেল এমন প্রশ্ন করছেন।

এদিকে জেলা প্রশাসক জানিয়েছেন সরকারের তরফ থেকে বানভাসিদের ১৬৫ টন চাল ও নগদ ১২ লাখ টাকা এবং ৪ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। এ ছাড়াও স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে ওষুধ ও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বিতরণ করা হচ্ছে।

Daily Frontier News