সাংবাদিক জুনায়েদ সিদ্দিক
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল বলতে কি বুঝ ?
“‘ভারতের টিপাইমুখ নামক স্হানে বাঁধ তৈরি করে স্লুইস গেট দিয়ে পানি আটকে রাখা হয়। সেখানে অতিরিক্ত পানি জমে গেলে হঠাৎ করে ছেড়ে দেয়ার ফলে উত্তর সিলেটের সারী, লোভা, পিয়াইন নদীগুলোর মাধ্যমে যে ঢল নামে তাহাকে উজানের পাহাড়ি ঢল বলে।
সেই ঢলের পানি
কিশোরগঞ্জের হাওরের বুক দিয়ে যোগাযোগ থেকে বয়ে আসছে। ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম বিলাসী সড়ক যতদিন থাকবে… সিলেট বাসীকে ততোদিন পানিতে ডুবে ডুবে মরতে হবে।
প্রকৃতি তার নিজস্ব গতিতে প্রাকৃতিকভাবেই বয়ে চলে। তার চলার পথে ইট-সুরকি আর লোহালক্কড়ের কৃত্রিম বাঁধের রাস্তা তৈরী হলে প্রকৃতি তো বিক্ষুব্ধ হবেই। দেখাবে বিরূপ আচরণ। সেই বিরূপ আচরণের ফলই কিন্তু সিলেটের বন্যা।
ভারতের মেঘালয় এবং আসাম থেকে নেমে আসা ঢলের পানি সিলেট অঞ্চলের নদী ও হাওর হয়ে কিশোরগঞ্জের মেঘনা নদীতে গিয়ে মিশে। কিন্তু ঐ অপ্রয়োজনীয় বিলাসী সড়কটার কারণে হাওরের পানি মেঘনা নদীতে নামতে পারছে না।
আমি বলছি হাওরের মাঝখানে এভাবে অপরিকল্পিত ভাবে সড়ক নির্মাণই হাওরের প্রকৃতিবিরুদ্ধ। এতে পানির গতিধারা ব্যাহত হবেই।
পানির স্বাভাবিক গতিধারা ব্যাহত হবার কারণেই ২০২২ সালের মতো সিলেটবাসী আবারও বন্যা কবলিত হয়েছে।
Copyright © 2025 Daily Frontier News | Design & Developed By: ZamZam Graphics