বিশেষ প্রতিনিধি
রাজধানীসহ সারা দেশে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব পালন করবেন কমিশনপ্রাপ্ত সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা। আজ মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এ সিদ্ধান্ত আজ থেকে কার্যকর হয়েছে। আগামী দুই মাস (৬০ দিন) এ সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকবে। দ্য কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর, ১৮৯৮ এর ১২(১) ও ১৭ ধারা অনুযায়ী এই ক্ষমতা অর্পণ করা হল বলে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে ঢাকাসহ সারা দেশে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়লে গত ১৯ জুলাই দিবাগত রাতে সারা দেশে সেনাবাহিনী মোতায়েন ও কারফিউ জারি করেছিল তৎকালীন সরকার।
এরপর ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। তিন দিনের মাথায় ৮ আগস্ট শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে এখনো সারা দেশে সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে।
জনস্বার্থে জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে আজকের প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ রয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব জেতী প্রু এই প্রজ্ঞাপনটিতে স্বাক্ষর করেছেন।
প্রজ্ঞাপনে আইন ও অপরাধসমূহে বলা হয়েছে, ফৌজদারী কার্যবিধি ১৮৯৮ এর ধারার মধ্যে রয়েছে- ৬৪, ৬৫, ৮৩, ৮৪, ৮৬, ৯৫(২), ১০০, ১০৫, ১০৯, ১০৯, ১১০, ১২৬, ১২৭, ১২৮, ১৩০, ১৩৩, ১৪২।
জানা যায়, কার্যবিধির ৬৪ ধারা অনুযায়ী সেনাবাহিনী যে কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারবে। তাছাড়া কার্যবিধির ১০০ ধারা অনুযায়ী যে কোনো স্থানে তল্লাশি চালাতে পারবে।
এতদিন ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতি ছাড়া তল্লাশিগুলো অবৈধ ছিল। এখন সেনা কর্মকর্তারাই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ভূমিকা পালন করতে পারবেন এবং অধীনস্থ সেনাদের যে কোনো স্থানে তল্লাশি চালানোর নির্দেশ দিলে বৈধ হবে।
এছাড়া কার্যবিধির ১২৭, ১২৮, ১৩০ ধারা অনুযায়ী, সেনাবাহিনী প্রয়োজনে গুলি চালাতে পারবে।
Copyright © 2024 Daily Frontier News | Design & Developed By: ZamZam Graphics