Daily Frontier News
Daily Frontier News

সাংবাদিকদের উপর হামলার ঘটনায় ডাক্তার হাফিজুল্লাহর গ্রেফতার দাবি

 

শাহিন বিশ্বাস পাটকেলঘাটা প্রতিনিধি

সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে রোগী ভাগানোর তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে সাংবাদিকদের উপর হামলার ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্ত ডাক্তার মো. হাফিজুল্লাহর গ্রেফতারের দাবিতে বিভিন্ন প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দ বিবৃতি দিয়েছেন।

শনিবার (৮ মার্চ) রাত সাড়ে ১০টায় সাতক্ষীরা শহরের নারকেলতলা এলাকায় অবস্থিত বেসরকারি ক্লিনিক ট্রমা সেন্টারে এ হামলার ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী সাংবাদিকরা হলেন—দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন ও নিউজ টোয়েন্টিফোর-এর সাতক্ষীরা প্রতিনিধি মনিরুল ইসলাম মনি এবং দৈনিক কালবেলা পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি গাজী ফরহাদ হোসেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ভালুকা চাঁদপুর গ্রামের বৃদ্ধা জুলেখা বেগমকে ট্রমা সেন্টারের দালালরা বিভিন্ন কথা বলে ফুসলিয়ে বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে আসে। বিষয়টি জানতে পেরে সাংবাদিকরা সেখানে গিয়ে খোঁজখবর নিলে, ট্রমা সেন্টারের পরিচালক ও সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অর্থোপেডিক সার্জারি বিভাগের কনসালটেন্ট ডাক্তার মো. হাফিজুল্লাহ ক্ষুব্ধ হন।

এরপর তার নেতৃত্বে ক্লিনিকের ম্যানেজার জনি, শ্যালক শরিফ, কর্মচারী আবু হুরাইয়া, আরিফ, হাবিবুর রহমান রনি, নূর নবী, আল-আমিনসহ আরও কয়েকজন সন্ত্রাসী কায়দায় সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় মনিরুল ইসলাম মনির পাঞ্জাবি ছিঁড়ে ফেলা হয় এবং মোবাইলের অডিও ডিভাইস কেড়ে নেওয়া হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য ভুক্তভোগী জুলেখা বেগমের ছেলে ইশার আলী গাজী জানান, তার মা তিনদিন ধরে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা না পেয়ে কষ্ট পাচ্ছিলেন। পরে হাসপাতালের লোকজনের পরামর্শে তাকে ট্রমা সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে সাংবাদিকরা বিষয়টি জানতে চাইলে তারা ডাক্তার প্রবীর সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। প্রবীর সরকার জানান, আগেও ডাক্তার হাফিজুল্লাহর বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ এসেছে এবং তাকে সতর্ক করা হয়েছিল।

এমন সময় হাফিজুল্লাহ ও তার সহযোগীরা অতর্কিত হামলা চালায়। ট্রমা সেন্টারের গেট বন্ধ করে সাংবাদিকদের বেধড়ক মারধর করা হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে গেলে রোগীর স্বজনদের ওপরও হামলা করা হয়।
হামলার খবর পেয়ে সাতক্ষীরা সদর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহত সাংবাদিক মনিরুল ইসলাম মনি সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন।

সাতক্ষীরা সদর থানার ওসি শামিমুল হক জানান, ঘটনায় মনিরুল ইসলাম মনি ডাক্তার হাফিজুল্লাহসহ সাতজনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও চার-পাঁচজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে, সাতক্ষীরা, তালা ও পাটকেলঘাটা প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দ এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে ডাক্তার হাফিজুল্লাহর গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন।

Daily Frontier News