মাসুদ পারভেজ
. চট্টগ্রামে বাজারদরের চেয়ে বেশি দামে যন্ত্রাংশ কিনছে পূর্বাঞ্চল রেলওয়ে। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অভিযান চালিয়ে অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এর সহকারী পরিচালক এনামুল হকের নেতৃত্বে এ অভিযান চলে।
অভিযানে এক কোটি ৮১ লাখ টাকা প্রাক্কলিত দরের চেয়ে ১৬ লাখ টাকা বেশি ব্যয়ে একই যন্ত্রাংশ কেনার বিষয়ে সত্যতা পায় দুদক। পাশাপাশি বৈদ্যুতিক প্রকৌশলীর কার্যালয়ে এলইডি লাইট ও ল্যাম্প ক্রয়ের ক্ষেত্রেও অসঙ্গতি পায় দুদক টিম।
দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এর সহকারী পরিচালক এনামুল হক জলেন, বাংলাদেশ রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলে কেনাকাটায় বাজারমূল্যের চেয়ে বেশি দাম দেখিয়ে পণ্য ক্রয় করে সরকারি অর্থ আত্মসাতের একটি অভিযোগ নিয়ে দুদক প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশে বৃহস্পতিবার এনফোর্সমেন্ট পরিচালনা করা হয়েছে। অভিযানে রেল ট্র্যাক সাপ্লাই কর্মকর্তা কার্যালয় থেকে লিফটিং জ্যাক, ড্রিলিং মেশিন এবং এবং কাটিং জ্যাক ক্রয় সংক্রান্ত ডকুমেন্টস পর্যালোচনা করে দেখা যায়, একটি পণ্যের প্রাক্কলিত ব্যয় দেখানো হয় এক কোটি ৮১ লাখ টাকা। কিন্তু একই পণ্য কিনেছেন এক কোটি ৯৭ লাখ টাকা দিয়ে। আবার একই ঠিকানায় নিবন্ধিত দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে একই টেন্ডারে অংশ নেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে একটি প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া পণ্যের বাজারমূল্য নির্ধারণ কমিটি কিসের উপর ভিত্তি করে এসব পণ্যের বাজারমূল্য নির্ধারণ করেছে তা নিয়ে কোনো ডকুমেন্টস পাওয়া যায়নি।
তিনি বলেন, পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের বৈদ্যুতিক প্রকোশলীর কার্যালয় ৯০টি এলইডি লাইট এবং এলইডি ল্যাম্প কিনেছে। প্রত্যেকটি লাইট ২৭ হাজার ৭শ টাকা করে কেনা হলেও ডকুমেন্টস পর্যালোচনায় করে এসব লাইট ক্রয়ে অসংগতিপূর্ণ বলে প্রতীয়মান হয়েছে। পাশাপাশি পাহাড়তলী প্রধান সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক ও জেলা সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে মেরামতকৃত অফিস এবং ওয়াকিটকি ক্রয়েও অসঙ্গতি রয়েছে। প্রাথমিকভাবে এনফোর্সেমেন্টের বিষয়ে কমিশনে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
এপর কমিশনের নির্দেশনা অনুসারে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানান এ দুদক কর্মকর্তা।
Copyright © 2024 Daily Frontier News | Design & Developed By: ZamZam Graphics