জহর লাল দে, ময়মনসিংহঃ
ময়মনসিংহ প্রেসক্লাব নিয়ে যে তথ্য উপাত্ত বিরাজ করছে নগরবাসির কাছে তা খুবই বাজে ভাবে উত্থাপিত হচ্ছে। বিভিন্ন মহলে সাংবাদিক নিয়ে যে প্রচারণা রয়েছে, তা এই প্রেসক্লাবের কারনে হয়েছে।
এই বিষয়কে পরিস্কার করতে রাষ্ট্রীয় জনস্বার্থে এবার তথ্য অধিকার ফরমে আবেদন করেছে সাংবাদিক মো. শিবলী সাদিক খান। এবার আসল তথ্য বের হবে। যদি প্রশাসন তথ্য ফরমে চাহিদা অনুযায়ী যদি সকল তথ্য দেয় তবে নগরবাসি এর সঠিক জবাব পাবে। তখন শিক্ষা হবে কেনো এই ঐতিহ্যবাহি ময়মনসিংহ প্রেসক্লাব নিয়ে এতো কথা। এখানে সত্য ও ন্যায়ের পথে থাকে সাংবাদিকরা। তাই সত্য ন্যায়ের পথে রয়েছে বলেই এই প্রেসক্লাব ব্যতিত অন্যত্র গ্রহনযোগ্য সাংবাদিক নেই এ নগরীতে বলে মনে করে এই প্রেসক্লাব কতৃপক্ষ ও প্রশাসন।
রবিবার দুপুরে ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী বরাবরে এ সকল তথ্য চেয়ে তথ্য ফরমে আবেদন করেন সাংবাদিক মো. শিবলী সাদিক খান। তথ্য ফরমে আবেদনে ময়মনসিংহ প্রেসক্লাব সভাপতি জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক অমিত রায় এর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে, ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবের ভুমির মালিকানা বিষয়ের লিজ অনুমোদনের জন্য কি কি শর্তাবলী প্রযোজ্য ছিল এবং লিজ অনুমোদন হইয়াছে কিনা? হইলে তাহার অনুমোদনের কাগজপত্র আবশ্যক, ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবের বিদ্যুৎ-গ্যাস-পানির লাইন সংযোগের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবরে কি কি প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিল হইয়াছিল তাহার কপি আবশ্যক, ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবের নব নির্মিত বহুতল দুইটি বানিজ্যিক ভবনে কত গুলি বানিজ্যিক দোকান ও হোটেল-রেস্টুরেন্ট আছে এবং তাহা হইতে যাহা আয় হয় তাহার বাৎসরিক আয়কর-ভ্যাট নিয়মিত পরিশোধ হয় কিনা? থাকিলে তাহার বৈধ কাগজপত্র আবশ্যক, ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবের নব নির্মিত বহুতল দুইটি বানিজ্যিক ভবনের জন্য সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নেওয়া হইয়াছে কিনা? থাকিলে তাহার অনুমোদন সংক্রান্ত কাগজপত্র আবশ্যক, ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবের নব নির্মিত বহুতল দুইটি বানিজ্যিক ভবন নির্মানের জন্য নির্মাণ ব্যয় কিভাবে ও কি পরিমাণ সংগ্রহ করা হইয়াছিল তাহার হিসাব পত্রের বৈধ কপি আবশ্যক, ময়মনসিংহ প্রেসক্লাব বর্তমানে কত শতক ভুমির উপর প্রতিষ্ঠিত? তাহার মধ্যে লিজকৃত ভুমির পরিমাণ কত? বি.আর.এস-১৬৬৫ নং খতিয়ানে ৭০৮৪ নং দাগে মন্দির উল্লেখে ০৬৯২ শতাশ ৭৪৮৩ নং দাগে বাড়ী উল্লেখে ০৪১৬ শতাংশ, ৭৪৮৫ নং দাগে বাড়ী উল্লেখে ০৩৪৬ শতাংশ, ৭৪৮৬ নং দাগে বাড়ী উল্লেখে ০৩৯৬ শতাংশ একুনে ১৮৬০ শতাংশ ভুমি মালিক দং দেবাত্তর সেবাইত গুরু নানক মন্দির পক্ষে সেবাইত, সাং-এ.বি গুহ রোড, গাঙ্গিনাপাড় নামীয় ভুমিতে ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবের বর্তমানে নির্মিত দুইটি ভবন অবস্থিত কিনা? তাহার সঠিক উত্তর কাগজপত্র সহকারে জানা আবশ্যক।
উপরোল্লিখিত তথ্য বিধি মোতাবেক চেয়েছেন সাংবাদিক মো. শিবলী সাদিক খান। প্রশাসনের সহায়তায় এ সকল তথ্য উন্মোচন হলে ঐ সকল ব্যক্তির কথা বলার আর জায়গা থাকবে না। যারা এই ঐতিহ্যবাহি প্রেসক্লাব নিয়ে কুৎসা রটাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে সাংবাদিকরা সোচ্চার। সঠিক তথ্য জানাবে সাংবাদিক। সকলেই তথ্য জানুক, সাধারণ মানুষের ভুল ভাঙ্গুক। ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবের মতো এতো বড় বিশাল ঐতিহ্যবাহি প্রতিষ্ঠান নিয়ে সাধারণ মানুষের মনে কেনো ভ্রান্ত ধারণা থাকবে। এক শ্রেণির অসাধু চক্র এই প্রেসক্লাবের বিরুদ্ধে উচ্চারণ করছে, কলুষিত করছে সকল সাংবাদিক সমাজকে। তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে হবে। সঠিক জবাব দিতে হবে। কোন কলুষচিহ্ন এই সাংবাদিকদের মধ্যে নেই, সাংবাদিকরা তথ্য ভান্ডার। আর যেনো কোথাও শুনতে না হয় সাংবাদিক-না সাংঘাতিক। আসলে সাংবাদিক সংবাদ সংগ্রহ করে সাধারণ মানুষের কথা বলে। এখানে নিজের ফায়দা নেয়ার জন্য সাংঘাতিক হয় না। সেই সেকল সাংবাদিক ও ব্যক্তিদের জবাব দেয়ার জন্যই সাংবাদিক মো. শিবলী সাদিক খান আজ এই ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবের পক্ষে রুখে দাড়িয়েছেন। তিনি তাদের এই ভুল ভাঙ্গাতে ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসনও সহায়তা করবেন বলে বিশ্বাস করেন। সেই সাথে সত্যের জয় হবে আর দুষ্টু মিথ্যেবাদিদের চিনে নিবে এই নগরবাসিসহ গোটা জাতি।
Copyright © 2025 Daily Frontier News | Design & Developed By: ZamZam Graphics