Daily Frontier News
Daily Frontier News

মোকাম ইউনিয়নের কোরপাই থেকে পিহর পর্যন্ত ৩কিঃমিঃ খাল খনন

 

পরিদর্শন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা

বুড়িচং (কুমিল্লা)প্রতিনিধি।।

কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার মোকাম ইউনিয়ন এর কোরপাই লেডার খাল সম্প্রতি খনন কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। এতে ওই এলাকার ১০-১৫ টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ অনাবাদি জমি, জলাবদ্ধতায় থাকত বছরের অধিক সময়। এছাড়া চলাচল সহ নানাহ সমস্যায় ছিল এলাকার মানুষ।
খালটি কোরপাই হতে চান্দিনার পিহর পর্যন্ত ৩ কিঃমিঃ খনন কাজ করা হয়। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয়ের অর্থায়নে এ খনন কাজ বাস্তবায়ন করেন মোকাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ সাহেব আলী ও ইউপি সচিব মোঃ লিয়াকত আলী এবং ইউপি সদস্য বৃন্দ।
জানা গেছে কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার মোকাম ইউনিয়ন এর কোরপাই এলাকার একটি পুরাতন লেডার খাল ভরাট হয়ে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নাজুক অবস্থায় পরিনত হয়ে পড়ে। বহু বছর ধরে এ খাল দিয়ে এলাকার বৃষ্টি বাদলের পানি প্রবাহিত হত। এছাড়া এ খালের পানি কৃষি কাজে বা ফসল উৎপাদন করতে সেচ কাজে ব্যবহার করা হত। এই অঞ্চলের ১০-১৫ টি গ্রামের মানুষ জলাবদ্ধতার শিকারের পরিনত হয়। বৃষ্টি হলে বাড়ি ঘর থেকে বের হওয়া কষ্ট সাধ্য ছিল। কৃষি জমি জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে ফসল উৎপাদন ব্যহৃত হত। নানান সমস্যা নিয়ে কয়েক হাজার মানুষ দিনাতিপাত করত।
এ বিষয় টি এলাকা বাসী মোকাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ সাহেব আলীর নিকট জানালে তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাহিদা আক্তার কে জানান। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরজমিনে খালটি পরিদর্শন করে তিনি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে জরুরী ভাবে বাস্ত বায়ন করার জন্য নির্দেশ দেন।
নির্দেশ অনুযায়ী মে মাসের দিকে খাল খননের কাজ শুরু হয়। প্রায় দেড় মাসে ৩ কিঃ মিঃ খাল খনন করে। বুধবার বিকালে বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাহিদা আক্তার খনন কাজ পরিদর্শন করতে আসেন এবং পরিদর্শন করেন।
মোকাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ সাহেব আলী বলেন কোরপাই কোরের পাড় এলাকা থেকে চান্দিনা পিহর পর্যন্ত ভরাট হয়ে মরা খালে পরিনত হয়।
১০-১৫ টি গ্রামের কৃষক সহ কয়েক হাজার মানুষ বিভিন্ন সমস্যায় পতিত হয়। বৃষ্টির খাল দিয়ে সরতে না পেরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে হাজার হাজর একর ফসলি জমি হয় অনাবাদি জমি। মানুষ চলাচলে মারাত্মক ব্যঘাত ঘটত।বিভিন্ন ধরনের সমস্যা নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাহিদা আক্তার কে জানালে তিনি খাল খননের নির্দেশ দেন। আজ খাল খননের কারণে এলাকা বাসী মহা আনন্দিত। এলাকার হাজার হাজার মানুষের দীর্ঘদিনের নানাহ সমস্যা দূর করা হয়েছে। মানুষ আজ আনন্দ করছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কারণে মানুষ দুর্ভোগ থেকে রক্ষা পেল।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাহিদা আক্তার বলেন কোরপাই কোরের পাড় এলাকা থেকে পিহর পর্যন্ত খালটি ছিল প্রায় মরা। স্থানীয় চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের সঙ্গে নিয়ে খনন করা খালটি পরিদর্শন করে ভাল লেগেছে। আসলে খনন কাজ সুন্দর হয়েছে। মানুষের জমি জলাবদ্ধতা থেকে রক্ষা পাবে। সেই সাথে মানুষের চলাচলে আর সমস্যা হবে না। ফসলি ও আর অনাবাদি থাকবে না। খাল খনন কাজ দেখে আমি সন্তোষ প্রকাশ করছি।
খাল খনন পরিদর্শনের সময় উপস্থিত ছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ সাহেব আলী, ইউপি সচিব মোঃ লিয়াকত আলী, ইউপি সদস্য যথাক্রমে মোঃ অহিদুর রহমান, মোঃ জাকির হোসেন শাহ আলম, , জসিম উদ্দিন, প্রথম।

Daily Frontier News