Daily Frontier News
Daily Frontier News

ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজয়নগরে মূর্তিমান আতঙ্কের নাম যুবলীগের কাউছার

 

জয়নাল আবদীন বিশেষ প্রতিনিধিঃ- 

.     জেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজয়নগর উপজেলার সাবেক যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কাউছার মিয়ার কাছে পাওনা টাকা ফেরত চাওয়াতে, কাউসার এর  ক্যাডার বাহিনী নিয়ে জনসম্মুখে কুপালেন একই গ্রামের ফজল ইসলামের দুই ছেলে খোকন ও সুজন মিয়া নামক দুই ভাই কে।

.    ২৬শে জুন বেলা ১১ঘটিকায় উপজেলার চান্দুরা ইউনিয়নের আমতলী বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

.     এ নিয়ে ভুক্তভোগী পরিবারের জখমীর ভাই সুজন মিয়া, ৫জনের নাম উল্লেখ করে, বিজয়নগর থানায় মামলা করেন।

.    অভিযুক্তারা হলেন, কালো মিয়ার ছেলে কাউছার (৩৫) ও ইয়াসিন মিয়া (২০) ও কাউসারের ছেলে ইমন (২২), জিল্লু মিয়ার ছেলে আরিফ মিয়া (২০) ও মৃত আব্দুল আলিম ছেলে কালু মিয়া (৫০)

.    মামলার এজাহার সূত্রে ও সাক্ষী প্রমাণে জানা যায়, গত এক বছর আগে জখমীর ভাই সুজন মিয়া কে বিজয়নগর থানা থেকে অকশনের মোটর সাইকেল কিনে দিবে বলে ৫০ হাজার টাকা নেয় কাউসার । টাকা নেওয়ার এক বছরেও মোটর সাইকেল অথবা টাকা ফেরত পায়নি ভুক্তভোগী পরিবার। এভাবেই প্রতিনিয়ত তারিখের পর তারিখ দিতে থাকে কাউসার । এমনকি কয়েকজন সালিশ কারের কাছেও তারিখ দিয়ে প্রতারণা করে।

.     ঘটনার দিন ভুক্তভোগীর পরিবারের খোকন মিয়া কাওসারের মোবাইল ফোনে টাকা চাইলে উত্তরে তাকে গালিগালাজ করেন। বাজারে থাকিস বলিয়া তার লাঠিয়াল বাহিনী বাজারে আনিয়া নিরীহ পরিবারের দুইজন কে রাস্তায় জনসম্মুখে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। উক্ত ঘটনার নিকটতম স্থানে তার নিজস্ব দলীয় কার্যালয়ে মার্ডার করে জেলে যাবে বলতে বলতে ঢুকে অবস্থান করে। স্থানীয় সাংবাদিকের খবরে পুলিশ আসলে কাউছার তার কার্যালয় থেকে বের হন। গুরুতর আহত খোকন মিয়া বর্তমানে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

.    বিতর্কিত এই যুবলীগ নেতার নামে বলৎকার মামলা সহ একাধিক মামলা রয়েছে। বছর দুয়েক আগেও আলোচিত হামলায় মামলার, সিগারেট বাকি না দেওয়াকে কেন্দ্র করে, ইউনিয়নের আলাদাউদপুর গ্রামের সংখ্যালঘু রিদু শীলের পরিবারের উপর অতর্কিত হামলা করে রক্তাক্ত জখম করেন।

.    সূত্রে জানা যায়, সে এলাকার লোকজনের কাছ হইতে থানা পুলিশে সহ বিভিন্ন অজুহাতে টাকা পয়সা আত্মসাৎ করে থাকেন। জনসাধারণের বক্তব্য বর্তমান সরকারের ছবি অপব্যবহার করে ও দলীয প্রভাব খাটিয়ে নিরীহ মানুষদের উপর প্রতিনিয়ত এভাবেই নির্যাতন করে আসছে। জানা যায় ডর্জনের চেয়েও বেশি মানুষ তার কাছে টাকা পয়সার জিম্মি হয়ে আছে।

.      এমন তথ্যচিত্রে প্রত্যক্ষদর্শী জানান, গত ২৪শে জুন (সোমবার) ভোর ১:৩০ মিনিটে চান্দুরা টু আখাউড়া রোডের আমতলী বাজারের দক্ষিণ পাশে গ্রামীণ ব্যাংক সংলগ্নে দক্ষিণ পাশে রাস্তার পূর্ব পাশের সরকারি মেহগনি গাছ বাজারের আলম মিয়ার ‘স’মেশিনে কাটে নিয়ে যান। তিনি আরো বলেন সকালবেলা এগুলো নেওয়ার সময় ভিডিও ফুটেজ ধারণ করে রেখেছি।

.    আরোও অভিযোগ রয়েছে, সরকারের দেওয়া টিউবওয়েল দিবে বলে অনেকের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা নিয়েও কাজ করেনি। তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগও রয়েছে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রভাব খাটিয়ে ভিন্ন মতাদর্শীর বাড়ি থেকে সরকারি ভাবে বসানো টিউবেল উঠিয়ে নিয়ে যান। সাধারণ জনগণের দাবি তদন্ত সাপেক্ষে তার অর্থ সম্পদ ও আয় ব্যয় এর হিসাব নিয়ে আইনের আওতায় আনা হওক।

.    এ বিষয়ে বিজয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আসাদুল ইসলাম মিডিয়া প্রতিনিধিকে বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Daily Frontier News