Daily Frontier News
Daily Frontier News

ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজয়নগরে জমি ক্রেতা প্রতারক  মোশারফ, জীবিত ব্যক্তি কে মৃত দেখিয়ে ৯ জন ওয়ারিশের মৃত সনদে ১০ জনের জায়গা একজনের কাছ থেকে দলিল করে নেয় । 

আলমগীর হোসেন বিজনের প্রতিনিধি ব্রাহ্মণবাড়িয়া

.    জেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজয়নগর উপজেলার ২নং চান্দুরা ইউনিয়নে জীবিত জোসনা বেগম কে মৃত দেখিয়ে মোট ১০জন পরিবারের সদস্যের মধ্যে নয় জনকেই মৃত দেখিয়া বাদ রেখে চেয়ারম্যান শামিউল হক চৌধুরীর স্বাক্ষরিত ওয়ারিশ সনদের ভিত্তিতে নামজারি ও দলিল সম্পন্ন করার অভিযোগ।

.   সূত্রে জানা যায়, গত ১০ই সেপ্টেম্বর ২০২৩ ইং সালে ইউপি চেয়ারম্যান স্বাক্ষরিত সনদ ব্যবহার করে চান্দুরা গ্রামের মৃত বিল্লাল মিয়ার ছেলে মোঃ মানিক মিয়া (৩৮) চতুরতায় ও সহায়তায় সৎ মা ও দুই সৎ ভাই সহ তার আপন মাকে মৃত ও ৫ বোনকে গোপন (মৃত দেখিয়া)করে চান্দুরা মৌজাস্ত বি এস ২৫৩৩ দাগের মোট ৩৫ শতাংশ জায়গা মানিক মিয়া নিজের নামে ৫৪৯৮/২৩-২৪ নং জমা খারিজে – নামজারি করেন।

.    উক্ত নাম জারি কে পুঁজি করে তারই চাচাত ভাই মৃত আব্দুল রহিম এর ছেলে মোঃ মোশারফ হোসেন গত ১৮ই ফেব্রুয়ারি ২০২৪ইং তারিখে ৩২২৫/২৪ নং দলিলে ক্রয় সূত্রে প্রতারণা  মাধ্যমে মালিক হন।

.    প্রতারক ক্রেতা মোশারফ হোসেন ১৮ই ফেব্রুয়ারি দলিল নিয়ে ২৭শে ফেব্রুয়ারি তার নিজ নামে ৬২০৪/২৩-২৪ নং নামজারি করে মালিকানা পাক্কা করে ফেলে।

.    উক্ত ঘঠনা জীবিত ওয়ারিশগন জানতে পেরে, সঠিক ওয়ারিশ যাচাই ও নামজারি বাতিলের আবেদনে বিজয়নগর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর বরাবর গত ১৩ই ফেব্রুয়ারি মৃত বিল্লাল মিয়ার ২য় স্ত্রী জোহরা খাতুন বাদী হয়ে লিখিত আবেদন করেন।

.    ওয়ারিশে উল্লেখিত মৃত জোসনা বেগম বলেন, আমি তো এখনো জীবিত আপনার সাথে কথা বলতেছি। আমার ছেলে মানিক মিয়াকে সরকারি জায়গা দিবে বলে ভুল বুঝিয়ে নকল কাগজপত্র তৈরি করে, আমাদের ১০জন ওয়ারিশের জায়গা মোশারফ মিয়া প্রতারণা করে নিজ নামে দলিল করে নিয়েছে। বাদী জোহরা খাতুন বলেন, আমরা ভুয়া ওয়ারিশ সনদের খোঁজখবর নিতে চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলেছি, চেয়ারম্যান সাব বলেন, উনি নাকি এই দস্তখত করেনি।আমরা গরীব মানুষ আমরা এর বিচার চাই।

.   এ বিষয়ে ১নং ওয়ার্ডের মেম্বার বাদল সাহা স্বাক্ষরের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এসিল্যান্ডের ড্রাইভার মোশারফ হোসেন আমার কাছ হইতে ওয়ারিশের মধ্যে প্রতারণা করে স্বাক্ষর নিয়েছে। সরল বিশ্বাসে ও মৃত বিল্লাল মিয়ার ছেলে মনে করে, আমি স্বাক্ষর দিয়াছি।

.    এ বিষয়ে ক্রেতা মোশারফ হোসেন বলেন, আমি এব্যাপার কিছু জানি না, আমি মানিক ভাইয়ের কাছে খারিজ দেখে ক্রয় সূত্রে ও দলিলে মালিক হয়েছি। অন্যান্য কাগজপত্র কিভাবে হয়েছে তা আমি জানিনা।
.    এ বিষয়ে ২নং চান্দুরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জনাব এ এম শামিউল হক চৌধুরী মিডিয়া প্রতিনিধি কে বলেন, এই ওয়ারিশের স্মারক আমার অফিসের নয়। এসিল্যান্ড এর ড্রাইভার মোশাররফ এটি স্ক্যান করে আমার স্বাক্ষর বসিয়েছে। রবিবারে মামলা হবে,আমার অফিসের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য মোশারফ এই প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছে ।

Daily Frontier News