Daily Frontier News
Daily Frontier News

ব্রাহ্মণবাড়িয়া তুচ্ছ ঘটনা কে কেন্দ্র করে মৃত্যু অতঃপর বাড়ি-ঘর লুটপাট ও পুড়িয়ে দেওয়া

মোঃ কামরুজ্জামান ভূইয়া জেলা প্রতিনিধি ব্রাহ্মণবাড়িয়াঃ-
.    জেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা সুহিলপুর ইউপিস্হ আঐর কাঐর গ্রামে,গায়ে ফুটবল পরা কে কেন্দ্র করে একজনের মৃত অতঃপর ঘর-বাড়ি লুটপাট ও বাড়ি-ঘর পুড়িয়ে দেওয়া ।
.   ৩রা নভেম্বর ২০২৩ইং ফুটবল খেলার বল, গায়ে পরা কে কেন্দ্র করে, পরবর্তীতে এক জনের মৃত্যু হয়।আদালতে মৃত্যুর মামলাও চলমান আছে। বর্তমানে কয়েকজন গ্রেপ্তার হয়ে হাজত বরণ করছে ।
.    এরই মধ্যে জেল হাজতে থাকা মোঃ কাছম আলী’র স্ত্রী রাহেলা বেগম,
সাং- আঐর কাঐর, পোঃ ঘাটুরা, ইউ.পি- সুহিলপুর, থানা ও জেলা- ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
.      অভিযোগ তুলে মিডিয়া প্রতিনিধিকে জানান,আঐর কাঐর গ্রামের রাহেলা বেগম এর উত্তর ভিটির বসত ঘর ২৩শে ফেব্রুয়ারি ২০২৪ইং তারিখ, শুক্রবার দিবাগত রাত্র সময় অনুমান ১১.৩০ ঘটিকা ঘটনা ঘটে।
রাহেলা বেগমের দাবি তাহারা নিরীহ শান্তি প্রিয় লোক।
.   রতন খন্দকার, রাহেলার স্বামী ও ছেলেদের বিরুদ্ধে মিথ্যা খুনের মোকদ্দমা জি.আর- ৫০২/২০২৩ইং (সদর) করিলে সেই মোকদ্দমায় রাহেলার স্বামী,২ ছেলে ও স্বামীর ভাতিজা হাজতে আছে। তাহারা হাজতে থাকার সুযোগে(১) রতন খন্দকার (৩৩), পিতা- মোঃ ধন মিয়া খন্দকার, (২) আক্কাছ খন্দকার (৩৫), পিতা- ঐ উভয় সাং- গৌতমপাড়া (পশ্চিম পাড়া).(৩) আব্দুল মোতালিব (৫০), পিতা- মৃত মধু মিয়া সাং- আঐর কাঐর(৪) মজিদ মিয়া (৪৫), পিতা- মৃত সুরুজ মিয়া সাং- গৌতমপাড়া(৫) জীবন মিয়া (৩০), পিতা- আব্দুল মোতালিব(৬) শুভ মিয়া,  পিতা- মৃত ঐ উভয় সাং- আঐর কাঐর(৭)ইউনুছ মিয়া (৪৫), পিতা- মন মিয়া(৮) ইসমাইল মিয়া,পিতা- অহিদ মিয়া উভয় সাং- গৌতমপাড়া সর্ব থানা ও জেলা- ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ গং আরো অজ্ঞাত ৫/৬ জন।বাড়ী-ঘর লুটপাট করে, আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দেয় ।
.    রতন খন্দকার গং দের ভয়ে রাহেলা বেগম মামলা করিতে সাহস পায় নাই। রাহেলা বেগমের স্বামী ছেলেরা হাজতে থাকায় রাহেলা বেগম স্বামী গৃহে বসবাস করিয়া থাকে। রতন খন্দকার গংদের ভয়ে রাহেলা বেগম পক্ষের পুরুষ লোকেরা যাহারা হাজতের বাহিরে তাহারা বাড়ী হইতে পালাইয়া আছে। রতন খন্দকার গং, রাহেলা বেগমের পক্ষের ঘর লুটপাট করিয়া ক্ষান্ত হয় নাই। ঘটনার পূর্ব হইতে রতন খন্দকার গং হুমকি দিয়া আসে যে, তাহারা রাহেলার ঘর আগুন দিয়া পুড়াইয়া, রাহেলা পক্ষের বাড়ী-ঘর জবর দখল করিবে।
.   উল্লেখিত ঘটনার তারিখ ও সময়ে রতন খন্দকার গং দা, লাঠি, রড, তেলের কনটেইনার, দিয়াশলাই ইত্যাদি নিয়া রাহেলার বাড়ীতে অন্যায় প্রবেশে রাহেলা’র  পক্ষকে ঘর হইতে ডাকিয়া বাহির করিয়া হত্যার ভয় দেখাইয়া চুপ থাকিতে বলে। এই সময়  রতন খন্দকার  ডাক দিয়া বলে “শালীর বেটির ঘর জ্বালাইয়া দে”। সঙ্গে সঙ্গে আব্দুল মোতালিব, মিয়া,  ইউনুছ মিয়া,ইসমাইল মিয়া,তাহাদের হাতে থাকা কেরোসিন তেলের কনটিনার হইতে, রাহেলা’র উত্তর ভিটির ভিট পাকা চৌচালা টিনের বসত ঘরের চারিদিকের ভেড়ায় ও চালে কেরোসিন ছিটাইয়া দিয়া (১) রতন খন্দকার (২) আক্কাছ খন্দকার (৩৫),(৩) আব্দুল মোতালিব
(৪)মজিদ মিয়া ও (৫)জীবন মিয়া তাহাদের সঙ্গে থাকা দিয়াশলাই দিয়া আগুন ধরাইয়া দিলে আগুন ধাউ ধাউ করিয়া জ্বলিয়া উঠে এবং রাহেলা বেগমের ৩০ হাত লম্বা ৮ হাত প্রস্হ তিন কোঠা বিশিষ্ট বসত ঘরটি উহার ভিতর থাকা খাট, পালং, লেপ-তোষক, কম্বল, হাড়ি-পাতিল সহ গৃহস্থালীর যাবতীয় মালামাল পুড়িয়া অনুমান ৩,৫০,০০০/- (তিন লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকার ক্ষতি হয়। রাহেলা বেগম গং যাহাতে আগুন নিভাইতে না পারে, সে জন্য  দা, লাঠি, রড উপছাইয়া ভয়ভীতি দেখায়।
.      আগুনে রাহেলার ঘর পুড়িয়া যাইতেছে এই সংবাদ আশেপাশে কোন স্ব-হৃদয়বান ব্যক্তি ফায়ার সার্ভিসকে মোবাইল ফোনে জানাইলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া হইতে ফায়ার সার্ভিসের লোক আইয়া আগুন নিভায়। উঠানের বিদ্যুতের আলোতে, চাঁদের আলোতে এবং আগুনের লেলিহান শিখায় রাহেলা বেগম যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলিয়াছে তাহাদেরকে  চিনিয়াছে।ঘটনার সময় (১)হেলেনা বেগম,(২) শাহ আলম খন্দকার,(৩) মোঃ জুলহাস মিয়া,(৪)মোছাঃ রহিমা বেগম,(৫)মোছাঃ আনোয়ারা বেগম,সহ অনেক লোক উপস্থিত ছিল। রাহেলা গং কিংকর্তব্য বিমূঢ়, দিশেহারা ।
Daily Frontier News