মোঃ শাহিন চৌধুরী
বিজয়নগর ব্রাহ্মণবাড়িয়াঃ-
. জেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজয়নগর উপজেলা ৬ নং পত্তন ইউপিস্হ পত্তন উচ্চ বিদ্যালয়। যদিও স্কুলের কাজ চলে ১৯৭৯ সাল হইতে।কিন্তু স্থাপিত ১৯৮৬ সাল, তখন স্কুলটির নাম ছিল হুমায়ুন কবির পত্তন উচ্চ বিদ্যালয়।কিছুদিন চলার পর নাম পাল্টে হয়ে গেল পত্তন উচ্চ বিদ্যালয় । স্কুলটির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিল ৭ জন। স্কুলটি জন্ম কাল থেকে থেমে থেমে শিক্ষক নিয়োগ বাণিজ্য চলে আসছিল মোটা অংকের বিনিময়ে।স্কুলটির প্রধান শিক্ষক ও নিয়োগ হয়েছিল একই রকম ভাবে । বিভিন্ন কারণে সচেতন মহল কিছু করার ছিল না।এবার হয় তো পূর্বের ধারাবাহিকতা দুর হবে। ছাত্র-ছাত্রীরা আরো আলোকিত করবে দেশ ও জাতিকে।
. সূত্রে জানা যায়,২৯শে আগস্ট ২০২২ইং তারিখে দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় পত্তন উচ্চ বিদ্যালয়ে কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর,অফিস সহায়ক,পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা কর্মী ও আয়া পদে লোক নিয়োগ করা হইবে। শাহরিয়ার মোহাম্মদ মহসিন কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর পদে শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের সর্ব শেষ ২০২১ইং এর এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী বিধি মোতাবেক উক্ত পদে আবেদন করে। প্রধান শিক্ষক জনাব ইউসুফ আলী ও উপজেলা শিক্ষা অফিসার জনাব আবদুল জলিল কর্তৃক শাহরিয়ার মোহাম্মদ মহসিন এর আবেদন যাচাই বাছাই পূর্বক বৈধ হিসাবে বিবেচিত হওয়ার পর বিজয়নগর উপজেলা শিক্ষা অফিসারের আদেশ ক্রমে পত্তন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক,শাহরিয়ার মোহাম্মদ মহসিন আবেদনের প্রেক্ষিতে ১৯শে ফেব্রুয়ারি ২০২৩ খ্রিঃ রোজ রবিবার সকাল ১০ ঘটিকার সময় অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া নিয়োগ সাক্ষাৎকার বোর্ডে উপস্থিত থাকার জন্য ইন্টারভিউ কার্ড ইস্যু করে ।
. শাহরিয়ার মোহাম্মদ মহসিন যথা সময়ে অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর পদে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করার জন্য উপস্থিত হয় এবং হাজিরা সীটে স্বাক্ষর করে।
. স্বাক্ষর করার কিছুক্ষন পর পত্তন উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক ইউসুফ আলী, শাহরিয়ার মোহাম্মদ মহসিন কে পরীক্ষার হল থেকে ডেকে বের করে অফিসে নিয়ে যান।অতপর,বিজয়নগর উপজেলা শিক্ষা অফিসার আবদুল জলিল ও নিয়োগ সাক্ষাৎকার বোর্ডের ডিজি প্রতিনিধি অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া, প্রধান শিক্ষিকা, ফরিদা নাজমীন (বিসিএস সাধারন শিক্ষা )। শাহরিয়ার মোহাম্মদ মহসিন কে বলেন যে, এস,এস,সি তে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়টি না থাকার দরুন তোমার আবেদনটি অবৈধ, সেই মর্মে উক্ত নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করিতে পারিবে না। অতপর জোরপূর্বক শাহরিয়ার মোহাম্মদ মহসিন কে পরীক্ষার হল থেকে ডেকে বের করে দেয় । মহাসিন কে বলে যে আর কোন দিন যেন এই পদে আবেদন না করে ।. কিন্তু পরবর্তীতে জানাযায়, মোসাঃ তানিয়া আক্তার এর এস,এস,সি তে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়টি না থাকা সত্বেও উপজেলা শিক্ষা অফিসার আবদুল জলিল সহ নিয়োগ সাক্ষাৎকার বোর্ড মোটা অংকের অর্থ আদান-প্রদানের মাধ্যমে তানিয়া আক্তার কে কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর পদে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করেন ।
. তারপর শাহরিয়ার মোঃ মহসিন ২০শে ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ইং তারিখে উক্ত নিয়োগের অনিয়ম সম্পর্কে পত্তন উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদ সভাপতি, প্রধান শিক্ষক ও কমিটির সকল সদস্যদের বিষয়টি অবগত করানোর পরও প্রধান শিক্ষক ইউসুফ আলী শাহরিয়ার মোহাম্মদ মহসিন কে বলেন, তানিয়া আক্তারের কাগজপত্র যাছাই বাছাই চলিতেছে এবং আরও বলেন আগামী ১৯শে মার্চ ২০২৩ ইং তারিখে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির মিটিংয়ে উক্ত নিয়োগ বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিবেন । কিন্তু আজ পর্যন্ত নিয়োগ বাতিল করা হয় নাই ।
. জেলা প্রশাসক ব্রাহ্মণবাড়িয়া বরাবরে অভিযোগ দাখিল করে আকুল আবেদন জানিয়ে অভিযোগের তদন্ত পূর্বক নিয়োগ বাতিলের যথাযথ বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য ৯ই এপ্রিল,২০২৩ইং শাহারিয়ার মোহাম্মদ মহসিন
(কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর প্রার্থী) অভিযোগ করেন ।
Copyright © 2024 Daily Frontier News | Design & Developed By: ZamZam Graphics