কাউছার মিয়া নরসিংদী:-
শিবপুর উপজেলা আইয়ুবপুর ইউনিয়ন জনগণের ভোটে তিন-তিনবার নির্বাচিত ৫ নং ওয়ার্ড সদস্য ওহিদ মেম্বার সক্রিয় বিএনপির কর্মী। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সময় জনপ্রতিনিধি হওয়া সত্বেও তাকে নাশকতার মামলায় জরানো হয়। ৫ আগষ্টের পর সরকার পরিবর্তন হলেও মামলা থেকে রেহাই পায়নি তিনি।আইয়ুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান সরকার ৫ আগষ্টের পর থেকে পলাতক থাকায় আইয়ুবপুর ইউনিয়নবাসীর সেবা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। এমতা অবস্থায় পরিষদের সকল সদস্যগণ একত্রিত হয়ে অহিদুল্লাহ মোল্লাকে বারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়ার জন্য শিবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট একটি দরখাস্ত করেন। আর এতেই তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠে কিছু কু-চক্রী মহল, তার নামে মিথ্যা রটনা রটাতে শুরু করে।
এ বিষয়ে ওহিদ মেম্বার বলেন, আমি সক্রিয় বিএনপি কর্মী থাকা সত্ত্বেও বিগত আওয়ামী সরকারের দুঃশাসনের সময় জনগণের ভোটে তিন তিনবার সদস্য নির্বাচিত হয়েছি। আমার এলাকার জনগণের সেবা দান এর লক্ষ্যে তখনকার আওয়ামী নির্বাচিত নেতাদের সাথে কাজ করতে বাধ্য হয়েছি। এলাকার রাস্তাঘাট, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা থেকে শুরু করে জনগণের সেবা করার জন্য আওয়ামী নেতাদের সাথে মিশতে বাধ্য হয়েছি। আমি বিগত ১৭ বছর ফ্যাসিষ্ট সরকারের রোষানলে পড়ে তিন তিনটি নাশকতার মামলা খেয়েছি। শিবপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি হারিস রিকাব্দার কালা মিয়া স্যার, যুগ্ন সাধারন সম্পাদক বিপি তুফাজ্জল ভাইয়ের সাথে ও আমাকে মামলায় জড়ানো হয়েছে। সেই মামলার কারণে এক বছর আমি এলাকার জনগণের কোন সেবা করতে পারিনি। ৫ আগষ্টের পর আওয়ামী লীগের নির্বাচিত চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান সরকার পলাতক থাকায় সকল সদস্যগণ আমাকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দ্বায়িত্ব দেওয়ার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট দরখাস্ত দেওয়ায় কিছু কুচক্রী মহল আমার নামে মিথ্যা রটনা রটাচ্ছে, আমি এর তীব্র প্রতিবাদ করছি।
Copyright © 2025 Daily Frontier News | Design & Developed By: ZamZam Graphics