পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ২০ কর্মকর্তাকে চাকরি থেকে স্থানীভাবে বহিষ্কার।

মাসুম মির্জা নবীনগর উপজেলা প্রতিনিধি

ব্রাহ্মণবাড়িয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির উপ-মহাব্যবস্থাপক (কারিগরি) মো. আবু ছায়েম বলেন, ‘আমরা অফিসিয়ালি কোনো ব্ল্যাকআউট কর্মসূচি পালন করিনি। তবে আজকে আমাদের মহাব্যবস্থাপক মুকুল হোসেন ও উপ-মহাব্যবস্থাপক আসাদুজ্জামান ভূইয়াকে কোনো কারণ দর্শানো নোটিশ ছাড়াই বরখাস্ত করা হয়েছে। এজন্য আমাদের কর্মকর্তাদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। আমরা কর্তৃপক্ষের এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানাচ্ছি’।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেয়া গোলাম কিবরিয়া নামে একজন ব্যক্তি তারিখ ৪/৯/২৪ইং সেই পরিপ্রেক্ষিতে আজ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ব্রাহ্মণবাড়িয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির উপ-মহাব্যবস্থাপক (কারিগরি) মো. আবু ছায়েম বলেন, ‘আমরা অফিসিয়ালি কোনো ব্ল্যাকআউট কর্মসূচি পালন করিনি। তবে আজকে আমাদের মহাব্যবস্থাপক মুকুল হোসেন ও ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো. আসাদুজ্জামান ভূইয়া কে পল্লী বিদ্যুৎ খাতকে অস্থিতিশীল করায় নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুৎতায়ন বোর্ড এর নির্দেশনার প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শন এবং দাপ্তরিক শৃঙ্খলা পরিপন্থী কার্যকলাপে লিপ্ত থাকায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির চাকরি বিধি ১৯৯২ (সংশোধিত, ২০১২) অনুযায়ী চাকরি হতে অব্যাহতি দেওয়া হলো। আজ সারা দেশে পল্লী বিদ্যুৎ খাতের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের চাকরি থেকে বহিষ্কার করা হচ্ছে। আর এই দিকে দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের পক্ষ হয়ে আন্দোলনে নেমেছে কর্মকর্তা কর্মচারীরা। এবং সারা দেশে বিদ্যুৎ সর্ব বন্ধ করে দিয়েছে। জনগণ বলছে যারা দুর্নীতিবাজের পক্ষ হয়ে আন্দোলন করছে তাদেরকে অতি শীঘ্রই প্রতিহত করা হবে। আগামীকাল থেকে ছাত্র জনতা এই দুর্নীতি কর্মকর্তা কর্মচারীর বিরুদ্ধে আন্দোলনের নামবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সূত্রে জানা যায়, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ৪৫ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী দেশের ৮০ ভাগ অঞ্চলের প্রায় ১৪ কোটি মানুষকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করেন। পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের দ্বৈতশাসন ৪৭ বছর ধরে চলমান আছে। তাদের শোষণ, বৈষম্য ও নিপীড়ন থেকে মুক্তির জন্য আরইবি-পবিস একীভূতকরণসহ অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়ন এবং সব অনিয়মিত ও চুক্তিভিত্তিক কর্মচারীদের নিয়মিতকরণের ২ দফা দাবি তোলা হয়। বিদ্যুৎ সচিবসহ প্রধান উপদেষ্টার দাবি তাদের দাবিকে যৌক্তিক বললেও বাস্তবায়ন না করে উল্টো আমাদের ১০ কর্মকর্তাকে চাকুরি থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয় এবং একজনকে আইসিটি আইনে গ্রেপ্তার করা হয়। যা আমাদের উদ্বিগ্ন করেছে।