মো:ছালেক উদ্দিন। বিশ্বনাথের প্রতিনিধি
সবচেয়ে সত্য জিনিস হচ্ছে আমাদের মরণ একদিন হবেই। মরণ যখন সত্য
সবাই এটাকে মেনে নেয়। মরণের পরের জীবন নিয়ে মূল চিন্তা। আমার যে,
একটা জীবন ৬০, ৭০ বৎসরের এটা একদিন শেষ হয়ে যাবে। আমি মিলিয়নার থাকি আর গরীব থাকি পরবর্তী একটা যে জীবন, সেটির জন্য কাজ করতে হবে। পরবর্তী জীবন একটা লং জার্নি। যেমন একজন মানুষ সারাদিন কাজ করে
যার উদ্দেশ্য হলো দিন শেষে সে বেতন পাবে। বেতন যদি সে না পায় তাহলে
সারা দিনের প্ররিশ্রম তার ব্যর্থ। তেমনি ভাবে মরণের পরের জীবনের জন্য
সম্পদ সংগ্রহ করা জুরুরী। আর এ দিকে আমাদেরকে এগিয়ে আসতে হবে।
কুরআনুল কারিমের সুরা আসরের তাফসির পড়ারপর আমার মনে হয় সকল মানুষই চরম ক্ষতির মধ্যে নিমজ্জিত। যখন আমাদের মরণ হবে তখন আমরা
সব কিছু সত্য মনে করবো। সুরা আসরে মধ্যে মহান আল্লাহতালা বলেছেন, দুনিয়ার প্রতিটি মানুষই ক্ষতির মধ্যে নিপতিত কিন্তু তারা ব্যতিত যারা মহান আল্লাহ ও তার রাসুলের প্রতি ঈমান, যারা সৎ কাজের আদেশ, অসৎ কাজের নিষেদ, হক পথে থাকা এবং যারা ছবর অবলম্বন করা।
এই গুণ যাদের কাছে রয়েছে তারা সবই সফলকাম আর যাদের মধ্যে এই গুণ গুলো নেই তারাই ক্ষতির মধ্যে রয়েছে। আমাদের প্রত্যেকের জীবনের পারপাস কি? আমার জীবনের পারপাস হচ্ছে, মহান আল্লাহতালাকে খুশি করা এবং জান্নাত বাসী হওয়া। আমি মনে করি বিদেশের মানুষ ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট। এতো ব্যস্ত ও পরিশ্রমের মধ্যেও চায় যে জামায়াতে নামাজ পড়তে। চেষ্টা করে বাচ্চাদেরকে আলিম ও হাফিজ বানাতে। বৃিটেনে আজান শুনা যায়না। অনেকে আজান শুনার জন্য ঘরের মধ্যে রেডিওতে আজান শুনার ব্যবস্হা করে।
কথা গুলো বলেছেন, রফিক ফাউন্ডেশন ইউ’কের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান যুক্তরাজ্যে মানচেষ্টারে বসবাসরত বিশিষ্ট ইমিগ্রেশন সলিসিটর সিলেটের ওমসানীনগর উপজেলার দয়ামীর ইউনিয়নের বড় ধিরারাই গ্রামের মোঃ রফিকুল ইসলাম ১৮ জানু্য়ারি শনিবার বিকেলে সিলেট মহানগরীর চৌকিদেখিতে নিজ বাসভবনে বিশ্বনাথ ও টেংরা বার্তার সাথে আন্তরিক এক সাক্ষাৎকারে উপরোক্ত কথা গুলো তিনি ব্যক্ত করেন। সাক্ষাৎকারটি গ্রহণ করেন, বিশ্বনাথ বার্তার ব্যবস্হাপনা সম্পাদক ও বিশ্বনাথ উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ শাহিন উদ্দিন। এতে তাঁর কাছে কিছু প্রশ্নও উত্তাপিত হয়েছে।
সাক্ষাৎকারে সলিসিটর রফিকুল ইসলাম আরো বলেন, আমি ১৪ বৎসর বয়সে যুক্তরাজ্যে গমণ করেছি। পরিবারের বড় সন্তান হিসাবে পরিবারের হাল ধরেছি। ভাই, বোন ও নিকট আত্নীয় স্বজন সকলকে ষ্টাবলিষ্ট করেছি। যুক্তরাজ্যে এসে নিজে রুজি করেছি এবং বিশ্ববিদ্যালয় লেখাপড়া করে সলিসিটরও হয়েছি।
আজ মহান আল্লাহতালা আমাকে ভালো একটি অবস্হানে রেখেছেন।
রফিক ফাউন্ডেশন আমার নামে মানবতার কল্যাণে একটি চ্যারেটি সংগঠন করেছি। নিজের পরিবার, আত্নীয় স্বজনকে রাস্তায় রেখে চ্যারেটি হতে পারেনা এবং লম্বা লম্বা কথা বলে লাভ নেই। নিজের পরিবার ও আত্নীয় স্বজনকে আর্থনৈতিক ভাবে একটা অবস্হানে নিয়েছি। এখন আমি নিজের ঘর থেকে চ্যারেটি শুরু করেছি। যতদিন বেঁচে আছি ততদিনই মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাবো ইনশা’আল্লাহ। আর মানবতার কাজ হচ্ছে সৎ কাজ। সৎকাজ হচ্ছে ঈমানের দাবী। এই দাবী পুরুণে আমাদেরকে এই কাজ করতেই হবে।
প্রশ্নঃ আপনার চ্যারেটির মাধ্যমে কি কি জিনিস দিয়ে থাকেন?
উত্তর ঃ টিউবওয়েল, প্রতি বৎসর রমজানে ফুড পেকেট, গরীব ছেলে মেয়ের বিবাহে, চ্যারেটি থেকে তিনজন ছাত্রকে হাফিজ করার লক্ষ সহায়তা করা হচ্ছে, যে কোনো দুর্যোগ মুহুর্তে, যেমন, বন্যা, গাজায় সহযোগীতা করেছি, গরমের সময় রিক্সা ড্রাইভারদেরকে পানি খাওয়নো, ঘরের টিন, অসুস্হদেরকে চিকিৎসা বাবত। নিজ পরিবারে এ জন্য চ্যারেটি সংগঠন করেছি যে, আমার ছেলে মেয়েরা তারা যে কোনো চ্যারেটিতে কাজ করতে পারে কিন্তু তাদের পিতার যে চ্যারেটি সংগঠন করছেন সেটিতে তারা গুরুত্ব দিবে এবং কাজও করবে বলে আমার বিশ্বাস।
প্রশ্নঃ বাংলাদেশকে কেমন দেখতে চান?
উত্তর ঃ বাংলাদেশ হচ্ছে আমার জন্মভূমি। যখন আমরা বাংলাদেশ সম্পর্কে নিউজে দেখি খারাপ ঘটনা তখন মনটাতে কষ্ট লাগে। আমরা চাই বাংলাদেশে ইসলামী রাষ্ট্র হিসাবে। রাষ্ট্রের প্রতিটি সেক্টর চলবে কুরআন ও হাদিস অনুয়ায়ী। মরণের আগে আমি দেখে যেতে চাই বাংলাদেশের কুরআনের আইন কায়েম হয়েছে। এরপর দেশের রাজনৈতিক দলের সংস্কার। দেশের প্রতিটি দলের নেতারা আল্লাহকে ভয় করবে এবং তাদের প্রতিটি কাজ যদি হয় আল্লাহকে ভয়ে তাহলে সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে।
আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।
আপনাকেও ধন্যবাদ।
Copyright © 2025 Daily Frontier News | Design & Developed By: ZamZam Graphics