আব্দুল হান্নান স্টাফ রিপোর্টার ঃ-
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার বুড়িশ্বর ইউনিয়নের আশুরাইল ও শ্রীঘর দুই গ্রামের অধিকাংশ লোক ঈদের আনন্দ থেকে বঞ্চিত।পুলিশের ভয়ে তারা অনেকই এখন রাত কাটাই ধানি জমি আর অন্যের বাড়িতে।ঈদের কোনো হাসি- আনন্দ নেই তাদের ও পরিবারের মাঝে। পরিবার পরিজন নিয়ে ঈদ করার সৌভাগ্য নেই তাদের।
জানা গেছে গত ২৬ এপ্রিল ২০২২ তারিখে নদীর পাড় থেকে আশুরাইল গ্রামের মৃত রাজু মিয়ার ছেলে সারাজ মিয়ার ধান শ্রীঘর গ্রামের জুনাইদ মিয়ার ট্রাক্টর দিয়ে বাড়িতে এনে দেয়ার ভাড়াকে কেন্দ্র করে জুনাইদ,সারাজ মিয়া ও জালাল মিয়ার মাঝে কথা কাটাকাটির পর দুই গ্রামের লোকজনের মাঝে সংঘর্ষ হয়।নদীর পাড় থেকে আনুমানিক আড়াই কিঃ মিঃ দুরে তার নিজ গ্রামে সাচ্চারপাড় মসজিদ থেকে সংঘর্ষে খবর গ্রামবাসীর মাঝে মাইকে প্রচারের সময় শ্রীঘর গ্রামের মৃত শানু মিয়ার ছেলে নায়েব উল্লাহ নামে একজন হার্টএ্যটাকে মারা যায়।ওই ঘটনায় নায়েব উল্লাহর ভাই সাজু মিয়া বাদী হয়ে আশুরাইল গ্রামের অনেক নিরপরাধী লোককে আসামী করে নাসিরনগর থানায় একটি মিথ্যা খুনের মামলা দায়ের করে।ওই ঘটনায় পুলিশ চার জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করে।এর পর থেকেই পুরুষ শুন্য হয়ে পরে আশুরাইর গ্রাম।ওই ঘটনার পর শ্রীঘর গ্রামের হাবিবুর রহমান জজ মিয়া,আবছর উদ্দিনের ছেলে কুখ্যাত জোয়ারী ও চোর আওয়াল মিয়া,ফজলুল করিম সহ আরো ২/৩ জনের নেত্রীত্বে আশুরাইলে লোকজনের,ঘরবাড়ি, গরুবাছুর, জমির কাটাধানের উপর চলে অমানবিক অত্যাচার নির্যাতন।তাদের লোকজনের হাত থেকে রক্ষাপায়নি এক নারীও।ক্ষতিগ্রস্থরা পুলিশের ভয়ে ও নারী লোকলজ্জার ভয়ে আসতে পারছে না থানায়।
ওই ঞটনার রেশ না কাটতে না কাটতেই গত শনিবার ৩০ এপ্রিল ২০২২ তারিখে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে কটুক্তি করাকে কেন্দ্র করে শ্রীঘর গ্রামের সর্দার বাড়ি ও মাঝি বাড়ি দুই গোষ্টির মাঝে সংঘর্ষ হয়। ওই সংঘর্ষে ৭ পুলিশ আহত হয়।এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গেও তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে।পরে পুলিশের লাঠিচার্জের পরও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসলে পুলিশ আত্মরক্ষার্তে ৯ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে।পরে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় নাসিরনগর থানার এসআই শফিকুর রহমান বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।এরপর থেকেই দুই গ্রাম পুরুষশূন্য হয়ে পড়ে।
থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে,এই দুই মামলায় এ পর্যন্ত পুলিশ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এসআই শফিকুর রহমান এ প্রতিনিধিকে জানান ‘এলাকার পরিবেশ বর্তমানে শান্ত রয়েছে। সাধারণ মানুষ তাদের বাড়িতেই আছে। সহিংসতার ঘটনায় জড়িত পুরুষরাই কেবল এলাকায় নেই। তিনি আরো জানেন আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান পরিচালনা অব্যাহত আছে।
এ বিষয়ে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে নাসিরনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হাবিবুল্লাহ সরকার বলেন কোনো নিরপরাধ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে তারাই এলাকা থেকে পালিয়ে গেছে। গ্রেপ্তার করা হচ্ছে শুধু অভিযুক্তদের,কোন ভাল মানুষকে হয়রানী করার মন মানষিকতা পুলিশের নেই।
Copyright © 2025 Daily Frontier News | Design & Developed By: ZamZam Graphics