Daily Frontier News
Daily Frontier News

নাঙ্গলকোট ভোলাইন বাজার আলিম মাদ্রাসায় নিয়োগ বানিজ্যের অভিযোগ

 

লাকসাম প্রতিনিধি:

নাঙ্গলকোট উপজেলার ভোলাইন বাজার আলিম মাদ্রাসার গভর্নিং বডিতে দাতাসদস্য ও বিভিন্ন পদে চাকুরী প্রার্থীর নামে ইন্টারভিউ কার্ড ইস্যু না করে গোপনে মোটা অংকের বিনিময়ে অবৈধ ভাবে পছন্দসই লোকবল নিয়োগসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

গত ২৪ মার্চ এ সব বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে একই মাদ্রাসার গভর্নিং বডির অভিবাবক সদস্য মোঃ কামাল হোসেন ভূঁইয়া মাদ্রাসা  শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান, মহাপরিচালক ও জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বিগত ১৭ আগষ্ট ২০২০ইং তারিখে নাঙ্গলকোট উপজেলার ভোলাইন বাজার আলিম মাদ্রাসার বিভিন্ন পদে লোকবল নিয়োগের জন্য বিভিন্ন পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি পেয়ে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার পদে মোঃ তানভীর আহম্মেদ রনি, নিরাপত্তা প্রহরী পদে সাহাব উদ্দিন ও নাছির উদ্দিন আবেদন করেন। অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার পদে চাকুরী পাওয়ার লোভে মোঃ তানভীর আহম্মেদ রনি তার বড় ভাইয়ের মাধ্যমে ৩ লাখ টাকা, নিরাপত্তা প্রহরী পদে সাহাব উদ্দিন ৩ লাখ টাকা ও একই পদের জন্য নাছির উদ্দিন ১ লাখ ৭০ হাজার টাকাসহ মোট ৭ লাখ ৭০ হাজার টাকা বিভিন্ন মাধ্যমে একই মাদ্রাসার গভর্নিং বডির দাতাসদস্য ও স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার হোছনুজ্জামানের নিকট প্রদান করেন। কিছু দিন পর ইন্টারভিউ কার্ড ইস্যু না করে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার পদে তার ছেলে মাহমুদুল হাসান কে প্রদান করেন।

এছাড়াও বিগত ৪ ডিসেম্বর ২০১৪ইং তারিখে নিজ নামে মগুয়া মৌজায় ২৫৭নং দাগের ৪২ শতক আন্দরে ৩ শতক ভূমি দিয়ে একই ইউপির ওয়ার্ড মেম্বার হোছনুজ্জামান এবং তার  স্ত্রী সেলিনা বেগম ও ছেলে জুয়েলকে দাতা সদস্য তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করেন। কিন্তু ২০১৬ সালে উক্ত ৪২ শতক ভূমি তাহার নিজ নামে খারিজ করে মোঃ রেফায়েত উল্লাহ ও শায়লা মরিয়ম নামে ২ ব্যক্তির নিকট বিক্রি করে দেন।

একই মাদ্রাসার গভর্নিং বডির অভিবাবক সদস্য মোঃ কামাল হোসেন ভূঁইয়া মোটা অংকের বিনিময়ে অবৈধ ভাবে পছন্দসই লোকবল ও অবৈধভাবে গভর্নিং বডিতে দাতাসদস্য নিয়োগের বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে মাদ্রাসার গভর্নিং বডির সভাপতি মোঃ ছাদেক হোসেন ভূঁইয়া ও অভিযুক্ত দাতা সদস্য হোছনুজ্জামান মেম্বারের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যান, মহাপরিচালক, কুমিল্লা জেলা প্রশাসক, জেলা শিক্ষা অফিসার, নাঙ্গলকোট উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযুক্ত দাতা সদস্য হোছনুজ্জামান মেম্বার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ভোলাইন বাজার আলিম মাদ্রাসায় লোকবল নিয়োগে অর্থ আদায়ের বিষয়ে আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। আমি কারো কাছ থেকে কোন টাকা গ্রহণ করিনি। মাদ্রাসার উন্নয়নে গভর্নিং বডির অন্য কোন সদস্য টাকা গ্রহণ করছে কি না তা আমার জানা নেই।

এ ছাড়াও ভুমি দানের বিষয়ে যে অভিযোগ উঠেছে তা সত্য নয়। আমি বিগত ৪ ডিসেম্বর ২০১৪ইং তারিখে মাদ্রাসার নামে ভূমি দান করে আমি, আমার স্ত্রী ও ছেলেসহ নিয়ম মত দাতা সদস্য অন্তর্ভূক্ত হয়েছি।

২০১৬ সালে টাকার প্রয়োজন হলে আমি ৩৯ শতক জমি বিক্রি করি। কিন্তু ভুলে বিক্রিকৃত ৩৯ শতক জমির পরির্বতে ৪২ শতক দলিল হলে তাদের কাছ থেকে ৩ শতক জমি মাদ্রাসার নামে না দাবী দলিল রেজিষ্টি করে দিয়েছি। এটি করণিক ভুল।

এ বিষয়ে ভোলাইন বাজার আলিম মাদ্রাসার গভর্নিং বডির সভাপতি মোঃ ছাদেক হোসেন ভূঁইয়াকে ইন্টারভিউ কার্ড ইস্যু না করে মোটা অংকের বিনিময়ে অবৈধ ভাবে পছন্দসই লোকবল ও অবৈধভাবে গভর্নিং বডিতে দাতাসদস্য নিয়োগের বিষয়টি জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, অভিবাবক সদস্য যে অভিযোগ করেছেন আমার জানা মতে এ সব বিষয়ে কোন অনিয়ম হয়নি।

Daily Frontier News