Daily Frontier News
Daily Frontier News

নবীগঞ্জে প্রতিপক্ষের হামলায় ভাংচুর, ধর্ষনের চেষ্টায় অগ্নিসংযোগে আহত নারী-পুরুষ সহ অর্থশতাধিক

 

প্রশাসনের রহস্যজনক ভূমিকায় এলাকায় ক্ষোভ! সেনাবাহিনীর পরিদর্শন

বুল বুল আহমেদ নবীগঞ্জ প্রতিনিধি:-

 

 

নবীগঞ্জের কালাভরপুর গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে পূর্ব বিরুদ্ধের জের ধরে মামলা, ভাংচুর সহ ধর্ষনের চেষ্টায় অগ্নিসংযোগ! থানা পুলিশের নিরব ভূমিকায় সেনাবাহিনীর ঘটনাস্থল পরিদর্শন।

জানাযায়, নবীগঞ্জ উপজেলার ১০নং দেবপাড়া ইউনিয়নের কালাভরপুর গ্রামে গত শুক্রবার (১৪ মার্চ) রাতে আবারও  হামলা, ভাংচুর, অগ্নি সংযোগের ঘটনায় এলাকায় আতংক বিরাজ করছে। ঐ দিন রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসইবুকে ঘোষণা দিয়ে সালামত খাঁনের লোকজন প্রতিপক্ষের বাড়ি- ঘরে অগ্নি সংযোগ ও লুটপাটের তান্ডব চালায়।

এ ঘটনার খবর পেয়ে আলমগীর খানের লোকজন প্রতিরোধ করতে আসলে উভয় পক্ষের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। মুখোমুখী এ সংঘর্ষে দু’পক্ষের প্রায় অর্থ শতাধীক নারী- পুরুষ আহত হয়েছেন।

আহতদের মধ্যে আলমগীর খানের লোকজনের মধ্যে দুই সহোদর সবুজ মিয়া, দিলাওর মিয়া সহ ৩ জনের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাদেরকে

সিলেট এম. এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে নেয়া হয়েছে মর্মে খবর পাওয়া গেছে।

বিদ্যমান বিরোধকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে ওসির বিরোদ্ধে মামলা বাণিজ্যের নানান অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে, গতকাল শুক্রবার রাতে খবর পেয়ে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমীন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। একের পর এক হামলা মামলার ঘটনায় ঐ গ্রামে আতংকে পুরুষ শূণ্য হয়ে ওঠেছে। এ নিয়ে গ্রামের লোকজনের মধ্যে উদ্ধেগ, উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। এ দুই বাহিনীর হামলা, পাল্টা হামলায় অস্থির হয়ে ওঠেছে গ্রামের নিরীহ সাধারণ মানুষ।

এ সকল ঘটনার খবর পেয়ে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শনিবার দুপুরে কালাভরপুর গ্রাম পরিদর্শন করেন। আইন শৃংখলার চরম অবনতির কারণে এলাকাবাসী সেনাবাহিনীর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে আরো জানা জায়,

উপজেলার ১০নং দেবপাড়া ইউনিয়নের কালাভরপুর গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামীলীগ নেতা সালামত খাঁন ও একই গোত্রের আলমগীর খাঁনের মধ্যে বিরোধে চলে আসছে। গত (১৪ র্মাচ) শুক্রবার রাতে সালামত খাঁনের লোকজন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসইবুকে ঘোষণা দিয়ে আলমগীর সমর্থিত মৃত আখল মিয়ার বাড়িতে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী নিয়ে হামলা, ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগ করে পাকা বাড়ির নিরাপত্তা বেষ্টনীর গ্রিলের পাশের দেয়াল ও  বাড়ির পেছন সহ চারদিকের দেয়ালগুলো সাবল দিয়ে ভেঁঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে প্রতিটি কক্ষ ভেঁঙ্গে ছুড়ে তছনছ করে। সন্ত্রাসীদের হামলা থেকে নারী- শিশু ও রক্ষা পায়নি। ঘরে লুটপাট শেষে অগ্নি সংযোগ করে বাড়িটি জ্বালিয়ে দেয়া হয়। এমন

খবর পেয়ে আলমগীর খাঁন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হওয়া মাত্রই মুখোমুখী সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সংঘর্ষে জামাল খান, লিটন মিয়া, খুরশেদ মিয়া, রুমেল মিয়া, আলমগীর খান, নোবেল আহমেদ, নয়ন মিয়া, নানু মিয়া, অনু মিয়া, ফরাস মিয়া, কোকিল মিয়া, সাকির আলী, ফয়সাল মিয়া, রোমান মিয়া, হোসাইন মিয়া, মঈন উদ্দীন, ফয়সাল খান, সবুজ মিয়া, দেলাওর মিয়া, রুনা বেগম ও আজিজা বেগম সহ  গুরুতর আহত হন। আহতদেরকে সিলেট এম. এ. জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে

প্রেরণ করা হয়েছে। এর পূর্বে সালামত খাঁনের লোকজন জমি দখল, বৃক্ষ নিধন ও বোরো মৌসুমের ফসল কর্তন সহ বসতবাড়ি ভাংচুর করা হয়।

গ্রামবাসী সূত্রে আরো জানা যায়, যুবলীগ ক্যাডার মোহিত, হাদী, বদরুল৷ ও জাকির গংদের সাথে

বিএনপির দুলাল যুক্ত হয়। গত প্রায় এক মাস ধরে  এলাকায় অবাধে চলছে হামলা-মামলা-পাল্টা হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট। দিবা রাতে ওই গ্রামে শসস্ত্র মহড়ায় আতংকিত এলাকার সাধারণ মানুষ!

আলমগীর খানের সমর্থক ফরিদ মিয়া চৌধুরী, নোমান মিয়া, জাকির হোসেন,দেলাওর মিয়া প্রমুখের প্রায় ৩০ বিঘা জমির বোরো ধান প্রকাশ্য দিবালোকে কেটে নেয় সালামত বাহিনীর দুলাল-হাদি-মোহিদ-বদরুল গং।

এছাড়াও, সালামত বাহিনীর হাদীর নেতৃত্বে আলমগীর খানের প্রায় ৪ শতাধিক বৃক্ষ কেটে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে। ইতিমধ্যে সামাদ মিয়া ও সাঈদ মিয়া চৌধুরীর বসতবাড়ি ভেঁঙ্গে প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করা হয়। এতে তারা ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে প্রাণ রক্ষায় তাদের আত্মীয় স্বজনদের বাড়িতে আশ্রয় নেন। বেপরোয়া সালামত বাহিনী একাধিকবার বসতবাড়িতে ডুকে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে ৭জন মহিলাকে রক্তাক্ত জখম করে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। এসব ঘটনায় মামলা হলেও কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি। এলাকার জনৈক মারুফ মিয়াসহ দায়িত্বশীল একাধিক সুত্র থেকে আরো জানা যায়, গত একমাস ধরে হামলা, পাল্টা হামলা ও গুপ্ত হামলায় পরস্পর বিরোধী হাফডজন মামলা হলেও কাউকে এখনও পুলিশ গ্রেফতার করতে পারে নি!

এসব ঘটনায় অভিযোগ উঠেছে উভয় লাটিয়াল বাহিনীর লোকজনের সাথে সখ্যতা গড়ে তোলে মামলা বাণিজ্যে মেতে উঠেছে থানা পুলিশ! এনিয়ে এলাকাবাসী সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উর্ধতন কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

 

Daily Frontier News