বুলবুল আহমেদ, নবীগঞ্জ হবিগঞ্জ প্রতিনিধি:-
পরিবার- পরিজনকে নিয়ে ঈদ করতে পারলেনা নবীগঞ্জের বিশিষ্ট বাউল শিল্পী লেবু মিয়া! ঈদের দিন ভোরে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে সবাইকে কাঁদিয়ে পরপারে চলে যান। ‘ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না লিল্লাহি রাজিউন’। হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি ইউনিয়নের মিনাজপুর গ্রামের বিশিষ্ট বাউল শিল্পী লেবু মিয়া সরকার (৭০) আর আমাদের মাঝে নেই। তিনির গত মাস ২/১ পূর্বে ব্রেইন ক্যান্সার রোগ ধরা পড়ে। এতে ডাক্তার বলেছেন অপারেশন করাতে হবে। কিন্তু অনেক টাকা পয়সারও প্রয়োজন। যত সময় যাচ্ছে ততই মাতায় যন্ত্রণাও বাড়তে থাকে তার। এতে পরিবারের লোকজন অধয্য
হয়ে প্রথমে নবীগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার ডাক্তার তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। দুই দিন পর সেখানকার চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেন। সেখানে সপ্তাহখানেক থাকার পরও কোন উন্নতি না হওয়াতে ঢাকা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। সেখানেও কয়েকদিন চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে চলে আসেন। ২/৩ দিন পর আবারো রোগটি বাড়তে থাকে। এতে, আবারও সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী বাড়িতে চলে আসেন। ৩দিনের মাথায় ঈদের দিন বৃহস্পতিবার ভোরে নিজ বাড়িতে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন, ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না লিল্লাহি রাজিউন।
মৃত্যুকালে গর্ভদারিনী মা, ২ছেলে, ১মেয়ে ও স্ত্রী সহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। তিনির মৃত্যুর খবরে আত্মীয়- স্বজনরা, বন্ধু- বান্ধব, ভক্ত আশেকানরা তাকে এক নজর দেখার জন্য তিনির বাড়িতে ভীড় জমান। বৃহস্পতিবার বাদ আছর মিনাজপুর জামে মসজিদের সামনে যানাজার পূর্বে মরহুমের জীবন বৃত্তান্ত নিয়ে বক্তব্য রাখেন, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মুহিবুর রহমান হারুন, শফিউল আলম হেলাল, ইউপি সদস্য জমির আলী। যানাজার নামাজে অংশ গ্রহন করেন, বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, এডভোকেট, ব্যবসায়ী, বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠনের সদস্য সহ বিভিন্ন শ্রেণীর পেশার লোকজন উপস্থিত ছিলেন। মরহুমের জানাযার নামাজ পড়ান ঈমাম মুজিবুর রহমান। এবং মোনাজাত শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাপন করা হয়েছে।
উল্লেখ যে, জীবনদশায় তিনি ক্বারী আমির উদ্দিন সহ সিলেটের বিভিন্ন স্থানে গুনী শিল্পী ও তিনির নিজের গান সুনামের সাথে গেয়ে শ্রোতাদের মন জয় করেছিলেন।
Copyright © 2025 Daily Frontier News | Design & Developed By: ZamZam Graphics