মোক্তার হোসেন গোলাপ
স্ত্রীর সঙ্গে প্রতারণা করে একাধিক বিয়ে করায় পুলিশের হাতে গ্রেফতার হলেন ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তাবির হোসেন পাভেল। মঙ্গলবার গভীর রাতে রাজধানীর হাজারীবাগ থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। বুধবার সকালে পাভেলের প্রথম স্ত্রী ফারহানা ঋতু এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তার অভিযোগ, পাভেল একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র,মাদক,ডাকাতিসহ অনেক মামলা রয়েছে।বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলারও আসামি সে। সেই মামলার প্রধান আসামি সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।হাজারীবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন,পাভেলের প্রথম স্ত্রীর করা একটি মামলার পরোয়ানাভুক্ত আসামি হিসাবে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তবে তার বিষয়ে বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে। এলাকাবাসী জানায়,ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার বাহ্রা ইউনিয়নের বলমন্তরচর গ্রামের বাসিন্দা পাভেল গ্রেফতারে এলাকায় স্বস্তি ফিরে এসেছে। পাভেলের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে। তিনি নবাবগঞ্জ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যন ছিলেন। সাজাপ্রাপ্ত মামলার তথ্য গোপন করায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় তাকে নির্বাচনের আড়াই বছর পর পদ থকে অপসারণ করে। ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে আত্মগোপনে ছিল।বলমন্তরচর বাসিন্দা সাবেক ব্যাংকার আব্দুর রউফ মন্টু বলেন, পাভেল একজন শীর্ষ সন্ত্রাসী। তার বাহিনীর অত্যাচারে নবাবগঞ্জবাসী অতিষ্ঠ ছিল। পাভেল আমার বাসায় ২০২৩ ও ২৪ সালে গুলি করে।সেসময় প্রশাসনকে জানিয়েও প্রতিকার পাইনি। তবে সে গ্রেফতার হওয়াতে এলাকায় শান্তি ফিরে আসবে। পাভেলের নামে নবাবগঞ্জ থানায় একাধিক মামলা থাকলেও বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিল। সে নবাবগঞ্জে বাস ডাকাতি মামলারও আসামি ছিল। এছাড়া নারায়ণগঞ্জে ২০১৪ সালের ১০ ফেব্র“য়ারি র্যাবের হাতে অস্ত্রসহ আটক হয়। সেই মামলায় ১৭ বছর সাজা হয়েছিল।ব্যবসায়ী আরিফ হোসেন বলেন, ২০২০ সালের ১৮ জুলাই পাভেল ও তার বাহিনী আমার কেবল ব্যবসা দখল করতে অফিসে হামলা করে। এ সময় ভাগিনা সাজিদসহ কয়েকজন আহত হয়। পরে আমাকে হত্যার জন্য তারা কিলার ভাড়া করে। এ বিষয়ে নবাবগঞ্জ থানায় জিডি ও অভিযোগ রয়েছে।এলাকাবাসী জানায়, ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের সময় (২৪ ডিসেম্বর) পাভেলের নেতৃত্বে কলাকোপায় সাংবাদিকদের ওপর হামলা হয়। গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। সে নবাবগঞ্জ শহিদ মিনার এলাকায় ২০১৩ সালে ২৬ মার্চ প্রতিপক্ষকে দিনের বেলা গুলি করে। নবাবগঞ্জ থানার ওসি মমিনুল ইসলাম বলেন, তার নামে নবাবগঞ্জ থানায় ২০০৯ সালের একটি মামলার তথ্য পাওয়া গেছে। একাধিক জিডি আছে।
Copyright © 2025 Daily Frontier News | Design & Developed By: ZamZam Graphics