Daily Frontier News
Daily Frontier News

দুর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষক নিজের অপকর্ম ঢাকতে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে জিডি করেন।

 

সাংবাদিক,জুনায়েদ সিদ্দিক।

সিলেট,গোলাপগঞ্জ উপজেলার, বাদেপাশা ইউনিয়নের মফজ্জিল আলী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাবুল মিয়া পাটান দুর্নীতিবাজ স্বৈরাচার আওয়ামিলীগ এর চত্ব চায়ায় থেকে বিভিন্ন অনিয়মের সাথে জড়িত। বাবুল মিয়া পাঠান-কে অপসারণে দাবীতে সম্প্রতি বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। তার পদ ধরে রাখতে ও দুর্নীতি ধামাচাপা দেয়ার লক্ষ্যে ১৯৮০ সাল থেকে বর্তমান ২০২৪ সাল পর্যন্ত সকল শিক্ষার্থীকে বিবাদী করে গোলাপগঞ্জ থানা সাধারণ ডায়রী করেছেন। এ নিয়ে এলাকা উত্তেজনা বিরাজ করছে।
জানা যায় বিদ্যালয়টি ১৯৮০ সালে স্থাপিত হয়। ১৯৮০ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত সিলেট জেলার মধ্যে এসএসসি পরীক্ষার রেজাল্ট সুনামের সাথে অর্জন করে আসছিল। বাবুল মিয়া পাঠান উক্ত বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক ছিলেন ১২ বছর এবং প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পান ২০২৩ সালের মার্চ মাসে। বাবুল মিয়া পাঠান স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাদের সাথে সক্রিয় থাকার কারণে তার অনিয়মের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পায়নি শিক্ষার্থীরা।
সরকার পতনের পর থেকে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রধান শিক্ষক বাবুল মিয়া পাঠান এর পদত্যাগ চেয়ে মানববন্ধন, মিছিল, মিটিং করে আসছে। তার বিরুদ্ধে মানববন্ধন করায় শিক্ষার্থীদেরকে হত্যা হুমকি দিচ্ছেন প্রধান শিক্ষক বাবুল মিয়া পাঠান।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ অযোগ্য এই শিক্ষক বাবুল মিয়া পাঠানের শিক্ষকতা বা নৈতিকতা কোনোটিই ভালো নয়। শ্রেণিকক্ষে এসে না পড়িয়ে অযথা ব্যক্তিগত জীবন ও পারিবারিক জীবনের গল্প করেন। শিক্ষার্থীদের উনার কাছে প্রাইভেট পড়তে বাধ্য করেন। বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষকদের সাথে খারাপ আচরণ এবং ঝগড়া-বিবাদ করে পড়ার পরিবেশ নষ্ট করেন।
বাবুল মিয়া পাঠান নৈতিকতার কারণে শিক্ষকের কাতারেই পড়েন না। ক্লাসের মেয়েদের দিকে খারাপ নজরে তাকানো এবং তাদের কু-রুচিপূর্ণ মন্তব্য ও ক্ষেত্র বিশেষে মেয়ের অভিভাবক (মা) নিয়ে আজে বাজে মন্তব্য করেন। এছাড়াও তিনি নবম শ্রেণির একজন ছাত্রীকে ইঙ্গিত করে বলেন স্কুলের কোন ছেলে তার পছন্দ হয় বললে তার সাথে বিয়ে দিয়ে দিবেন এবং লতাপাতা দিয়া গয়ণা বানিয়ে দিবেন। এই কথাগুলো নারী জাতির জন্য অত্যন্ত লজ্জাজনক।
স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষা/ নির্বাচনী পরীক্ষার প্রশ্ন টাকার বিনিময়ে ফাস করেন। অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের টাকার বিনিময়ে উত্তীর্ণ করে দেন। বিদ্যালয়ের আর্থিক অনিয়মের দায়ে উনাকে এককভাবে অপরাধী প্রমাণিত হওয়ায়, তিন মাসের জন্য শাস্তিমূলক বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়।
তার অনিয়মের প্রতিবাদ করলে বাবুল মিয়া পাঠান শিক্ষার্থীদের পুলিশ দিয়ে হয়রানির হুমকি দেন। তাছাড়া বিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করারও হুমকি দেন। বিগত কয়েক বছরের এসএসসি পরীক্ষার রেজাল্ট দেখলে বুঝা যায় যে স্কুলের লেখাপড়ার মান কতটুকু নিম্নমুখী। গত বছরে পাশের থেকে ফেইলের হার বেশি। শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন পরীক্ষার মার্কশীট দেখতে চাইলেও দেখানো হয়না।
এছাড়াও স্কুলের বিভিন্ন ছাত্র-ছাত্রীদের জন্ম নিবন্ধন ও এনআইডি সংশোধনের নামে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছ। টাকা দেয়ার পরও অনেকের সংশোধন হয়নি, এ নিয়ে কয়েকজন অভিযোগও করেছেন। উনার পেশা শিক্ষকতা কিন্তু উনি কেন এনআইডি / জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করার দায়িত্ব নিয়ে শিক্ষার্থীদের হয়রানি করেন।
বাবুল মিয়া পাঠানের দুর্নীতি ও আর্থিক অনিয়মের কারণে ইউনিয়নের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও পরিচালনা কমিটির সমন্বয়ে রেজুলেশন করে তাকে অযোগ্য শিক্ষক বলে ঘোষণা করা হয়।
উক্ত অনিয়ম ঢাকার জন্য বাবুল মিয়া পাঠান ১৯৮০ সাল থেকে বর্তমান সাল পর্যন্ত সকল শিক্ষার্থীকে বিবাদী করে গোলাপগঞ্জ থানা সাধারণ ডায়রী করেছেন। শিক্ষার্থী ও এলাকার সুধিজনদের অভিমত বিদ্যালয়ের স্বার্থে যতদ্রুত সম্ভব বাবুল মিয়া পাঠানকে প্রধান শিক্ষক পদ থেকে অপসারণ করতে হবে।

Daily Frontier News