এসএম রুবেল
বর্তমান সরকারের
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন দেশের গণতন্ত্র এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতার ক্রান্তিকাল চলছে বলে আমি ব্যাক্তিগত ভাবে মনে করি।সেইসাথে
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন দেশে স্বাধীন সাংবাদিকতার পথকে সরাসরি রুদ্ধ করেছে।
প্রকৃত অপরাধীদের পরিবর্তে ভিন্নমতের সাংবাদিকদের এই আইনে টার্গেট করা হচ্ছে।ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দেশের কোনো সাংবাদিক বা সাধারণ মানুষ এখন পর্যন্ত ন্যায়বিচার পেয়েছেন এমন কোনো নজির নেই নজির বিহীন।
কারাবন্দি সকল সাংবাদিকের মুক্তি ও তাদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ সকল কালো আইন বাতিলের দাবি জানাই। আমাদের বাংলাদেশে অনেক সাংবাদিক খুন হয়েছে কিন্তু কোনো বিচার হয়নী বার বার ডেট পিছানো হয়,অনেকে আবার জেল,জুলুম নির্যাতনের শিকার হয়ে দুর্বিসহ জীবন যাপন করছেন। রাষ্ট্রদ্রোহ ও ডিজিটাল নিরাপত্তা কালো আইনের মিথ্যা মামলায় কারাবাস করছেন অনেক সহকর্মী সাংবাদিক ভাই বন্ধুরা।
তাই আজ অনেক সাংবাদিক ভয়ে সত্য কথা বলতে ও লিখতে ভয় পাচ্ছেন কিন্তু সাংবাদিকদের এসবের বিরুদ্ধে ভয় না পেয়ে সোচ্চার হতে হয়ে ওঠতে হবে এখনই সময়।
মনে রাখতে হবে এ সরকারই শেষ সরকার নয় বা তারা চিরদিন ক্ষমতায় থাকবে না। জাতিকে দুঃসহ অবস্থা থেকে মুক্তি দিতে জাতীয় মুক্তি সংগ্রামে সাংবাদিকদের অংশগ্রহণ করতে হবে।আপনারা জানেন গত ১২ বছরে দেশে ৪২ জন সাংবাদিক খুন, হাজার হাজার সাংবাদিক বেকার ও অসংখ্য সাংবাদিক জেল,জুলুম ও মিথ্যা মামলায় নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে ক্ষমতার অপব্যবহার করছে আইন ব্যাবহার কারীরা ফলে
সাংবাদিকরা ন্যায় বিচার পাচ্ছে না। উল্টো হত্যা,নির্যাতন,নিপীড়নের শিকার হতে হচ্ছে আমাদের এখনই
এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে সাংবাদিক ও সচেতন মহলের সবাইকে।এভাবে আর কতকাল
পেশাগত দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে নানাভাবে নির্যাতনের শিকার হতে হবে সাংবাদিকরা?
পুলিশ,রাজনৈতিক নেতা,সরকারি কর্মকর্তা,ব্যবসায়ীর যখন যার অপকর্ম,দুর্নীতির খবর প্রকাশ পায় তখন তারাই সাংবাদিকদের ওপর হামলা ভয় ভিত্তিক জুলুমের শিকার হতেই থাকে এসব হামলায় কখনও কখনও সাংবাদিকদের প্রাণও দিতে হয়। হতে হয়েছে নজিরে-নজিরে সাংবাদিকদের ওপর অযাচিত আক্রমণ,সহিংস ঘটনার বিচারিক তদন্তে দীর্ঘসূত্রতা,বিচারহীনতার সংস্কৃতির কারণে নির্যাতনের ঘটনা কমছে না বরং দিন দিন বেড়েই চলেছে।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক, মুক্তিযুদ্ধের যে মূল্যবোধ নিয়ে দেশ স্বাধীন হয়েছে তার সঙ্গেও সাংঘর্ষিক।
সামগ্রিকভাবে,বাক স্বাধীনতার এটা একটা বিরাট অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন। এই আইনের ২০টি ধারার ১৪টিই সাংবাদিকদের শাস্তি দেওয়ার জন্য প্রযোজ্য এবং জামিন অযোগ্য।
তাই এই আইনে অভিযুক্তরা যখন আদালতে যাচ্ছে,তখন তাদের জামিন দেওয়া হচ্ছে না। এই আইন বাতিলের জন্য একাধিক বার দাবি জানিয়েছে সাংবাদিকরা। জনমত উপেক্ষা করে কালো আইন দিয়ে বাকস্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া স্বাধীন দেশের মানুষের কাছে কতটা যুক্তিক তা আমার কাছে বোধগম্য নয়।।
Copyright © 2025 Daily Frontier News | Design & Developed By: ZamZam Graphics