Daily Frontier News
Daily Frontier News

জেলা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজয়নগরে প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা শিক্ষকদের দুর্নীতিতে লন্ডভন্ড ।। কোনো ব্যবস্থা নেয় নাই যথাযথ কর্তৃপক্ষ ।।

নিজস্ব প্রতিনিধি :

 

জেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজয়নগর উপজেলা ১৫ই সেপ্টেম্বর, রোজ বৃহস্পতিবার, ২০২২ইং সকাল ১০ ঘটিকা হইতে শুরু করে বিকাল ৫ ঘটিকায় পর্যন্ত, খাটিংগা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের (মরহুমা) শিক্ষিকা রহিমা খাতুনের কুলখানি অনুষ্ঠিত হয় । উক্ত কুলখানি অনুষ্ঠানে বিজয়নগর উপজেলার নিম্নে উল্লেখিত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সমূহের শিক্ষকবৃন্দ, বিদ্যালয়ে হাজিরা খাতায় সই করে , পাঠদান না করে, যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট হইতে ছুটি না নিয়ে , উক্ত কুলখানিতে অংশগ্রহণ করেন । তাদের সাথে যোগ দিয়েছেন দুইজন শিক্ষা কর্মকর্তা । পাঠদান না করে শিক্ষা ব্যবস্থাকে ফাঁকি দিয়ে , হাজিরা খাতা সই করে, সরকারের অর্পিত দায়িত্ব পালন না করে ,, যাহা সরকারি টাকা আত্মসাৎ করা , সঠিক দায়িত্ব না পালন করার অভিযোগ উঠেছে, নিম্মোক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ।

.             বিজয়নগর উপজেলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিভিন্ন শিক্ষকদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন অভিযোগ উঠেছিল । অভিযোগের সত্যতা পেলেও , কোন প্রকার আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি যথাযথ কর্তৃপক্ষ । যাহার ফলস্রুতিতে এ ধরনের অহরহ সংঘটিত অনিয়ম, সরকারি টাকা আত্মসাৎ , দুর্নীতি, অপকর্ম, স্বজনপ্রীতি অসৎ উদ্দেশ্যে করে যাচ্ছে শিক্ষকদ্ধয় , সরকারি বেতনভুক্ত কর্মচারী হয়ে, বিজয়নগর উপজেলা র প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থাকে লন্ডভন্ড করে দিয়েছে, গুটিকয়েক শিক্ষকদ্ধয় ।

.              নাম প্রকাশ না করার শর্তে , হরষপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা,ছাত্র অভিভাবক বলেন , এবার দুর্নীতিবাজ শিক্ষকদের বিরুদ্ধে , কর্তৃপক্ষ যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ না করিলে, আমরা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করিব । পাহাড়পুর ইউপির অভিভাবক সদস্য বলেন,, এবার যদি আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ না করে, আমরা সবাই মিলে দুর্নীতিবাজ শিক্ষকদ্ধয় ও কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা করতে বাধ্য হব ।
চাম্পাকনগর এলাকার অভিভাবক সদস্য জানান , দুর্নীতিবাজ শিক্ষকরা নিজ এলাকায় চাকরি করে বিধায় , সাহস করে ইচ্ছা করেই দুর্নীতি করে । তাদের দুর্নীতির বিচার হয় না বিধায় , বার বার অন্যায়-অপরাধ অপকর্ম দুর্নীতি করছে । কর্তৃপক্ষ সঠিক বিচার না করিলে , আমরা সবাই মিলে মিছিল নিয়ে, বিক্ষোভ করে, ঘেরাও করব । অতি উৎসাহী শিক্ষকরা আমাদের বিজয়নগরের প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থাকে লন্ডভন্ড করে দিয়েছে ।

.             এবারের অভিযোগ উঠেছে  নিম্নলিখিত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধেঃ-
(১) মোঃ মনিরুল ইসলাম সজীব –সহঃ শিক্ষক — মনিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (২) মোঃ শিবির মিযা –সহঃ শিক্ষক — মির্জাপুর সপ্রাবি (৩) আল মামুন রমজান — ভারপ্রাপ্ত প্রশি– সহদেবপুর সপ্রাবি (৪) মোঃ মোস্তফা জামান — প্রধান ০ মেঘশিমূইল সপ্রাবি (৫) মোঃ আবুল খায়ের প্রধান শিক্ষক — গংগানগর সপ্রাবি (৬) মোঃ বাহাউদ্দীন — প্রধান শিক্ষক কচুয়ামুড়া সপ্রাবি (৭) এ বি এম রিপন সহঃশিক্ষক — বুল্লা সপ্রাবি (৮) রুকন উদ্দীন প্রধান শিক্ষক বাদেহারিয়া সপ্রাবি (৯) মোঃ জিল্লুর রহমান দস্তগীর প্রধান শিক্ষক — ফতেপুর সপ্রাবি (১০) মোঃ সামিরুল ইসলাম সহঃশিক্ষক, ফতেপুর ছেনুমিয়া সপ্রাবি (১১) মোঃ আমিনুল ইসলাম আজাদ প্রধান শিক্ষক গনশ্যামপুর সপ্রাবি (১২) মোঃ হুমায়ূন কবীর প্রধান শিক্ষক হরষপুর সপ্রাবি (১৩) মোঃ ছাদেকুর রহমান প্রধান শিক্ষক — হাজীপুর সপ্রাবি (১৪) মোঃ শাহজাহান মিয়া প্রধান শিক্ষক — চেংগাপাড়া সপ্রাবি (১৫) মোঃ আব্দুর গাফ্ফার প্রধান শিক্ষক – সাতগাঁও মডেল সপ্রাবি (১৬) মোঃ জিল্লুর রহমান সহঃশিক্ষক — চত্তরপুর সপ্রাবি (১৭) মোঃ শফিকুর রহমান প্রধান শিক্ষক — ইগরতলী সপ্রাবি (১৮) মোঃ মাহবুবুর রহমান প্রধান শিক্ষক নোয়াগাও সপ্রাবি (১৯) মোঃ সজীবুল্লাহ সহকারী শিক্ষক হরষপুর সপ্রাবি (২০) মোঃ হাফেজুর রহমান প্রধান শিক্ষক — ভিটিদাউদপুর সপ্রাবি (২১) মোঃ আতাউর রহমান প্রধান শিক্ষক খাটিংগা সপ্রাবি (২২) মোঃ আব্দুল হান্নান সহকারী শিক্ষক কচুয়ামুড়া সপ্রাবি (২৩) মোঃ নাছির হাজারী প্রধান শিক্ষক – মুকুন্দপুর সপ্রাবি (২৪) মোঃ মানিক ভূঁইয়া — উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা  ও (২৫) মোঃ আব্দুছ ছামাদ — ইন্সটাক্টর ।

এখানে দুজন শ্রেষ্ঠ শিক্ষকও রয়েছে
স্কুল ফাঁকি দিয়ে কিভাবে শ্রেষ্ঠ হয়ে বিজয়নগর উপজেলাধীন পাহাড়পুর ইউনিয়নে খাটিংগা গ্রামে ভুরিভোজ  খেতে যায় ।  কোন আইনে
প্রায় ০১~~৫০ জন শিক্ষক কিভাবে ক্লাস ফাঁকি দিয়ে কোমল মতি শিক্ষার্থীর পড়াশুনার ফেলে দিয়ে ভুরিভোজ করে ।

.          শুধী মহল বিজয়নগর উপজেলা মনে  করেন , অপরাধী শিক্ষকদের বিরুদ্ধে, দ্রুত আইনগত ব্যবস্হা না নিলে, আমাদের প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্হা ধ্বংস হয়ে যাবে । শিক্ষা ব্যবস্হা কে ধ্বংস হতে দেওয়া যায় না ।

সুশীল সমাজ বিজয়নগর উপজেলা  জানান , কেন শিক্ষকরা বার বার অন্যায় করে,  অপরাধ করে, পার পেয়ে যায় ? ইহা রহস্যজনক  !! উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ না করিলে ,  আমরা আইন হাতে তুলে নিতে বাধ্য হব । আমরা আশা করি , সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে, উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন ।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে  সহকারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ মানিক ভূঁইয়া বলেন , আমি কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে ছুটি নিয়ে গিয়েছি ।ফ্রন্টিয়ার.নিউজ প্রতিনিধির সকল প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারে নি । তবে বলেন,   আগে জানতাম না এত গুলো শিক্ষক ওখানে যাবে । তাহারা কেহই আমার কাছ থেকে ছুটি নেয় নি । এ বিষয়ে ভবিষ্যতে আমি সতর্ক থাকব বলে জানান ।

.           প্রাথমিক শিক্ষক ইন্সট্রাক্টর মোঃ আব্দুছ ছামাদ এ বিষয়ে জানতে চাইলে , তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি  ।

বিজয়নগর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাহনেওয়াজ পারভিন  ফ্রন্টিয়ার.নিউজ প্রতিনিধিকে বলেন, সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, অফিস থেকে ছুটি নিয়েছে,  মানিক ভূঁইয়া ছাড়া , বাদবাকি কেহই ছুটি নেয় নাই । ঘটনার তথ্য উপাত্ত দেখে , আমি আশ্চর্য, বৃস্মীত । ঘটনার সঠিক তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান  ।

মোহাম্মদ কামাল হোসেন, উপসচিব স্বাক্ষরিত ২৪/৮/২০২২ইং স্বারক নং- ৩৮.০০.০০০০.০০৭.০০১.১৭-১১১.আদেশ বলে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মমন্ত্রণালয় । বিদ্যালয়-১ অধিশাখা। বিষয়ে শিক্ষকদের বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকা প্রসঙ্গে। তারিখঃ ০৯ই ভাদ্র ১৪২৯ । ২৪শে আগস্ট ২০২২ইং সম্প্রতি বিভিন্ন দায়িত্বশীল সূত্রে জানা যাচ্ছে যে, দেশের বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত কতিপয় শিক্ষক অনুমোদন ব্যতীত কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকছেন। ফলশ্রুতিতে শ্রেণিকক্ষে নিয়মিত পাঠদান কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে এবং প্রশাসনিক শৃঙ্খলা লঙ্ঘিত হচ্ছে, সরকারি কর্মচারি (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯; সরকারি কর্মচারী (নিয়মিত উপস্থিতি) বিধিমালা, ২০১৯ এর সংশ্লিষ্ট বিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন এবং সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপীল) বিধিমালা, ২০১৮ এর সংশ্লিষ্ট বিধান অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

.     অনেক ক্ষেত্রে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষ অভিযুক্ত শিক্ষক বা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কোন প্রশাসনিক পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন না। ফলে বিদ্যালয়ে পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনায় বিঘ্ন ঘটছে এবং যথাযথভাবে একাডেমিক সুপারভিশন হচ্ছে না। এধরনের অনিয়মের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের গোচরীভূত করা হচ্ছে না, ফলে দায়ী ব্যক্তি/ব্যক্তিবর্গের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাচ্ছে না। এহেন পরিস্থিতিতে প্রধান শিক্ষক, সংশ্লিষ্ট ক্লাস্টারের সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার, উপজেলা শিক্ষা অফিসার কোনভাবেই এর দায় এড়াতে পারেন না।

.   বর্ণিত অবস্থায়, অননুমোদিতভাবে অনুপস্থিত শিক্ষক সহ দায়িত্বে অবহেলাকারী সংশ্লিষ্ট শিক্ষক/কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপীল) বিধিমালা ২০১৮ এর সংশ্লিষ্ট বিধি অনুসারে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক মন্ত্রণালয়কে অবহিত করার জন্য নির্দেশক্রমে করা হলো । এ ছাড়াও সকল জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা-কে এ ধরনের অননুমোদিত অনুপস্থিতির বিষয়ে ৭ (সাত) দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্মিত প্রয়োজনীয় নির্দেশনা রয়েছে ।

 

 

Daily Frontier News