Daily Frontier News
Daily Frontier News

জুলাই বিপ্লবের পর আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও অপরাধীদের বিচারের দাবি জানিয়েছেন দেশবাসী ।।

 

মন্তব্য কলাম

জুলাই বিপ্লবের পর দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতিতে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে। জনগণের মধ্যে যে আশার আলো দেখা দিয়েছে, তা হলো আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা। তবে বাস্তবতা হলো, বিভিন্ন দু৳র্নীতি, চাঁ*দাবাজি, এবং লুটপাটের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা এখনও আইনের আওতার বাইরে থেকে যাচ্ছে, যা সাধারণ জনগণ এবং রাজনৈতিক কর্মীদের মধ্যে হতাশার জন্ম দিচ্ছে।

বিএনপি, সহ সমমনা অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মীরা মনে করছেন, দলের নাম ব্যবহার করে যারা লুটপাট করেছে, তাদের কারণে প্রকৃত দেশপ্রেমিক ও নিবেদিত কর্মীরা আজ ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। অনেক ইউনিটের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাধারণ কর্মী অভিযোগ করছেন যে, তারা দলের সৎ ও ন্যায়নিষ্ঠ সদস্য হিসেবে কাজ করে গেলেও দলের নাম ভাঙিয়ে দুর্নীতি বা অবৈধ আয়ের সঙ্গে যুক্ত নন, অথচ বিপ্লব ব্যর্থ হলে তারাও বিপদের সম্মুখীন হতে পারেন।

এমন পরিস্থিতিতে, জনগণের স্বার্থ রক্ষায় অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। জুলাই বিপ্লবের লক্ষ্য ছিল সমাজের শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা এবং দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন গঠন। কিন্তু বাস্তবতা হলো, এখনও অনেক দুর্নীতিবাজ, ক্ষমতাবান আমলা, পুলিশ অফিসার, শিক্ষক, সাংবাদিক, আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং অন্যান্য সুশীল সমাজের সদস্যরা অপরাধ করে যাচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে বিপ্লবের লক্ষ্য পূরণ করা সম্ভব হবে না।

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, আন্দোলনের সময় প্রায় দুই হাজার শিক্ষার্থী সহ-সাধারণ মানুষ এবং প্রতিবাদকারী নিহত হয়েছেন এবং প্রায় ২৫ হাজার মানুষ আহত হয়েছেন। এসব ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত এবং প্রকৃত অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। জনগণের দাবি হলো, যেকোনো রাজনৈতিক পরিচয় বা প্রভাব ছাড়াই অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হোক এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা হোক।

যারা দলের নাম ব্যবহার করে দুর্নীতি এবং অবৈধ উপায়ে সম্পদের মালিক হয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ তদন্ত এবং বিচার নিশ্চিত করা প্রয়োজন। অন্যথায়, বিপ্লবের লক্ষ্য ব্যর্থ হবে এবং এর জন্য দায়-দায়িত্ব নিতে হবে সেইসব প্রশাসন ও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের, যারা এখনও দুর্নীতি এবং চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত।

আবারও, আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য সরকারের উচিত স্বাধীন বিচার বিভাগের কার্যক্রম আরও শক্তিশালী করা। সেই সঙ্গে দুর্নীতি দমন কমিশন, পুলিশ, এবং অন্যান্য প্রশাসনিক প্রতিষ্ঠানকে নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠুভাবে কাজ করতে দিতে হবে। দেশের জনগণের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এবং এই ব্যাপারে গণমাধ্যমের ভূমিকা আরো রাখতে হবে পাশাপাশি বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করতে হবে । সংবাদপত্র জাতির চতুর্থ স্তম্ভ প্রত্যেকটি সংবাদ কে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিশ্লেষণ করে ব্যবস্থা নিতে হবে । এবং যারা বিগত সরকারের ধূসর ছিলেন কোটি কোটি টাকা কামিয়েছে পুলিশ, আমলা, সচিব,ডিসি, ইউএনও, এসিল্যান্ড, বিভিন্ন এডিসি, পুলিশের সকল কর্মকর্তা পরিবর্তন করতে হবে। যে মামলাগুলো হয়েছে প্রত্যেকটি আসামি গ্রেফতার করতে হবে। পাশাপাশি জামিন দেয়া যাবে না ফৌজদারি আইন অনুযায়ী মামলা গুলো পরিচালিত হতে হবে । নতুবা জুলাই বিপ্লব প্রতি বিপ্লব হতে পারে। আওয়ামী লীগ পতি বিপ্লবের চেষ্টা করছে তারা কখনো হিন্দু লীগ, আনসারলীগ, গার্মেন্টস কর্মী লীগ, টেক্সটাইল শ্রমিক লী, বিভিন্ন শিক্ষক লীগ, সাংবাদিক লীগ, ইন্ডিয়া লীগ, আইনজীবী লীগ , হয়ে প্রতি বিপ্লব করবে

জনগণের দাবি স্পষ্ট—অপরাধীরা যেই দলের বা যারাই হোক না কেন, তাদের আইনের আওতায় আনা হোক এবং সঠিক বিচার করা হোক। তাহলে জনগণ আসলেই বিপ্লবের ফল ভোগ করতে পারবে, এবং দেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। যারা দুর্নীতি করেছে চাঁদাবাজি করেছে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করেছে 2000- মানুষ খুন করেছে ২৫ হাজার মানুষকে আহত করেছে তাদেরকে গ্রেপ্তার করতে হবে । যাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে প্রত্যেককে গ্রেফতার করতে হবে । যে আইনজীবী তাদের পক্ষে কথা বলবে এবং যে বিচারক নিয়ম বহির্ভূতভাবে জামিন দিবে তারাই আওয়ামী লীগ ।
লেখক:::: মাসুদ রানা বাবুল
সভাপতি নরসিংদী জেলা ক্রাইম রিপোর্টার্স ইউনিটি

Daily Frontier News