ফজল উদ্দিন ছাতক প্রতিনিধিঃ-
সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ এলাকায় ১৫ বছরের এক কিশোরীকে অটোরিকশার গ্যারেজে আটকে রেখে গণধর্ষনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় রুহুল আমিন আকাশ (৩০) নামে এক যুবককে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। সে উপজেলার ছৈলা আফজালাবাদ ইউনিয়নের দিগলী (রামপুর) গ্রামের মৃত নুর হোসেনের ছেলে। ধর্ষণের এই ঘটনায় গতকাল বুধবার বিকেলে নির্যাতিত ওই কিশোরী বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে থানায় একটি মামলা রুজু করেছেন।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার দক্ষিণ খুরমা ইউনিয়নের ভুইগাঁও গ্রামের বাসিন্দা হত-দরিদ্র পরিবারের এক কিশোরী সিলেট শহরের একটি বাসায় বুয়ার কাজ করতো। ওই কিশোরী নিজ বাড়ি যাওয়ার জন্য সিলেট শহর থেকে বাসযোগে মঙ্গলবার বিকেলে গোবিন্দগঞ্জ ট্রাফিক পয়েন্ট এসে বাস থেকে নামে। এরপর ওই কিশোরী বাড়ি যাওয়ার জন্য গোবিন্দগঞ্জ থেকে একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশায় উঠে। বিকেল প্রায় ৫টার দিকে এক আটোরিকশা চালক ওই কিশোরীকে ভুইগাঁও নিয়ে যাওয়ার কথা বলে গোবিন্দগঞ্জ সাদা ব্রীজের রাস্তা সংলগ্ন একটি আটোরিকশার গ্যারেজে নিয়ে যায়।
সেখানে তাকে আটকে রেখে ৩ জন মিলে জোরপূর্বক ধর্ষণ ও শারিরিক নির্যাতন চালায়। এক পর্যায়ে সন্ধ্যার পর ওই কিশোরীকে গ্যারেজ থেকে বের করে দেওয়ার পর ওই কিশোরী আবারও গোবিন্দগঞ্জ পয়েন্টে আসে। সেখানে দাড়িয়ে থাকা ডিউটিরত পুলিশকে বিষয়টি জানানোর পর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গ্যারেজ মালিক রুহুল আমিন আকাশকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। ঘটনাটির খবর চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি ধামাচাঁপা দেওয়ার জোর চেষ্টা চালানো হয়।
তবে বুধবার বিকেলের ওই কিশোরী থানায় উপস্থিত হয়ে তাকে গ্যারেজে ডুকিয়ে শারিরিক নির্যাতন ও ধর্ষণের বিষয়ে বর্ণনা দেওয়ার পর থানায় মামলা রুজু করা হয়। থানার উপ-পরিদর্শক মো.আখতারুজ্জামান বলেন, ভুক্তভোগী ভিগটিম ওই কিশোরীকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মুখলেছুর রহমান আকন্দ মামলার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ ঘটনায় আটক গ্যারেজ মালিককে মামলার আসামী হিসেবে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এছাড়া এ ঘটনায় জড়িত অন্য আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
Copyright © 2025 Daily Frontier News | Design & Developed By: ZamZam Graphics