ছাতক প্রতিনিধিঃ-
সুনামগঞ্জের ছাতকে ডুবা থেকে গত ১০ সেপ্টেম্বর জিয়াউর রহমান (৫৪) নামের এক ব্যাক্তির হাত-পা বাঁধা অবস্থায় বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে থানা পুলিশ। এ ঘটনায় গত ১২ সেপ্টেম্বর অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে ছাতক থানায় হত্যা মামলা নং ১২/১৯৯ দায়ের করেন উপজেলার সিংচাপইড় ইউনিয়নের গহরপুর গ্রামের মৃত হাজী আলখাছ আলী ময়না মিয়ার ছেলে ও নিহতের আপন ভাই আজিজুর রহমান।
মামলা সুত্রে জানা,যায় গত ১০ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টায় নিহত জিয়াউর রহমানের স্ত্রী রানু বেগম মামলার বাদী আজিজুর রহমানকে জানান। পার্শবর্তী মাহাদী গ্রামের প্রনব সুত্রদরের ঘরের পিচনে আন্দোয়া খালে বস্তাবন্দী একটি লাশ পাওয়া গেছে, যা ইতিমধ্যে তিনি দেখে এসেছেন। এসময় নিহতের স্ত্রী মামলার বাদীকে আরও জানান যে গত ৮ সেপ্টেম্বর বিকাল অনুমান ৩টা থেকে জিয়াউর রহমানকে খোজে পাচ্ছেন না তিনি। তবে জিয়াউর রহমান নিখোঁজের বিষয়টি আশপাশের লোকজন অতবা মামলার বাদীকে কেন আগে জানানো হয়নি এমন প্রশ্নের জবাবে আজিজুর রহমানকে কোনো সদুত্তর দেননি রেনু বেগম।
ঘটনা শুনে সাথে সাথে ঘটনাস্থলে গিয়ে মুখ বাঁধা অবস্থায় একটি সাদা রঙ্গের প্লাস্টিকের বস্তা দেখতে পান আজিজুর রহমান। তখন জিয়াউর রহমানের স্ত্রী রেনু বেগমকে থানায় খবর দিছেন কিনা জিজ্ঞেস করলে সে জানায় স্থানীয় চেয়ারম্যানকে অবগত করেছে। পরে চেয়ারম্যয়ন পুলিশকে জানিয়েছেন। এরপর সকাল ১১ টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বস্তাবন্দী ও হাত পা বাধা অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করলে প্রথমে রেনু বেগম তার স্বামী জিয়াউর রহমানের লাশ সনাক্ত করেন। পরে মামলার বাদী ও স্থানীয় লোকজন শনাক্ত করেন। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল শেষে ময়না তদন্তের জন্য লাশ সুনামগঞ্জ মর্গে প্রেরণ করে। ঐ দিন ময়না তদন্ত শেষে জিয়াউর রহমানের লাশ পরিবারের কাছে হস্থান্তর করে পুলিশ। তারপর গ্রামের বাড়িতে নিহত জিয়াউর রহমানের দাপন সম্পন্ন হয়।
এঘটনায় মামলা দায়েরের পর নিহত জিয়াউর রহমানের স্ত্রী রেনু বেগমের ভূমিকা রহস্য জনক বলে এলাকায় চলছে নানা গুন্জন। রেনু বেগমের স্বামী জিয়াউর রহমান নিখোঁজ হন গত ৮ সেপ্টেম্বর এবং লাশ উদ্ধার হয় ১০ সেপ্টেম্বর, এর ভেতরে পরিবারের পক্ষ থেকে কেন করা হয়নি নিখোঁজ ডায়েরী,বা কেন জানানো হয়নি আশপাশের লোকজন সহ ভাই আজিজুর রহমানকে এমন প্রশ্ন ঘোরপাক খাচ্ছে জনমনে। গুন্জন উটেছে প্রক্রিয়া সংক্রান্ত কারণে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হতে পারে জিয়াউর রমান কে। বিষয়টি সঠিক তদন্তের দাবি জানিয়েছেন নিহতের ভাই মামলার বাদী আজিজুর রহমান।
মামলার বিষয় নিশ্চিত করে ছাতক থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শাহআলম জানিয়েছেন প্রাথমিক ভাবে এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড বলে ধারনা হচ্ছে। ময়না তদন্ত প্রতিবেদন আসার পর এর রহস্য উটঘাটন হবে।
Copyright © 2024 Daily Frontier News | Design & Developed By: ZamZam Graphics