Daily Frontier News
Daily Frontier News

চট্রগ্রামে তীব্র দাবদাহে পুড়ছে অস্থির হয়ে উঠেছে জনজীবন

 

মাসুদ পারভেজ

চট্টগ্রাম: বৈশাখের খরতাপে অস্থির হয়ে উঠেছে জনজীবন। এতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ।

লোডশেডিংয়ের কারণে ঘরেও টেকা দায়। এতে শিশু ও বৃদ্ধরা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।

আর আবহাওয়া অফিসও এরমধ্যে বৃষ্টির কোনও সুখবর দিতে পারছে না।

পতেঙ্গা আবহাওয়া অধিদপ্তর তথ্যানুযায়ী, গতকাল (সোমবার) চট্টগ্রামে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

যা স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় ৫ ডিগ্রি বেশি। আগামী ২৪ ঘণ্টায়ও বৃষ্টিপাতে আশঙ্কা নেই চট্টগ্রাম।

মো. রফিক নামে এক রিকশাচালক বলেন, একটু বৃষ্টি হলে অনেক ভালো হতো। এই গরমে রিকশা চালাতে প্রাণ বের হয়ে যাওয়ার উপক্রম।

বাসে ভ্রমণ করছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী তাহমিদ আলম। তিনি বলেন, হেঁটে যে গন্তব্য যাব তার সুযোগ নেই। রোদের তাপেই শরীর দুর্বল হয়ে পড়ছে। তবে বাসে ভ্রমণও সুখকর হচ্ছে না। জ্যামে আটকে পড়লে গরমে আরও অবস্থা খারাপ হয়ে যায়।

এদিকে, অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে ওষ্ঠাগত চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার প্রাণিকুল। খাঁচার ভেতরে থাকা জলাধারে শরীর ডুবিয়ে কিংবা মুখ ডুবিয়ে গরম থেকে রেহাই পাওয়ার চেষ্টা করছে প্রাণিগুলো।

চিড়িয়াখানার কর্মচারীরা জানান, অতিরিক্ত গরমে মাংসাশী ও নানা প্রজাতির পাখির বেশি সমস্যা হয়। এজন্য সবসময় দেখভাল করা হচ্ছে। নিয়মিতভাবে চিকিৎসাও দেওয়া হচ্ছে ভেটেরিনারি চিকিৎসকের মাধ্যমে। পানির সঙ্গে খাবার স্যালাইনও দেওয়া হচ্ছে।

এদিকে তীব্র গরমে রাস্তার পাশের শরবতের পসরা নিয়ে বসেছে অনেকে। তীব্র গরমে তৃষ্ণা মেটাতে ঠান্ডা শরবত পান করছেন অনেক পথচারী।

পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস কর্মকর্তা মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, এমন তীব্র গরম আরও দুই-এক দিন থাকবে। ১৮ তারিখ নাগাদ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টির পরিমাণ বাড়লে তাপমাত্র কমে যাবে।  নতুনব্রীজে হোটেল ব্যবসায়ী হামিদুল হক সওঃ জানান গরমের কারনে হোটেলের বেচাকেনা অনেক কমে গেছে,,।

Daily Frontier News