জামাল উদ্দিন স্বপন কুমিল্লা প্রতিনিধিঃ-
চট্টগ্রাম বন্দর কতৃপক্ষের নিরাপত্তা বিভাগ থেকে সেনা সদস্যদের প্রত্যাহার করা জরুরি। ব্যবস্থা নিতে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন এর হস্তক্ষেপ কামনা করা হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চবক এর নিরাপত্তা বিভাগে দায়িত্বরত সেনা সদস্যরা অনিয়ম ও দুর্ণীতিসহ নানা অপরাধে জড়িয়ে আছে। নিরাপত্তা বিভাগের ওয়াচম্যান বুকিং সেলের কোটি কোটি টাকা লুটপাট করা হয়েছে। সেনা সদস্যরা নিজেরা রাজনৈতিক নেতার পরিচয় দিয়ে ক্ষমতা অপব্যবহার করছে। ২০১৯ সালে নিরাপত্তা পরিচালক লেঃ কর্ণেল আবদুল গাফফার প্রায় ৩ বছর এক চেয়ারে ছিলেন। নিজেকে নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খানের কাছের মানুষ পরিচয় দিতেন। আবদুল গাফফার এর আসল পরিচয় ছিল, তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম এর আপন ভাগিনা। আবদুল গাফফার যে অপরাধ করছে সেজন্য তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা যেত। চবক এ যে পদগুলোতে সেনা সদস্যরা দায়িত্ব পালন করে তা হলো পরিচালক (নিরাপত্তা), উপ পরিচালক নিরাপত্তা / অপারেশন, উপ পরিচালক নিরাপত্তা / প্রশাসন, সহকারী উপ পরিচালক। ২০১০ সালে চবক এর নিরাপত্তা বিভাগ ৬৪৮ জন ওয়াচম্যান ও ২০২২ সালে ১০৩জন ওয়াচম্যান নিয়োগ দিয়েছে। মোট ওয়াচম্যান এর সংখ্যা ৭৫১ জন হয়। আইন অনুযায়ী প্রতিবছর দুই ঈদে ওয়াচম্যানদের ঈদ বোনাস দিতে হবে কিন্তু ১২ বছর পর ২০২৩ সালে ১৫৮ জন ওয়াচম্যানদের ঈদ বোনাস দেওয়া হয়েছে। যেসকল ওয়াচম্যান অধিকারের কথা বলছে তাদেরকে নিরাপত্তা বিভাগ বরখাস্ত করছে। ৭৫১ জন ওয়াচম্যানের মধ্যে ৬৫ জন ওয়াচম্যান কিছু মারা গেছে, বাকীরা নির্যাতনে স্বেচ্ছায় চলে যেতে বাধ্য হয়েছে । চবক এর প্রশাসন বিভাগ, নিরাপত্তা বিভাগে আইনগত পদক্ষেপ নিতে বার বার ব্যর্থ হচ্ছে। মানবাধিকারকর্মী এ,এম আলী আকবর বলেন, মাত্র দুই বছরের জন্য পুলিশ বাহিনীর নিকট নিরাপত্তা বিভাগের দায়িত্ব দেওয়া উচিৎ ও অভিযোগগুলোর বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করে আইনগত ব্যবস্থা চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ নিতে পারেন, সকল সেক্টরে সংস্কার চলছে। জনস্বার্থে সেনা সদস্যদের প্রত্যাহার করে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর দক্ষ কর্মকর্তাদের হাতে চট্টগ্রাম বন্দর কতৃপক্ষের নিরাপত্তা বিভাগ তুলে দেওয়া সময়ের দাবি।
Copyright © 2024 Daily Frontier News | Design & Developed By: ZamZam Graphics