Daily Frontier News
Daily Frontier News

চকউলী বহুমুখী হাইস্কুলে প্রাক্তণ ছাত্র-ছাত্রীদের আলামনাই ইভেন্ট অনুষ্ঠিত

 

ফজলুল করিম সবুজ (নওগাঁ) –

নওগাঁর মান্দায় ঐতিহ্যবাহী চকউলী বহুমুখী হাইস্কুলে এলামনাই ইভেন্ট গঠনের লক্ষ্যে এবং নবীন প্রবীন শুভাগমন উপলক্ষে ছাত্রদের মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এ উপলক্ষে শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দিনব্যাপী আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের এসএসসি ১৯৬৭ ব্যাচ থেকে ২০২৩ ব্যাচ পর্যন্ত ৪ শত প্রাক্তণ ছাত্র-ছাত্রী জড়ো হয়ে একে-অপরের সঙ্গে উচ্ছ্বাসে ভেসেছেন এ মিলনমেলার আনন্দে।

এলামনাই এসোসিয়েশন উপলক্ষে ওইদিন সকাল থেকেই বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ভিড় করতে থাকেন প্রাক্তন ছাত্র ছাত্রীরা। পরিচয় পর্ব, স্মৃতিচারণ ও প্রাক্তণ ছাত্র-ছাত্রীর আবেগ প্রবণ বক্তব্য যেন পুরোটা দিনকেই রাঙিয়ে দেয় প্রাণের এক অনুপম উচ্ছ্বাসে। অনেকেই অতীত দিনের বন্ধুকে দীর্ঘদিন পর কাছে পেয়ে, সেসব দিনের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।

সেই প্রাক্তনরা যেন খুঁজে ফিরছিলেন তাদের স্কুল জীবনের সেইসব স্বর্ণময় দিনগুলো। চলছে ক্লিক ক্লিক, দেদারসে উঠছে সেলফি-ছবি। ফেলে আসা ক্লাসরুম, শিক্ষক আর হারিয়ে যাওয়া বন্ধুরা মিলে হুড়মুড়িয়ে বইতে থাকে গল্পের স্রোতে। প্রাণের টানে, বন্ধুত্বের ভালোবাসায়, ছোটবেলার স্কুল জীবনের স্মৃতি বিজড়িত স্মৃতিচারণায় মুখরিত হয়ে উঠে চকউলী হাইস্কুল এন্ড কলেজ মাঠ।

১৯৬১সালে প্রতিষ্ঠিত চকউলী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর এই প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হয় অ্যালামনাই ইভেন্ট। ইভেন্টে সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন ইঞ্জিনিয়ার মোজাফ্ফর হোসেন। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা প্রথম প্রধান শিক্ষক মুহাম্মদ মফিজ উদ্দিন প্রামানিক এবং আলামনাই ইভেন্ট অনুষ্ঠানে সঞ্চালনা করেন, ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল হামিদ।

এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী প্রফেসর ডা. ফজলুর রহমান, ডা. একরামুল বারি টিপু, সাইফুল ইসলাম, হোসেন আলী, শোকাত আলি, আব্দুল মান্নান, হাতেম লাই, ইঞ্জিনিয়ার আল-ইমরান হোসেন, মোঃ করিম, ইঞ্জিনিয়ার আনোয়ার, ফয়াসাল, তূর্য ও সাদ্দাম সহ প্রমুখ। পরে একটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের পূর্ণাঙ্গ একটি কমিটি গঠন করা হয়।

অনুভূতি প্রকাশ করে বিদ্যালয়ের বিভিন্ন ব্যাচের প্রাক্তন শিক্ষর্থীরা বলেন, চকউলী হাই স্কুল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন গঠন ও উক্ত সংগঠন কর্তৃক আয়োজিত এই পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান নিশ্চয়ই একটি অভূতপূর্ব আয়োজন। এই আয়োজনে উপস্থিত হয়ে খুবই ভালো লাগছে। মনে হচ্ছিলো ফিরে গিয়েছি সেই সোনালী কৈশোরে। যে কৈশোর অতিবাহিত করেছি এই প্রাণের বিদ্যাপিঠে।মনে পড়ে যায় হাজারো স্মৃতি আর আবেগ।

এরপর দুপুরের খাবারের পর ফটোসেশন, পুরস্কার বিতরণ ও কেক কাটার মধ্য দিয়ে ভাঙ্গে এই মিলনমেলা।

Daily Frontier News