কুমিল্লায় সড়ক দূঘটনায় নিহত নবীগঞ্জের তারেক ও বেলালের ঈদ করা হলোনা ! দাপন সম্পন্ন- এলাকায় শোকের মাতম

বুলবুল আহমেদ, নবীগঞ্জ হবিগঞ্জ প্রতিনিধি:-

ঈদের ছুটিতে বাড়ী ফেরা হলোনা হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জের ৪নং দীঘলবাক ইউনিয়নের দরবেশপুর গ্রামের মোঃ কনা মিয়ার পুত্র এক সন্তানের জনক মো: তারেক মিয়া (২৫) ও একই গ্রামের মৃত ইয়াকুব মিয়ার পুত্র এক সন্তানের জনক বেলাল আহমেদ (২৮) এর৷ গত (৩১শে মে) শনিবার রাত অনুমান সাড়ে ৮টায় দিকে কুমিল্লা-চাঁদপুর সড়কের বরুড়া উপজেলার বাঁশপুর এলাকায় মর্মান্তিক এক সড়ক দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলে তারা মারা যান৷

নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানাযায়, বেলাল ও তারেক কুমিল্লার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে তারা  শ্রমিকের কাজ করতো। পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে ঈদের ছুটিতে অন্যান্য শ্রমিক সহ তারা ১০জন শ্রমিক মিলে মাল বোঝাই একটি পিকআপ ভ্যান যোগে বাসটার্মিনালে আসা মাত্রই তাদের বহনকৃত পিকআপকে অজ্ঞাতনামা একটি দ্রুতগতির পরিবহন বিপরীত দিক থেকে এসে পিক আপটিকে ধাক্কা দিলে পিক-আপ ভ্যানটি লাইনচ্যুৎ হয়ে ধূমড়ে মুচড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই তারা দু’জন নিহত হন৷ এ ঘটনায় আরো ৭/৮ জন শ্রমিক গুরুত্বর আহত হয়েছেন।

এ ব্যাপারে কুমিল্লা হাইওয়ে রিজিওনের পুলিশ সুপার (এসপি) খায়রুল আলম দুর্ঘটনায় হতাহত ও নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে, তাৎক্ষণিকভাবে তাদের পরিচয় পাওয়া না গেলেও পরবর্তীতে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে নিহতদের পরিচয় সনাক্ত করে নিহতের গ্রামের বাড়ী হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার দীঘলবাক ইউনিয়নের দরবেশপুর গ্রামে তাদের আত্মীয় স্বজনদের খবর দিলে সেখান থেকে (১ জুন) রাত ৮টায় নিহত দুজনের লাশ বাড়ীতে নিয়ে আসা হয়৷ এসময় নিহতদের পরিবার ও আত্মীয় স্বজনদের কান্নায় যেন আকাশ বাতাস ভারি হয়ে উঠে৷ এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে৷ পরে রাত ৯টার দিকে সহস্রাধিক শোকার্ত মুসল্লীগনের  অংশ গ্রহণ নিহতদের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়৷ নিহত শ্রমিক তারেকের একটি দুই বছরের কন্যা সন্তান ও বেলালের ১৮ মাসের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে৷

এ ব্যাপারে পুলিশ আরো জানায়, নির্মাণ শ্রমিকদের বহন করা একটি পিকআপ কুমিল্লার দিকে আসছিলো। পিকআপে অন্যান্য মালামালও ছিলো। পিকআপটি বরুড়া উপজেলার বাঁশপুর এলাকায় আসলে বিপরীত দিক থেকে আসা অজ্ঞাত একটি গাড়ি পিকআপটিকে ধাক্কা দেয়। এতে গাড়ি থেকে শ্রমিকরা ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে যায়। এর মধ্যে দু’জনই ঘটনাস্থলে মৃত্যুবরণ করেন। পরে গুরুতর আহত আরো ৩ জন মারা যান। তাদেরকে উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।