Daily Frontier News
Daily Frontier News

কুমিল্লায় সাংবাদিকের ভূয়া প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড বাতিল

 

সাংবাদিক আব্দুল্লাহ স্টাফ রিপোর্টার।।

 

দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার কুমিল্লা বুড়িচং উপজেলার প্রতিনিধি ও বুড়িচং উপজেলা শেখ রাসেল পরিষদের সাবেক সভাপতি মো. ইকবাল হোসেনের প্রতিবন্ধী ভাতা কার্ড বাতিল করা হয়েছে।

কুমিল্লা জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তর চিঠি ইস্যু করার মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

স্থানীয় এবং অফিস সূত্রে জানা যায়, দলীয় এবং সাংবাদিকতার প্রভাব খাটিয়ে ভূয়া প্রতিবন্ধী সনদ তৈরি করেন ইকবাল হোসেন। এই ভূয়া সনদ দিয়ে দীর্ঘদিন বুড়িচং সমাজসেবা অফিস থেকে সরকারি সুবিধা ভোগ করে আসছেন তিনি। তার ভূয়া প্রতিবন্ধী কার্ড বাতিলের জন্য কুমিল্লা জেলা প্রশাসক, জেলা সমাজসেবা অফিস, বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বুড়িচং সমাজসেবা অফিসে অভিযোগ করেন বুড়িচং প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আব্দুল মোমেন। অভিযোগের ভিত্তিতে ইকবাল হোসেনের ভূয়া প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড বাতিল করে গত ১১ নভেম্বর চিঠি ইস্যু করেন কুমিল্লা জেলা সমাজসেবা অফিস।

চিঠিতে উল্লেখ করেন যে, বুড়িচং প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আব্দুল মোমেনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে গঠিত মেডিকেল বোর্ড কর্তৃক বুড়িচং উপজেলার পীরযাত্রাপুর জোবেদা খাতুন কলেজের প্রভাষক ও যুগান্তরের প্রতিনিধি ইকবাল হোসেনকে প্রতিবন্ধী নন মর্মে ঘোষণা করায় তার প্রতিবন্ধী সনদ বাতিল ও প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড সহ এতদসংক্রান্ত সকল সরকারি সুযোগ সুবিধা বন্ধ করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সূত্রোক্ত পত্র ও আনুষাঙ্গিক কাগজপত্র বুড়িচং সমাজসেবায় প্রেরণ করেন।

এ বিষয়ে অভিযোগকারী বুড়িচং প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আব্দুল মোমেন বলেন, ইকবাল প্রতারণার মাধ্যমে প্রতিবন্ধী সেজে সরকারের সুযোগ সুবিধা গ্রহন করে আসছিলো। বিষয়টি নিয়ে আমি অভিযোগ করার পর জেলা প্রশাসক কার্যলয় থেকে ইকবালের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিভিল সার্জনকে চিঠি দেয়া হয়। পরবর্তিতে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সমন্বয়ে মেডিক্যাল টিম গঠন করে স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর তার প্রতিবন্ধী হওয়ার কোন লক্ষন পাওয়া যায়নি। তাই সমাজ সেবা অধিদপ্তর তার কার্ড বাতিল করেছেন।

আব্দুল মোমেন আরও বলেন, প্রতারণার মধ্যেমে গ্রহনকৃত সরকারী সকল ভাতা ফেরত দেয়ার জন্য নতুন আরে আরেকটি আবেদন করবো। আমি আশাবাদি প্রতারণার বিষয়ে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করবে কর্তৃপক্ষ।

বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাহিদা আক্তার বলেন, অফিসিয়াল ভাবে আমার কাছে এখনো চিঠি আসে নাই। চিঠি আসলে সেটা দেখে তারপর বলতে পারবো যে এটার নীতিমালা কি। তবে টাকা ফেরত এবং আইনানুগ ব্যবস্থার বিষয়ে সমাজসেবা অফিস বলতে পারবে কারণ এটা তাদের কাজ।

এবিষয়ে কুমিল্লা জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. মিজানুর রহমান বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত করে তার সনদটি ভূয়া প্রমাণিত হওয়ায় প্রতিবন্ধী কার্ড বাতিল করা হয়েছে। এবিষয়ে বুড়িচং উপজেলা সমাজসেবা অফিসাররা ভালো বলতে পারবে। যে কোন অভিযোগ তাদেরকে জানান আমরা ব্যবস্থা নেবো। আমি চাই প্রকৃত প্রতিবন্ধীরা যেন এ সুযোগ সুবিধা ভোগ করতে পারে।

Daily Frontier News