আমাকে কি বাঁচাইবানা এখানে অনেক ঠান্ডা, গুম হয়ে যাওয়া ময়নার আকুতি
হাসান আলমগীর বিজয়নগর ব্রাহ্মণবাড়িয়াঃ-
. জেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজয়নগর উপজেলার সিঙ্গারবিল ইউনয়িনরে কাঞ্চনপুর গ্রামরে হাদিজা আক্তার ময়না (২৫) নামে এক গৃহবধূ নিখোঁজ রয়েছে।
. গত ১৯শ জানুয়ারি (শুক্রবার) বিকাল ৩ ঘটিকায় এ ঘঠনা ঘটে। নিখোঁজ ময়না সিঙ্গারবিল ইউনয়িনরে কাঞ্চনপুর গ্রামরে প্রবাসী মো: রাসলে মিয়ার স্ত্রী। তার বাবার বাড়ি উপজেলার ছতরপুর ইউনিয়নের ছতরপুর গ্রামের সেলিম মিয়ার কন্যা। অসহায় পরবিারটা আত্মীয়-স্বজনরে বাড়ী সহ অনেক জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পাওয়া যায়নি । ময়নার পাঁচ বছররে একটা কন্যা সন্তান রয়েছে।
. গুম হয়ে যাওয়ার ১৫ দিন পর প্রবাসী স্বামীর ইমু নাম্বারে অপহৃত কণ্ঠ পাঠানো একটি অডিও রেকর্ডে কাতর সুরে বলতে শোনা যায় “আমাকে কিভাবে ভুলে থাকতেছ আমাকে কি বাঁচাইবানা ? আমি কোথায় আছি বলতে পারছি না। চারপাশে পাহাড় প্রচন্ড ঠান্ডা। আম্মা (শাশুড়ী) এবং আপা (স্বামীর ছোট বোন পপি ) জানে আমি কোথায় আছি । আমার মোবাইলটা পপি আপা কোথায় রাখছে জানিনা। তুমি পপি আপার সাথে কথা বল। এখানে অনেক ঠান্ডা ।
. প্রবাসী স্বামী এই ভয়েস পাওয়ার পর ময়নার বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে আইনি প্রক্রিয়া গ্রহণ করার জন্য বলেছেন। উপায়ান্ত না দেখে অপহৃত ময়নার মা সুমা বেগম বাদী হয়ে গত ১৩ই ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) বিজয়নগর থানায় একটা সাধারণ ডাইরি করেন, যাহার নং নাম্বার ৬৯৫।
. উক্ত প্রেরিত রেকর্ডে অপহৃত নমুনার ময়নার মমতাময়ী মা সুমা আক্তার বলেন, আমার মেয়ে গুম হওয়ার পর তার শশুর বাড়ির মানুষ আসল রূপ গোপন রেখে, আমাকে বিভিন্ন কবিরাজ এর কাছে নিয়েছে এবং আজ কাল আসবে বলে সময় অতিবাহিত করে থানায় জিডি করতে বিলম্ব করাইছে। এদিকে থানায় দুই তিন দিন ঘুরার পর জিডি এন্ট্রি করতে সক্ষম হই। ময়নার অপহরণরে নমুনার অডিও এবং ফটো প্রকাশ হওয়ার পরওে আজ পর্যন্ত ময়না উদ্ধার হয়নি।
. ময়নার মা প্রশাসনরে কাছে বলেন, আমার দাবী এই অডিও রেকর্ড ও ননদ (পপি) ও শ্বশুরের কথোপকথনের ভিত্তিতে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে ময়নাকে উদ্ধারের অনুরোধ জানাচ্ছি। ময়নার মা আরও বলেন, গত ১৬ই ফেব্রুয়ারি শুক্রবার আমতলী বাজারে গিয়ে ময়না শশুর (আজিজুল ইসলাম রমজান) কে তারই আত্মীয় আমতলী বাজার কমিটির সেক্রেটারি মাওলানা আফজাল হোসেন এর দোকানে বসা অবস্থায় দেখে, থানায় পুলিশের সহযোগিতায় আটক করলে, মাওলানা আফজাল হোসেন দায়িত্ব নিয়ে পরদিন সকাল দশটায় অডিও রেকর্ডে প্রকাশিত কারিগর পপিকে থানায় হাজির করার আশ্বাসে অন্য কারিগর ময়না শশুরকে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরদিন সারাদিনেও মাওলানা আফজাল হোসেন তার কথা রক্ষা করতে পারেনি। অবশেষে অপহরণে জড়িত পপি ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেল।
. উক্ত বিষয়ে তদন্তকারী অফিসার চম্পকনগর ফাঁড়ির ইনচার্জ, গাজী মোঃ রবিউল ইসলাম বলেন, ময়নার শশুরকে আমতলী বাজারে আটক করে মোবাইল ফোন ক্লোজ করে তার মেয়ে পপি ও সে নিজে অপহরণের কথোপকথন এর সত্যতা পেয়েছি। ঘটনার পপিকে হাজির করতে পারিনি। শশুর ও শাশুড়িকে হাজির করা হয়েছে। অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে আইনি প্রক্রিয়ায় জড়িত সকলের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।
. এ বিষয়ে বিজয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ আসাদুল ইসলাম বলেন, ভিকটিমের পক্ষ প্রায় একমাস পর থানায় জিডি করিয়াছে।
অডিও রেকর্ড প্রকাশের কথা জিজ্ঞেসে বলেন, তা আমি জানিনি। তবে সবকিছু তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।