আওয়ামী লীগের যথাযথ বিচার চায় বাংলাদেশ জাসদ

সাংবাদিক জুনায়েদ সিদ্দিক

“পতিত আওয়ামী লীগ নেতৃত্ব এখন পর্যন্ত তাদের খুন-নির্যাতনের জন্য অনুশোচনা তো দূরের কথা, তারা গণঅভ্যুত্থানকে ষড়যন্ত্র বলে নাকচ করছে,” এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে বাংলাদেশ জাসদ।
জুলাই আন্দোলনে ‘হত্যাকাণ্ড’ ও পরে নানা ষড়যন্ত্রের অভিযোগে কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করা আওয়ামী লীগের যথাযথ বিচারের প্রত্যাশা বাংলাদেশ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-বাংলাদেশ জাসদের।

সেই সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের সময় গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াতে ইসলামীকেও বিচারের আওতায় আনার দাবি করেছে দলটি।

গত কাল সোমবার রাজধানীর তোপখানা রোডে দলীয় কার্যালয়ে এক সভা শেষে দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা তুলে ধরেছে বাংলাদেশ জাসদ।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার পতনের নয় মাস পরে সরকার আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের আইন সংশোধন করে মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য দল ও সংগঠনের বিচারের পথ উন্মুক্ত করেছে। সেই সঙ্গে রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা নিবৃত্ত করার লক্ষ্যে সন্ত্রাসবিরোধী আইনেরও সংশোধন করেছে। আজ (সোমবার) সরকার আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

“বিগত বছরগুলোতে আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসরদের অপশাসন, লুটপাট, গুম-খুন বিশেষ করে গত বছরের জুলাই-অগাস্টে সরকারি বাহিনী ও দলীয় সশস্ত্র দুর্বৃত্ত বাহিনী পরিচালিত পাইকারি হত্যাকাণ্ডে ১ হাজার ৪০০ মানুষের জীবন কেড়ে নেওয়া হয়েছে। এ ধরনের নজিরবিহীন হত্যার বিচার ছিল জনগণের প্রাণের দাবি। নেতৃত্বের পাশাপাশি সংগঠনকে বিচারের আওতায় আনার জন্য অবশেষে সরকার একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে।”

বাংলাদেশ জাসদ বলছে, “আমরা তীব্র ক্ষোভ ও ঘৃণার সাথে লক্ষ্য করেছি যে, পতিত আওয়ামী লীগ নেতৃত্ব এখন পর্যন্ত তাদের খুন-নির্যাতনের জন্য অনুশোচনা তো দূরের কথা, তারা গণঅভ্যুত্থানকে ষড়যন্ত্র বলে নাকচ করছে। হত্যার দায়দায়িত্ব আন্দোলনকারী শক্তির ওপর চাপিয়ে নিজেদের সংগঠিত গণখুনকে আড়াল করতে চাইছে। এ ধরনের প্রয়াস কিছুতেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।

“এ সভা আশা করে আদালত স্বচ্ছতার সঙ্গে ন্যায়বিচার সম্পন্ন করবে। একইসঙ্গে আমরা আশা করি মুক্তিযুদ্ধে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত জামায়াতে ইসলামীকেও এ সংশোধিত আইনের অধীনে সংগঠনগত বিচারের সম্মুখীন করা হবে। আমরা আশা করি গণতন্ত্রে উত্তরণের লক্ষ্যে মহান মুক্তিযুদ্ধের ধারাবাহিকতায় সকল অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক প্রগতিশীল শক্তি ঐক্যের পথে অগ্রসর হবে।”

সভায় বাংলাদেশ জাসদের সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়া, সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান, স্থায়ী কমিটির সদস্য মুশতাক হোসেন, এ টি এম মহব্বত আলী, আবদুল কাদের হাওলাদার উপস্থিত ছিলেন।