মোঃ শাহীন চৌধুরী (বিজয়নগর) ব্রাহ্মণবাড়িয়াঃ-
. জেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজয়নগর উপজেলা কমপ্লেক্স ভবনের সামনে, কমপ্লেক্স ভবনের বারান্দায় দাঁড়ালে স্কুলটি দেখা যায় (বিজয়নগর উপজেলা শিক্ষা অফিসের)। ১৩ই জুন ২০২৩ ইং রোজ মঙ্গল বার, বিজয়নগরে মির্জাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে, শিশুদের টিকাদান কর্মসূচির কেন্দ্র ছিল। বেলা ২ ঘটিকা সময়, উক্ত স্কুলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা বিভারানী মজুমদার ছাড়া অন্য কোন শিক্ষক/শিক্ষিকা বিদ্যালয়ে উপস্থিত ছিল না।
. অভিযোগে (১)সহকারী শিক্ষক শিবির মিয়া (২)সহকারী শিক্ষিকা রত্না রানী মালাকার (৩)সহকারি শিক্ষিকা রিঙ্কু রানী মল্লিক (৪) সহকারি শিক্ষিকা নাহিদা আক্তার। মির্জাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে উপস্থিত নাই। একমাত্র অফিস কক্ষ ছাড়া, বিদ্যালয়ের সব গুলো কক্ষই তালাবদ্ধ ছিল।বিদ্যালয়ের সামনে জাতীয় পতাকা উড়ছে। বিদ্যালয়ের উত্তর ভিটির পূর্বপাশের শ্রেণী কক্ষের দরজার পাশে বারান্দায় মেঝেতে,কয়েকটি টিকা দান বাক্স পড়ে আছে। বিদ্যালয়ের মাঠে পাতিহাঁস বিচরণ,আর ডাকা-ডাকি করছে।অফিস কক্ষে ঢুকে দেখা যায়, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা বিভারানী মজুমদার,নির্বাক হয়ে বসে আছেন। সাংবাদিকদের উপস্থিতি দেখে প্রধান শিক্ষিকা বিভারানী মজুমদার হতভম্ব হয়ে যায়! কি করবে,কি করবে না, বুঝে উঠতে পারে নি !
. ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা বিভারানী মজুমদার কে অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিকা কোথায় ? স্কুলের ছাত্র ছাত্রী কোথায় ? ৪ জন শিক্ষক এক সাথে কোথায় গেলেন ?কেন চলে গেলেন ? তাদের ছুটির দরখাস্ত কোথায় ? তাহারা স্কুলে অনুপস্থিত, এই সময়ের বেতন সরকারি ও জনগণের টাকা বেতন নিচ্ছে কি না ? সরকারের অর্পিত দায়িত্ব,যথার্থ পালন না করে,কেন জনগণের টাকায় বেতন নিচ্ছে ? উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার,উপজেলা কমপ্লেক্স ভবনের বারান্দা থেকে স্কুলটি দেখতে পারে(দেখা যায়),নজরদারি করতে পারে ? নজরদারি করে কি না ? কিন্ত নজরদারি করে না কেন ? তারপরও শিক্ষকরা দায়িত্ব পালন করছেন না কেন ? ইত্যাদি ইত্যাদি সহ আরো বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর জানতে চাইলে, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা বিভারানী মজুমদার, কোনো প্রশ্নের সদুত্তর (সঠিক জবাব) দিতে পারে নি।
. (অনিয়ম-দুর্নীতিতে ভরপুর)
.
. বেলা ২ঘটিকা ১৩ই জুন ২০২৩ইং মির্জাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বিজয়নগর ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সরকারি বেতনভুক্ত কর্মচারী হয়ে কোনরকম ছুটি না নিয়ে,৪ জন শিক্ষক/শিক্ষিকা স্ব-ইচ্ছায় স্কুল ছেড়ে চলে যায় । মুঠোফোনে এ বিষয়ে, তাদের কাছে জানতে চাইলে, ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে,অবৈধ,অন্যায়,অনিয়মে সরকারের অর্পিত দায়িত্ব ফাঁকি দিয়ে, সরকারের কাছ থেকে বেতন নিচ্ছে মর্মে দুঃখ প্রকাশ করে দুঃখিত বলে জানান। এ বিষয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
. এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে প্রকাশিত (অনলাইন নিউজ পোর্টাল) দৈনিক ফ্রন্টিয়ার.নিউজ পত্রিকা ১৩ই জুন ২০২৩ইং সংবাদ প্রকাশ এর জেরে নড়ে-চড়ে বসেছে, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও উপরে নাম উল্লেখিত ৪ জন, ১ জন শিক্ষক,৩ জন শিক্ষিকা।
. সূত্রে জানা যায়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার,বিজয়নগর উপজেলা শিক্ষা অফিসারের কার্যালয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া। ১৯ই জুন ২০২৩ইং,স্বারক নং- উশিঅ/বিজয়নগর/২০২৩/২৮৮. বিষয় কৈফিয়ত তলব প্রসঙ্গে। অভিযোগে উক্ত ৪ জনের বিরুদ্ধে, উপর্যুক্ত বিষয় প্রেক্ষিতে জানানো যাচ্ছে যে,১৩ই জুন ২০২৩ইং তারিখে দুপুর ২ ঘটিকার সময় বিদ্যালয় ত্যাগ করেছেন। সরকারী বিধি মোতাবেক বিদ্যালয়ের শ্রেণী পাঠদান কার্যক্রম শেষ করার নির্ধারিত সময় ৪:১৫ মিনিট পর্যন্ত ।
. এমতাবস্থায় নির্ধারিত সময়ের পূর্বে বিদ্যালয় ত্যাগ করার কারণে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট কেন বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করার সুপারিশ করা হবে না । তার সন্তোষজনক ব্যাখ্যা আগামী ৩ কার্যদিবসের মধ্যে নিম্নস্বাক্ষরকারীর নিকট দাখিল করতে বলা হলো। মোঃ মানিক ভূঁইয়া, সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার, বিজয়নগর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্বাক্ষরিত।
. অভিযোগে ৪ জন, ১ জন শিক্ষক,৩ জন শিক্ষিকা বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গের নিকট, উর্দ্ধতন অফিসে, বিভিন্ন মহলে, বিভিন্ন ভাবে, অসৎ উদ্দেশ্যে,এহেন অন্যায় অপরাধের, রেহাই পাওয়ার জন্য। উপরে উল্লেখিত বিষয়ে দৌড়-ঝাঁপ করছে বলে সূত্রে জানা যায়।
Copyright © 2025 Daily Frontier News | Design & Developed By: ZamZam Graphics