আওয়ামী লীগ প্রার্থী শফিক ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মুহিবের প্রচারে সরগরম ভোটের মাঠ

কে এম রায়হান ওসমানীনগর (সিলেট)প্রতিনিধি ::

সিলেট বিশ্বনাথ ওসমানীনগর উপজেলা নিয়ে গঠিত সিলেট-২ আসনের নির্বাচনি এলাকা। এরই মধ্যে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রচারে সরগরম ভোটের মাঠ।তবে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কারণে ভোটের মাঠে চাপে আছেন নৌকার মাঝি।সিলেট-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শফিকুর রহমানের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিশ্বনাথ পৌরসভার মেয়র মুহিবুর রহমানের সাথে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলে ধারণা করছেন ভোটাররা।ভোটারদের মন জয়ে শফিক ও মুহিবের চলছে নির্ঘুম প্রচার-প্রচারণা।এ আসনে ছয়জন প্রার্থী হলেও লড়াই হবে মূলত আওয়ামী লীগের শফিক ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মুহিবের মধ্যে। আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা কেউ দলীয় প্রার্থীর আবার কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে অবস্থান নিয়ে কার্যক্রম চালাচ্ছেন। তৃণমূলেও বিভক্ত হয়ে পড়েছেন কর্মীরা। এ অবস্থায় এবার নৌকার প্রার্থীরা দলীয় নেতাকর্মীদের একচ্ছত্র সমর্থন পাচ্ছেন না। ফলে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সঙ্গে বর্তমান সংসদ সদস্য তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়তে যাচ্ছেন।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী শফিকের বিরুদ্ধে এবার স্বতন্ত্র প্রার্থী মুহিব গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছেন। তিনি দলের বাইরে অন্য মতের ভোটারদেরও কাছে টানার চেষ্টা করছেন শনিবার রাতে ওসমানীনগেরর তাজপুর বাজারে এক নির্বাচনি পথসভায় ভোট চেয়ে মুহিব বলেন, ‘বিভিন্ন এলাকায় আমার কর্মী-সমর্থকদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আমার বিভিন্ন এলাকায় কর্মীদের হামলা মামলার ভয় দেখানো হচ্ছে। এসব করে লাভ হবে না, জনগণ ৭ জানুয়ারি এর জবাব দেবেন। আমি নির্বাচিত হলে জনগণের আমনত নিয়ে কখনো খেলা করব না। আমি সংসদে গিয়ে এলাকার উন্নয়নের কথা বলব । জনগণের ক্ষতি হয়, এমন কোনো কাজ আমি করব না। সাধারণ জনগণ এখন সবই বোঝেন। কাকে ভোট দিলে উন্নয়ন হবে, আবার কাকে ভোট দিলে উন্নয়ন হবে না। তাই এবার জনগণ ট্রাক মার্কায় ভোট দিয়ে তাদের ভাগ্য নির্ধারণের পথ বেছে নেবেন।’এ দিকে ভিবিন্ন এলাকায় গণসংযোগে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শফিকুর রহমান বলেন, ‘নৌকায় ভোট দিলে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা থাকবে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা আবার যদি প্রধানমন্ত্রী হন আর আমি যদি আবার এমপি নির্বাচিত হই, তাহলে এই জনপদে আবারও উন্নয়ন হবে।আমি বিগত নির্বাচনে যে ওয়াদা আপনাদের করেছিলাম, তা পূরণ করার চেষ্টা করছি।বিগত ৫ বছরে আমি যে উন্নয়ন করেছি, তা আমার এলাকার জনগণ জানেন। আমি আপনাদের সন্তান, আমি আপনাদের পরিবারের সদস্য, তাই আগামী নির্বাচনে আপনাদের একটি ভোটও যেন নৌকার বাইরে না যায়।’