লামা পৌর মেয়রের প্রচেষ্টায় “বীর বাহাদুর কানন” শিশুদের মনোরঞ্জনের নতুন সংযোজন।

তানজিনা আক্তার উর্মি লামা- প্রতিনিধি

লামা পৌরসভা ভবন। শহরে প্রবেশদ্বার ঘেঁষে দেড় কিলোমিটার দক্ষিণে প্রধান সড়কের উত্তর পশ্চিমে অবস্থিত। প্রধান সড়ক পাওয়া ছোট্ট একটি টিলায় পৌর ভবনটি। কাছাকাছি চারদিকে ঢেউ খেলানো ছোট ছোট পাহাড়গুলো নান্দনিক করে তোলেছে পৌর ভবন চত্বরকে। কৃত্রিম কোলাহলমুক্ত পরিবেশে প্রকৃতির গুঞ্জন, বিহঙ্গ কাকলীর দিগন্তে উড়ে বেড়ানোর দৃশ্য মনকে সতেজ করে তোলে। ভবনের ২য় তলা বঙ্গবন্ধু কর্ণার করা হয়েছে। যে কক্ষটিতে থাকবে জাতির আত্মজীবনিমূলক বই-পুস্তক। থাকবে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক দলিলাদি। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ভূমিকায় জাতির জনকের দূর্লব ছবি সমুহ। অপরদিকে পৌরসভার সভা কক্ষটির নাম করন করে মরহুম আলহাজ্ব ইসমাইল স্মৃতি মিলনায়তনচ করা হয়েছে। কক্ষটির দেয়ালে পৌরসভার প্রথম নির্বাচিত চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা মরহুম ইসমাইল এর স্মৃতি ভাস্বর থাকবে। পৌর আঙ্গিণার উত্তর দিকে নির্মিত হয়েছে বীর বাহাদুর কানন। যেখানে মনহরা ফুল আর ফল বৃক্ষের সমারোহ থাকবে। নানান জাতের ফুল ফলের বৃক্ষরাজি সু- শোভিত করেছে এই কাননটিকে। পাহাড়ের বর্ণময় সভ্যতার নানান নিদের্শন সংযোজিত হয়ে উদ্যানটি ভিন্নমাত্রা এনে দিয়েছে। এটা হবে আধুনিক একটি পার্ক। যে পার্কে বসে চা-কপি পান করা যাবে। অবসরে সকলে সবুজছায়া বেষ্টিত এই পার্কে বিনোদনে সময় কাটাতে পারবেন। ভবনের আঙ্গিনায় নির্মিত হয়েছে বীর বাহাদুর পুস্প কানন। এটা আধুনিক মানের শিশু পার্ক। পৌর এলাকায় শিশুদের আর কোন পার্ক নেই। সে চিন্তা থেকে পৌর পার্কে।

পার্কটি ডিজিটাল করার পরিকল্পনা রয়েছে পৌর মেয়রের। পার্কটিতে প্রাকৃতিক ও কৃত্রিমভাবে এমন আবহ সৃষ্টি করা হয়েছে, যা শিশুর মনন বিকাশে প্রজেটিভ সহায়ক হবে। সব মিলিয়ে পর্যটন সম্ভাবনাময় লামায় পর্যটন অন্যতায় কিছুটা পুর্ন করবে সৌন্দর্য মণ্ডিত লামা পৌর ভবন আঙ্গিনার পার্কগুলো। ভবন আঙ্গিণায় নির্মিত ডাইনোসর, জেব্রা, হাতি, হরীণ, বাঘ, সিংহ ইত্যাদি ভাস্কার্য । যা শিশু, আবাল, বৃদ্ধ-বণিতা সব বয়সের মননে স্বস্তি যোগাবে। পৌর মেয়র উপজেলা আওয়ালীগের সাধারন সম্পাদক মো: জহিরুল ইসলামের আন্তরিকতা, শ্রম, দূরদর্শি চিন্তা, রুচিবোধ ও পার্বত্য বীরের স্মৃতি রক্ষায় এটি বাস্তবায়ন হয়েছে। কাছে দূরের যে কোনো কেউ আসতে পারেন প্রকৃতির সবুজ ছায়া বেষ্ঠিত লামা